জরুরি অবস্থাতেও যে খাবারগুলো সংরক্ষণ করা উচিত নয়
যেকোন জরুরি সময়ে সবার আগে খাবার সংরক্ষণের বিষয়টি মাথায় কাজ করে। প্রয়োজনের সময়ে হাতের কাছে যেন খাবার পাওয়া যায়, এই বিষয়টি মাথায় রেখে অনেকেই লম্বা সময়ের জন্য ডিপ ফ্রিজে বিভিন্ন ধরনের খাবার সংরক্ষণ করে থাকেন। এমনকি পরিস্থিতি বিবেচনা করে কোন খাবার সংরক্ষণ করা প্রয়োজন সেটাও পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু সেই সাথে এটাও জানা প্রয়োজন কোন খাবারগুলো রেফ্রিজারেটরে ও ডিপ ফ্রিজে দীর্ঘদিনের জন্য সংরক্ষণ করা উচিত নয়।
দুধ ও দুগ্ধজাত খাদ্য
যেকোন জরুরি অবস্থাতে দুধ ও দুগ্ধজাত খাদ্য উপাদান হল প্রথম জিনিস যা আমরা সংরক্ষণ করি। কিন্তু তরল দুধ ডিপ ফ্রিজে দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা একেবারেই অনুচিত। দুধ মাইনাস তাপমাত্রায় বরফ হওয়ার পর পুনরায় ব্যবহারের জন্য বের করে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় আনা হলে তার ঘনত্ব বেড়ে যায় এবং এতে দ্রুত ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে। একই বিষয় পনিরের জন্যেও হয়।
তেলে ভাজা খাবার
পাকোড়া, পেঁয়াজু, ফ্রেন্স ফ্রাই বা নাগেটস মুচমুচে খেতেই মজা ও সুস্বাদু। কিন্তু বাড়তি তেলে ভাজা খাবার বেঁচে গেলে সেটা কখনই রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণ করা উচিত হবে না। এতে শুধু খাবারের স্বাদ নষ্ট হবে না, তার গুণগত মানও নষ্ট হয়ে যাবে। সেই সাথে এই খাবার সহজে নষ্ট হয়ে যায় ঘরোয়া তাপমাত্রায় আনার পরে।
নুডলস
লকডাউনের এ সময়ে সবচেয়ে সহজে ও সবচেয়ে বেশি তৈরি করা হয় নুডলস। নুডলস বা পাস্তা যেটাই হোক না কেন, রান্না করা এই খাবারটি কখনই সংরক্ষণ করা উচিত নয়। ঠান্ডা তাপমাত্রার বাইরে ঘরোয়া তাপমাত্রায় এই খাবারটি দ্রুত পচে যেতে শুরু করে এবং এটা খাওয়ার ফলে পেটের সমস্যায় ভোগার সম্ভাবনা বেড়ে যায় অনেকখানি।
বিভিন্ন ধরনের ফল
সাধারণত ফল রেফ্রিজারেটরে রাখা হয় পচনশীলতা কমানোর জন্য। কিন্তু দীর্ঘদিন সংরক্ষণের জন্য ডিপ ফ্রিজে রাখা একেবারেই সঠিক উপায় নয়। এতে করে ফলের গুণগত মান সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়।
পেঁয়াজ ও রসুন
সময় বাঁচানোর জন্য পেঁয়াজ ও রসুন কুঁচি করে অনেকেই রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণ করেন। এতে করে ফ্রিজের ভেতরে বাজে গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে সহজেই এবং অন্য খাবারের স্বাদ ও গন্ধকে নষ্ট করে দেয়। পেঁয়াজ ও রসুন হল তীব্র ও ঝাঁঝালো গন্ধ বিশিষ্ট খাদ্য উপাদান। তাই এই দুইটি খাদ্য উপাদান আলাদাভাবে সংরক্ষণ না করাই শ্রেয়। যদি পেঁয়াজ বেঁচে যায়, তবে অর্ধেকটি পেঁয়াজ খোসাসহ ভালোভাবে মুখবন্ধ বাটিতে বা প্যাকেটে মুড়ে ডিপ ফ্রিজে রাখতে হবে এবং ৩-৫ দিনের ভেতরে ব্যবহার করে ফেলতে হবে।