দাঁতের ক্ষয় রোধে অবদান রাখবে এই খাবারগুলো
চিনিযুক্ত খাবার দাঁতের জন্য ক্ষতিকর এ কথা সবারই জানা। খাদ্যে উপস্থিত চিনির কণা দাঁতে আটকে থেকে ক্যাভিটি তথা ক্ষয়রোধ দেখা দেয়। কোন খাবারগুলো দাঁতের জন্য ক্ষতিকর এটা জানার পাশপাশি যে খাবারগুলো দাঁতের জন্য উপকারী সেটাও সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকা গুরুত্বপূর্ণ। কিছু খাদ্য উপাদানে উপস্থিত পুষ্টিগুণ দাঁতের স্বাস্থ্যে অবদান রাখে এবং দাঁতের ক্ষয় প্রতিরোধ করে। এমন পাঁচটি খাবার সম্পর্কে জানুন।
ডিম
প্রথমেই সবচেয়ে সহজলভ্য খাবারটি হল ডিম। পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন-ডি সমৃদ্ধ এই খাবারটি দাঁতের ক্ষয়রোগ প্রতিরোধে কাজ করে। নিউ ইয়র্কের জেন্টল ডেন্টাল বেসাইড এর দন্ত চিকিৎসক গ্রেগ জেলফান্ড জানান, নিয়মিত ডিম খাওয়ায় শারীরিকভাবে শক্তি পাওয়ার সঙ্গে দাঁতকেও সুস্থ রাখা সম্ভব।
টকদই
টকদইতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন-ডি রোগ প্রতিরোধ বৃদ্ধিকারী প্রোবায়োটিক্স। যা স্বাভাবিক নিয়মে দাঁতের সুরক্ষার জন্য উপকারী। পাকস্থলীর জন্য উপকারী খাদ্য উপাদান হিসেবে পরিচিত টকদই দাঁত ও মুখের ভেতরের স্বাস্থ্যের জন্যেও সমানভাবে উপকারী। মূলত এতে থাকা ক্যালসিয়াম দাঁতের এনামেল গঠনে ভূমিকা রাখে বলেই টকদই দাঁতের জন্য আলাদাভাবে উপকারী একটি খাবার।
মাখন
অনেকেই হয়তো অবাক হবেন দাঁতের জন্য উপকারী খাবারের তালিকায় মাখনের নাম দেখে। ভিটামিন-বি১২ সমৃদ্ধ মাখন পেরিওডন্টাল ডিজিজ (Periodontal disease) প্রতিরোধ করে। এছাড়া দাঁতের মাড়ি ও মুখের ভেতরের কোন ক্ষয়কে দ্রুত সারিয়ে তুলতে ভিটামিন-বি১২ আবশ্যিক এক পুষ্টি উপাদান। দৈনিক এক চা চামচ পরিমাণ মাখন খাওয়া হলে দাঁতের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিনের চাহিদা অনেকখানি পূরণ হবে।
বাদাম
নাশতা কিংবা হুটহাট ক্ষুধাভাব দেখা দিলে অন্য কিছু না খেয়ে এক মুঠ বাদাম খেয়ে নিন। পেটও ভরবে, দাঁতও ভালো থাকবে। আখরোট, কাঠবাদাম, কাজুবাদাম কিংবা পেস্তা বাদাম- যেটাই হোক না কেন, প্রতিটি বাদামেই রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফসফরাস। যা দাঁতের এনামেলকে সুরক্ষিত রাখতে ও দাঁতে ক্ষয়রোগ প্রতিরোধে কার্যকর।
স্ট্রবেরি
বিভিন্ন ফলের মাঝে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ স্ট্রবেরি থেকেই দাঁতের উপকার পাওয়া যাবে সবচেয়ে বেশি। উপকারী ভিটামিন-সি একদিকে যেমন ত্বককে সুস্থ ও প্রানবন্ত রাখতে কাজ করে, অন্যদিকে দাঁতের মাড়ির সুস্থ রাখতেও কাজ করে।