বাজার করায় সতর্ক থাকুন ৫ বিষয়ে
দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এখন ঊর্ধ্বগামী। যা জানিয়ে দিচ্ছে, সচেতন হওয়া প্রয়োজন সবার আগে। নিতান্ত প্রয়োজন ব্যতীত বাড়ির বাইরে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ, প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে বেরুলেও সামাজিক দূরত্ব অর্থাৎ অন্যের সাথে ছয় ফিট দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জরুরি প্রয়োজন বলতে বোঝায় নিত্যদিনের বাজার ও ওষুধপত্র। ডিপ ফ্রিজে যতই কাঁচা ও রান্না করা খাবার সংরক্ষণ করা থাকুক না কেন, নির্দিষ্ট সময়ে বাজার করা প্রয়োজন হবেই।
বাজারের উদ্দেশ্যে বাইরে বেরুনোর সময় মাস্ক পরে নিজেকে প্রস্তুত করে তবেই বের হতে হবে। কিন্তু বাজার করার ক্ষেত্রে যে নিয়মগুলো সতর্কতার সাথে মেনে চলা জরুরি, সেটা জেনে রাখুন নিরাপদে থাকার জন্য।
১. শুধু মাস্ক পরাই যথেষ্ট নয়, সাথে হ্যান্ড গ্লভসও পরতে হবে বাজারের সময়। খোলা স্থানে এখন কোন বাজার নেই, সুপার শপ থেকেই যাবতীয় কেনাকাটা করা হচ্ছে। সুপার শপের ট্রলি কিংবা কার্টগুলো হাতের সাহায্যে যেহেতু ধরতে হয়, তাই হাতকে সুরক্ষিত রাখা সবচেয়ে বেশি জরুরি।
২. বাজারের অন্যান্য জিনিসের মাঝে কাঁচা মাছ-মাংসকে রাখতে হবে ভিন্ন ব্যাগে আলাদাভাবে। শুকনো জিনিস কিংবা ফল ও সবজির সাথে একই ব্যাগে রাখা থেকে বিরত থাকতে হবে।
৩. যেকোন ফল ও সবজি কেনার সময় খুব ভালোভাবে খেয়াল করুন, এতে কোন ফাটা অংশ, নষ্ট ও পচে যাওয়া অংশ, থেঁতলে যাওয়া অংশ আছে কিনা। যদি এমনটা চোখে পড়ে তবে সে ফল বা সবজি কেনা থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ এ ধরনের খাদ্য উপাদানে ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণুর সংক্রমণ হয় দ্রুত।
৪. প্যাকেটজাত ও ক্যানড ফুড কেনার ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকতে হবে, কোথাও কোন ফাটল আছে কিনা এবং প্যাকেট নতুন কিনা। যেহেতু এগুলো প্রসেসড ফুড, সামান্য বাতাসের সংস্পর্শেও দ্রুত জীবাণুর সংক্রম ঘটে এতে।
৫. বাজার করে বাসায় ফেরার সাথে সাথেই দ্রুত বাজারের ব্যাগ থেকে সমস্ত জিনিস বের করে ব্যাগ ফেলে দিতে হবে। এই ব্যাগ কোনভাবেই পুনরায় ব্যবহার করা যাবে না। এছাড়া বাজার থেকে আনা শুকনো, প্যাকেটজাত খাদ্য উপাদানগুলো বাতাসে রেখে দিতে হবে অন্তত ৩-৬ ঘন্টা পর্যন্ত। এরপর রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণ করা কিংবা ব্যবহার করা যাবে। মাছ-মাংসের ক্ষেত্রে ঠান্ডা পানিতে চুবিয়ে রাখতে হবে ২ ঘন্টা পর্যন্ত। এরপর ভালোভাবে প্যাকেট করে রেফ্রিজারেটরে রাখতে হবে।