বিজ্ঞানসম্মত চার উপায়ে বৃদ্ধি পাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
মানব শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাই ঠেকিয়ে দেয় বহু অসুখ অসুস্থতা। মূলত এ কারণেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখা ও বৃদ্ধি করার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করা হয় বারংবার। দৈনন্দিন জীবনের কিছু কাজেই বৃদ্ধি পাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। যার বিজ্ঞানসম্মত ভিত্তি ও গবেষণার ফলও রয়েছে।
ঘুমাতে হবে পর্যাপ্ত
বেশ কিছু গবেষণার ফল জানাচ্ছে, পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হলে শরীর নাজুক হয়ে পড়ে। এতে করে সহজেই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। কারণ ঘুমের সময় শরীর তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ে কাজ করে। এ সময়ে শরীরে ইনফেকশন ও প্রদাহের বিরুদ্ধে কাজ করার জন্য এক ধরনের প্রোটিন নিঃসরণ করে। রাতে প্রয়োজনীয় পরিমাণ ঘুম না হলে প্রোটিন নিঃসরণের মাত্রা কমে যায়, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দেয়। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন অন্ততপক্ষে ৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে। কিশোরদের ক্ষেত্রে ৯-১০ ঘণ্টা এবং শিশুদের ক্ষেত্রে সেটা হবে ১০ ঘণ্টার বেশি।
শরীরচর্চা করতে হবে
অলসতার জন্য শরীরচর্চা করা না হলে অন্ততপক্ষে অসুখ থেকে দূরে থাকার জন্যে হলেও শরীরচর্চার দিকে মনোযোগ দিতে হবে। কয়েকটি গবেষণার ফল জানাচ্ছে, দৈনিক পরিমিত পরিমাণ শরীরচর্চা ফ্লু ও নিউমোনিয়াসহ ভাইরাসবাহিত বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন ও অসুখের সম্ভাবনা কমিয়ে আনে। ভাইরাসের সঙ্গে ব্যাকটেরিয়াবাহিত অসুস্থতার হারও কমাতে কাজ করে শরীরচর্চা। এছাড়া বেশি কিছু পরীক্ষা থেকে প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে যে, দৈনিক ব্যায়ামের ফলে শরীরে প্রদাহ বিরোধী প্রভাব তৈরি হয়। এমন হওয়ার কারণ- শরীরচর্চা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়াতে কাজ করে। এই অভ্যাসটি ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখে, যা ‘ভালো বোধ করার মেকিক্যাল’ নিঃসরণে সহায়তা করে।
কমাতে হবে মানসিক চাপ
বর্তমান পরিস্থিতিতে নানাবিধ কারণে মানসিক চাপ কমিয়ে রাখা বেশ কঠিন কাজ বটে। কিন্তু মনকে শান্ত ও মানসিক চাপকে দূরে রাখতে পারাটাও এই পরিস্থিতিতে জরুরি। মানসিক চাপ যত বেশি হবে, শরীরে কর্টিসল নামক হরমোনের নিঃসরণ বেড়ে যাবে। এই হরমোনটি রক্তে শ্বেত রক্তকণিকার মাত্রা কমিয়ে আনে। ফলাফল স্বরূপ কমে যায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। এতে করে সহজেই শরীর দুর্বল ও অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাই মানসিক দুশ্চিন্তা ও চাপকে যথাসম্ভব দূরে রাখতে হবে।
গ্রহণ করতে হবে ভিটামিন-সি
প্রাকৃতিক সবচেয়ে শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হল ভিটামিন-সি। যা সরাসরিভাবে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়াতে কাজ করে। এ কারণে কাঁচামরিচ, কমলালেবু, ব্রকলি, স্ট্রবেরি, টমেটোর মত ভিটামিন সমৃদ্ধ প্রাকৃতিক খাদ্য উপাদানকে যতটা বেশি পারা যায় খেতে হবে এবং প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে।