পিরিয়ডকালীন সময়ে স্বস্তি দেবে শরীরচর্চা
প্রতি মাসে পিরিয়ডের সঙ্গে বিভিন্ন ধরণের শারীরিক অসুস্থতা দেখা দেয়। কিন্তু এ সময়ে কেউই শরীরচর্চা করার কথা ভাবেন না একদম। অথচ পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে নিয়ম মেনে নিয়ন্ত্রিত উপায়ে শরীরচর্চা করলে একদিকে যেমন উপকার পাওয়া যাবে, তেমনই পিরিয়ডের দরুন শারীরিক কষ্ট কমে আসবে। এমন চারটি শরীরচর্চা সম্পর্কে জানুন।
অ্যারোবিক এক্সারসাইজ
পিরিয়ডের সময়ে স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা ক্লান্ত থাকে শরীর। এ সময়ে ভারি ধরণের কোন শরীরচর্চা করতে ইচ্ছা করবে না। সেক্ষেত্রে হাঁটা ও সাইকেলিং এর মত সহজ অ্যারোবিক এক্সারসাইজগুলোর দিকে ঝুঁকতে হবে। দৌড়ানও অ্যারোবিকের মাঝে পড়ে, কিন্তু পিরিয়ডের সময় দৌড়ানো এড়িয়ে গেলেই ভালো।
ইয়োগা
শুধু পিরিয়ডের সময়ে নয়, সবসময়ের জন্যেই ইয়োগা দারুণ উপকারী ও স্বাস্থ্য সম্মত। যারা পিরিয়ডকালীন সময়ে এক স্থানে বসে শরীরচর্চার ধরণ ট্রাই করতে চান, তাদের জন্য এটাই সবচেয়ে সঠিক উপায়। ব্রিদিং অ্যান্ড রিল্যাক্সেশন এক্সারসাইজ এর মাধ্যমে শরীর ও মন উভয়ই শান্ত হবে এবং প্রশান্তি পাবে।
ভারোত্তোলন
লিফট ওয়েট বা ভারোত্তোলনের কথা পড়ে অনেকেই অবাক হবেন। কিন্তু এই ভারোত্তোলনে অনেক বেশি ওজন তোলার কথা বলা হচ্ছে না মোটেও। অল্প ওজনের ডাম্বল যা এক হাতের সাহায্যে সহজেই তোলা সম্ভব হয়, এমন ভারোত্তোলন করতে হবে পিরিয়ডের সময়ে। যেকোন স্থানে দাঁড়িয়ে একটি ডাম্বলের সাহায্যেই ধীরে ধীরে হাতের, কোমড়ের, পিঠের এক্সারসাইজ করা যায়। যা এ সময়ে কাজে আসবে।
সাঁতার কাটা
পিরিয়ডের সময়েও খুব স্বাভাবিক নিয়মে সাঁতার কাটা সম্ভব। যারা প্যাডের বদলে টেম্পন এবং পিরিয়ড কাপ ব্যবহার করেন, তারা সাবলীলভাবেই সাঁতার কাটতে পারবেন। এছাড়া পিরিয়ডের সময়ে সাঁতার কাটাকে বলা হচ্ছে সবচেয়ে বেশি উপকারী শরীরচর্চা। এর মাধ্যমে পুরো শরীরের উপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে, যা পিরিয়ডকালীন সমস্যাকে কমিয়ে আনে দ্রুত।