কাঁধের ব্যথা মানেই ফ্রোজেন শোল্ডার নয়



ডা. দলিলুর রহমান
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কাঁধের ব্যথা নিয়ে রোগীরা যা বলছে-


*** ব্যথার মাত্রা আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে এবং একসময় তা অসহনীয় হয়ে পড়ে। কাঁধের নড়াচড়াও অসম্ভব হয়ে পড়তে পারে।

***ব্যথাযুক্ত পাশে ঘুমাতে গেলে কাঁধে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। ব্যথায় ঘুম ভাঙার পর  পুনরায়  ঘুমানোর অনেক চেষ্টা করেও অনেকে তা পারে না। প্রথম দিকে ব্যথা অল্প হলেও তা ক্রমান্বয়ে বাড়ে।

*** কোনো জিনিস হাতে ওঠাতে গেলে, হাত দিয়ে কোন কাজকর্ম করা, রান্নার কাজ ও পরিষ্কার পরিচছন্নতার কাজ করতে গেলে ব্যথা হয় কিংবা ব্যথা বেড়ে যায় কিংবা কাজের পর বিশ্রামের সময় ব্যথা বাড়তে থাকে।

ব্যথার কারণে যে সকল প্রাত্যহিক কাজে ভীষণ অসুবিধা হয় যেমন -


***পিঠে হাত নেওয়া, চুল ব্রাশ করা, জামা পরা, দাঁত ব্রাশ করা, পিছনের পকেটে হাত দেওয়া অনেক কঠিন হয়ে যায়।

***এমনকি ব্যথাযুক্ত হাত দিয়ে খাবার মুখে দিতেও ভীষণ কষ্ট, আর বগলের নিচ এবং বাম হাত হলে প্রস্রাব– পায়খানার স্থান পরিষ্কার করা যে কঠিন কষ্টসাধ্য বিষয় তা একমাত্র ভুক্তভোগীরাই জানতে পারেন, বুঝতে পারেন।

কাঁধে ব্যথার কারণ


# নানাবিধ কারণে কাঁধের ব্যথা হয় কিন্তু কাঁধের ব্যথায় শুধু ফ্রোজেন শোল্ডার মনে করাটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা।

# ফ্রোজেন শোল্ডার মুলত কাঁধের জয়েন্টগুলোর ক্যাপসুলে প্রদাহজনিত কারণে ব্যথা, স্টিফনেস বা জমাটবদ্ধতা।

#  কিন্তু কাঁধের মধ্যে তো জয়েন্ট ছাড়াও আরও অনেক ধরনের স্ট্রাকচার –যেমন টেন্ডন, মাসল, বার্সা, লিগামেন্ট, জয়েন্ট কারটিলেজ এ সমস্যাজনিত কারণে কাঁধের ব্যথা  হতে পারে ।

# স্পোর্টস ইনজুরি জনিত কিংবা পড়ে গিয়ে বা আঘাতজনিত কারণে কাঁধে ব্যথা দেখা যায় ।

#  আবার কারও কারও ক্ষেত্রে ঘাড় থেকে স্নায়ুজনিত কাঁধে ব্যথা আসতে পারে।

# অনেক ক্ষেত্রে অর্থপেডিক সার্জারির পরবর্তীতে কাঁধে ব্যথা, স্টিফনেস, দুর্বলতা দেখা যায়।

# স্ট্রোক জনিত কারণে ও  কার্ডিয়াক সার্জারি পরবর্তীও কাঁধে ব্যথা হতে পারে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে পিত্তথলির প্রদাহ, যক্ষ্মা, ফুসফুসে ক্যান্সার জনিত কারণেও কাঁধে ব্যথা হতে পারে ।

# রিউমাটোয়েড আর্থ্রাইটিস বা এনকাইলজিং স্পোনডাইলাইটিস আছে—এ ধরনের রোগীরা এই ব্যথাগুলো বেশি নিয়ে আসে।

# ডায়াবেটিস, হাইপারলিপিডেমিয়া বা শরীরে অতিরিক্ত মেদ, হাইপার থাইরয়েড, হৃদরোগ ও প্যারালাইসিস রোগীদের কাঁধে ব্যথা বেশি দেখা যায়।

# তা ছাড়া যাদের বয়স ৪০ বছরের ওপরে, তাদের ক্ষেত্রেও এটি বেশি দেখা যায়।

রোগীর কাছ থেকে কাঁধের ব্যথার বিস্তারিত শুনে বিভিন্ন রকম ফিজিক্যাল এসেসমেন্ট এর মাধ্যমে কাঁধের ব্যথার কারণ প্রাথমিকভাবে নির্ণয় করা সম্ভব। ফ্রোজেন শোল্ডারের রোগী নিজে এবং অন্যের সহযোগিতায় কোনোভাবেই হাত ওঠাতে পারে না। অন্যান্য কারণের জন্য হলে অন্যের সহযোগিতায় হাত ওঠাতে পারে। তবে প্রয়োজনে রক্তের কিছু পরীক্ষা, এক্স রে, এম আর আই কিংবা মাসল আল্ট্রাসাউন্ড করে সমস্যা সম্পর্কে পুরাপুরি নিশ্চিত হওয়া যায়।  

চিকিৎসা – কাঁধের ব্যথার আল্টিমেইট চিকিৎসা ফিজিওথেরাপি!


কাঁধের ব্যথার চিকিৎসা সম্পূর্ণ নির্ভর করে ব্যথার কারণের নির্ণয় এর ওপর । যেমন ফ্রোজেন শোল্ডার হলে চিকিৎসা একরকম আবার শোল্ডার এর  টেন্ডনাইটিস, বারসাইটিস, লিগামেন্ট ইনজুরি, ইন্সটেবিলিটিসহ অন্যান্য সমস্যায় চিকিৎসা সম্পূর্ণ অন্যরকম। তবে সাধারণত ব্যথা কমানোর জন্য হালকা কিছু ব্যথানাশক, কাঁধের অস্থিসন্ধিতে স্টেরয়েড ইনজেকশন দিলে ভালো ফল পাওয়া যায়- যদিও এগুলোর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনেক। বিশেষ করে টেন্ডন ও লিগামেন্টে কোনভাবেই স্টেরয়েড দেওয়া ঠিক না কারণ এতে টেন্ডন ও লিগামেন্টের ইনজুরি বেড়ে গিয়ে ছিঁড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক। আবার সঠিকভাবে এই ইনজেকশন দিতে না পারলে হাত অবশ হয়ে যেতে পারে বা শুকিয়ে যেতে পারে।

কাঁধের ব্যথার সাথে মেকানিক্যাল বিষয়সমূহ সরাসরি যুক্ত। তাই কাঁধের ব্যথার কারণ নির্ণয় ও যথাযথ সঠিক চিকিৎসা প্রদানের জন্য বিশেষজ্ঞদেরকে কাঁধের পেথমেকানিক্স জানতে হয়। পেথমেকানিক্স জানতে হলে কাঁধের বায়োমেকানিক্স, মুভমেন্ট সাইন্স, স্ট্রাকচারাল ও ফাংশনাল এনাটমি জানতে ও বুঝতে হয়। আর এসকল বিষয়সমূহ ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকদের শিখতে হয়, অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা অর্জন করতে হয়। তাই ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকেরা অতি অল্প সময়ে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে রোগীকে ব্যথামুক্ত করে কর্মক্ষম জীবনে ফিরিয়ে আনতে পারে।

কাঁধে ব্যথা হলে নিচের পরামর্শগুলো অনুসরণ করতে পারেন –


***যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একজন ভাল দক্ষ ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে চিকিৎসা শুরু করুন। এই ক্ষেত্রে যত দেরি করবেন– কাঁধের সমস্যা ও জটিলতা তত বাড়বে।

***হাত কে অ্যাক্টিভ রেস্টে রাখতে হবে এবং যতটা সম্ভব স্বাভবিক জীবনযাপন করতে হবে এবং সচল থাকতে হবে।

***যেসব কারণে ব্যথা বাড়ে কিছুদিনের জন্য সেগুলো কমিয়ে ফেলতে হবে কিংবা  এড়িয়ে চলতে হবে। আর যেভাবে হাত রাখলে ব্যথা কম লাগে, সেভাবে রাখার চেষ্টা করুন।

***ব্যথার স্থানে ব্যথার ধরণ ও কারণ অনুযায়ী ব্যথার ক্রিম লাগিয়ে সুতার তোয়ালে দিয়ে ২০ মিনিট গরম সেক ও ১০ মিনিট ঠাণ্ডা পানির সেক দিনে ৩ থেকে ৪ বার দিতে পারেন । অথবা প্রয়োজনে শুধু গরম বা ঠাণ্ডা পানির সেক দিতে পারেন ।

***প্রয়োজনীয় সুনির্দিষ্ট থেরাপিউটিক এক্সারসাইজ গুলো নিয়মিত করুন। সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা ব্যয়ামগুলি নিরূপণের জন্য একজন বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং তাঁর তত্ত্বাবধানে সঠিকভাবে করতে পারেন। থেরাপিউটিক এক্সারসাইজ ভুল হলে আপনার ব্যথা বেড়ে যেতে পারে।

***সাধারণ মানের ব্যথার ওষুধ খেতে পারেন, তারমধ্যে প্যারাসিটামলই সবচেয়ে ভালো, প্রয়োজনে ব্যথানাশক ওষুধ ও সাপ্লিমেন্ট খেতে পারেন।

ডা. দলিলুর রহমান, এম এস ফিজিও (অস্ট্রেলিয়া), সহযোগী অধ্যাপক, এন আই পি এস, কলকাতা, সিনিয়র কনসালটেন্ট, কেয়ার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, পেইন, ফিজিওথেরাপি এন্ড স্পোর্টস ইনজুরি বিশেষজ্ঞ।

   

রমজানে যেসব কাজ এড়িয়ে যাবেন



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
রমজান মাসে করা ভুল / ছবি: সংগৃহীত

রমজান মাসে করা ভুল / ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রমজান সবচেয়ে পবিত্র মাস। ইবাদতের এই মাসে কেবল ভালো কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা জানেন রমজান মাসে কি করা উচিত। তবে অনেকেই জানেন না, এই এক মাস কোন কাজগুলো একেবারেই এড়িয়ে যাওয়া উচিত। জেনে নেওয়া যাক সেগুলো-     

অকারণে রোজা ভাঙা: রমজানে রোজা রাখা বাধ্যতামূলক এবং প্রধান নির্দেশনা। সংযমের মাসে রোজা রেখে সংযম চর্চা করা হয়। রমজান মাসে শেহরির পর এবং ইফতারের আগে কিছুই খাওয়া যাবেনা। রোজা রেখে ভেঙে ফেলা একদমই উচিত নয়। তাই খুব বিশেষ কারণ ছাড়া রোজা ভাঙবেন না।     

ঝগড়া-বিবাদ: সকল খারাপ অভ্যাস কমিয়ে ফেলা বা নিয়ন্ত্রণে রাখা রমজানের একটি বিশেষ উদ্দেশ্য। যেকোনো ধরনের খারাপ আচরণ, ঝগড়া, তর্ক এড়িয়ে চলা উচিত। বিশেষ করে রমজান মাসেস একদমই এসব করা যাবে না। এমনকি অহংকারও অত্যন্ত খারাপ একটি অভ্যাস। কোনো বিষয় নিয়েই অহংকার করে অথবা কাউকে ছোট করে কথা বলা উচিত না।   

দানশীলতার অভাব: দান দক্ষিণা প্রদান খুবই ভালো কাজ। নিজেদের কাছে থাকা অতিরিক্ত জিনিসগুলো, যাদের অত্যন্ত প্রয়োজন তাদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া উচিত। সকলেরই সাধ্য অনুযায়ী টাকা, খাবার, পোশাক- এসব গরীবদের দেওয়া উচিত।   

ইফতারের পর অপকর্মে লিপ্ত: অনেকে মনে করেন, রমজান মাসে শুধু দিনের বেলা ইবাদত আর ভালো করতে হয়। ইফতারের পরই পরই অনেকে মদ, সিগারেটের মতো নেশাজাত দ্রব্য সেবন শুরু করে। এসব কাজ রমজানের শিক্ষাকে ব্যর্থ করে দেয়।   

অলস সময় পার করা: সারাদির না খেয়ে রোজা থাকার ফলে শরীর স্বাভাবিকভাবেই ক্লান্ত থাক। অনেকে এই বাহানায় কাজ করতে চান না। তারা মনে করেন রোজা রেখে সারাদিন শুয়ে, বসে, ঘুমিয়ে কাটালে কোনো অসুবিধা নেই। আদতে এমন নয়। নিতান্ত নড়াচড়া করতে পারেনা অথবা খুব অসুস্থ মানুষ ছাড়া সকলেরই প্রতিদিনেরই রুটিন অনুসারেই কাজ করে যেতে হবে।  

নামাজ না পড়া: মুসল্লীদের মধ্যে অনেকেই রোজা রাখলেও নামাজ পড়েন না। নামাজ না পড়লে রোজা রাখার মাহাত্ম্য নেই। রমজান মাসে ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়লে সওয়াব বেশি হয়। তাই একবেলাও নামাজ বাদ দেওয়া ঠিক না।  

তথ্যসূত্র: গ্রিণটেক

;

রমজানে অপচয় করার অভ্যাস ত্যাগ করুন



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
টাকার অপচয়

টাকার অপচয়

  • Font increase
  • Font Decrease

রমজান মাস ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে সবচেয়ে পবিত্র মাস। হযরত মোহম্মদ (সা.) এর নির্দেশনায় মুসল্লীগণ রোজা রাখার মাধ্যমে সংযম করেন। এই এক মাস সর্বাঙ্গে আরও ভালো একজন মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার চর্চা করে তারা। অনেকে মনে করেন, রোজার অর্থ শুধু না খেয়ে থাকা। তবে রোজা মূলত সংযম শেখানোর উদ্দেশ্যে রাখা হয়। এই সংযম শুধু খাদ্যের নয়, মনুষ্যের সকল ধরনের নেতিবাচক দিকের।   

অনেকে না জেনেই এমন কিছু কাজ করেন যা রমজান মাসে একদমই করা উচিত নয়। তার মধ্যে অন্যতম হলো অকারণে টাকা নষ্ট করা। রমজান মাসে পরিপূর্ণভাবে ঈমান রক্ষাকারী কাজই করা উচিত। অপচয় করার অভ্যাস একদমই ভালো নয়। রমজান মাসে অপচয় করা একেবারে কমিয়ে ফেলতে হবে।  

অনেককেই দেখা যায় ইফতারে অনেক বেশি পদের খাবার আয়োজন করার চেষ্টা করেন। তাছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বদৌলতে এখন অনেকেই ইফতারে দামি খাবারের ব্যবস্থা করেন। রমজান মাসে নিজের প্রয়োজনকে সংযত করা আবশ্যক। অপ্রয়োজনে খাবারের পেছনে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করা এবং অতিরিক্ত খাবারের আয়োজন করে তা না খেয়ে নষ্ট করা- দুটোই অপচয় ঘটায়। তাছাড়া, বেশি খাবারের চাহিদার কারণে রান্নার কাজে যা ব্যয় থাকেন তাদের অতিরিক্ত পরিশ্রম হয়। এতে তাদের অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।

এছাড়া সবাই ঈদে সকলেই নতুন পোশাক কেনে। তবে কারো মধ্যে সাধ্যের বাইরে গিয়ে পোশাক কেনা প্রবণতাও দেখা যায়। অনেকে কেনাকাটা করার জন্য শপিংমলে অতিরিক্ত সময় কাটান। রমজান মাস ইবাদত করার মাস। এই সময় যত বেশি সম্ভব ধর্মীয় কাজে এবং মসজিদে সময় কাটানো উচিত।

অনেক মানুষ আছে যারা প্রয়োজনীয় জিনিসও কিনতে পারে না। সম্ভব হলে তাদের সাহায্য করুন। এতে তাদের জীবনও ‍কিছুটা সহজ হবে, আপনারও মানসিক শান্তি মিলবে। 

তথ্যসূত্র: গ্রিণটেক

;

ঈদের ফ্যাশনে দেশীয় পোশাকের সমাহার নিয়ে এলো 'মিরা'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলছে মুসলিম ধর্মাবলম্বী অন্যতম ইবাদতের মাস পবিত্র রমজান। এরই মধ্যে চলে এসেছে ঈদ উৎসবের আমেজ। প্রস্তুত হচ্ছে বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজগুলো হাল ফ্যাশনের পণ্য সম্ভার নিয়ে। প্রতি বছর ঈদকে কেন্দ্র করে বাজার ছেয়ে যায় নানারকম বিদেশী পোশাকে। এর ভিড়েও দেশীয় পোশাককে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে ও জনপ্রিয় করে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে গুটিকয়েক প্রতিষ্ঠান। তেমনি একটি দেশীয় লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড 'মিরা'।

দেশজ ও পরিবেশবান্ধব সব পণ্য নিয়ে ফ্যাশন হাউজ মিরা ইতোমধ্যেই নজরকাড়তে শুরু করেছে রুচিশীল ও ফ্যাশন সচেতন মানুষের। রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে পান্থপথের মোড় কিংবা সাইন্স ল্যাবরেটরির মোড় যে কোন একদিক থেকে গেলেই গ্রিন রোডে কমফোর্ট হাসপাতালের পাশেই ১৬৭/এ নম্বর ভবনের তৃতীয় ফ্লোরে কাজ চলছে মিরা-র প্রথম নিজস্ব আউটলেট এর। সেখানেই কথা হয় মিরা ব্র্যান্ড এর কর্ণধারদের অন্যতম শুভ্রা কর এর সাথে।



শুভ্রা কর বলেন, এবার ঈদ এবং বাঙালির প্রাণের উৎসব বাংলা নববর্ষ প্রায় একই সময়ে। ঈদ এবং বর্ষবরণ দুটোই খুব বড় উৎসব। তাই এই উৎসবের সময়কে সামনে রেখে মিরা তার সকল আয়োজন সম্পন্ন করেছে। কিন্তু এই উৎসবে আয়োজনে দেখা যায় আমাদের বাজার ছেয়ে যায় সব ভিনদেশী পণ্যে। নিজের দেশের তৈরি সুন্দর সব পোশাক, গহনা বা অন্যান্য পণ্য ছেড়ে আমরা বিদেশি পণ্য খুঁজি। অথচ তার চেয়ে মানসম্মত ও সুন্দর কিছু দেশেই পাওয়া যায়, আমরা জানিই না! বিদেশী পণ্যের ভিড়ে মিরা তাই নিয়ে এসেছে দেশীয় সব পণ্য ও ডিজাইনের সমাহার। আমাদের কাছে পাচ্ছেন সঠিক কাউন্টের অথেটিক জামদানি শাড়ি, আমাদের নিজস্ব হ্যান্ডব্লক ডিজাইনে করা কাপল সেট বা ফ্যামিলি কম্বো। থাকছে হ্যান্ডপেইন্ট এর পাঞ্জাবি, পরিবেশ বান্ধব বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে তৈরী নিজস্ব ডিজাইনের গহনা, অলঙ্কার। এছাড়া ছোট বড় সবার জন্য টিশার্টও পাচ্ছেন।

'মিরা'র নিজস্ব হ্যান্ডব্লক ডিজাইনের দেশীয় শাড়ি

তিনি বলেন, আমাদের অনেক পণ্য দেখে অনেকে অবাক হন এবং প্রশ্ন করেন যে এগুলো দেশে তৈরি কিনা, কারণ দেশে এত সুন্দর বা ভালো পণ্য তৈরি হয় তাদের ধারণা ছিল না। মিরা-র মূল লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের এই নিজস্ব ঐতিহ্য ও শিল্পকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া ও জনপ্রিয় করে তোলা। একইসাথে ফ্যাশনকে যথাসম্ভব পরিবেশবান্ধব রাখা। আমাদের সব পণ্য আমাদের নিজস্ব তত্ত্বাবধায়নে কারিগর দ্বারা প্রস্তুত করা এবং সেখান থেকেই সংগ্রহ করা এবং মানের দিক থেকে আমরা কোন আপোষ করি না। আমি আশা করবো এদেশের মানুষ আরো বেশি দেশীয় পণ্য ক্রয়ে আগ্রহী হবে এবং উৎসবে আয়োজনে আমাদের নিজস্ব শিল্পকে গর্ব করে সবার কাছে তুলে ধরবে।

মিরা-র যেকোনো পোশাক কিনতে ভিজিট করতে পারেন তাদের ফেসবুক পেজ www.facebook.com/mirabrandbd অথবা ইন্সটাগ্রাম আইডি www.instagram.com/mirabrandbd/-এ। অনলাইনের পাশাপাশি অফলাইনে শীঘ্রই মিরা-র প্রথম আউটলেট শুরু হতে যাচ্ছে ঢাকার গ্রিন রোডে।

;

ইস্টার উৎসব ডিম দিয়ে কেন পালিত হয়?



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খ্রিস্টানদের গুরুত্বপূর্ণ উৎসব ইস্টার। এই উৎসব মৃত্যুপুরীর মধ্য থেকে যিশু খ্রিস্টের পুনরুত্থান উদযাপন করে। গুড ফ্রাইডের পরে তৃতীয় রোববার পালিত হয়। বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনে যিশু খ্রিস্টের পুনর্জন্ম হয়েছিল এবং তিনি আবার তাঁর শিষ্যদের সঙ্গে বসবাস শুরু করেছিলেন, কিন্তু মাত্র ৪০ দিনের জন্য, তারপরে তিনি চিরতরে স্বর্গে চলে গিয়েছিলেন। এ কারণেই ইস্টারকে পুনরুত্থান দিবস বা পুনরুত্থান রোববারও বলা হয়।

ইস্টার উদযাপন

খ্রিস্টান সম্প্রদায় জুড়ে ইস্টারের ঐতিহ্য ব্যাপক। কেউ কেউ এই দিনে যিশুকে অভিনন্দন জানাতে ইস্টারের দিনে ডিম সাজিয়ে থাকেন। কেউ কেউ আবার ইস্টার প্যারেডগুলিতেও অংশগ্রহণ করে থাকেন। আসলে ইস্টারের বেশিরভাগই ছুটি থাকে। কিন্তু যেখানে ছুটি নেই সেখানে তিন ঘণ্টা কাজ বন্ধ থাকে কারণ যিশুকে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছিল ৩টার সময়। এছাড়াও ইস্টার সানডে উদযাপনের জন্য খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষের রাতে গির্জায় জড়ো হয়ে মোমবাতি জ্বালিয়ে রাতভর যিশু খ্রিস্টের নাম এবং তাঁর দেওয়া বাণীকে স্মরণ করেন।

ইস্টারে ডিমের ব্যাপক ভূমিকা

ইস্টার উদযাপনের প্রধান প্রতীক হল ডিম। ইস্টার নবায়ন, উদযাপন, পুনরুজ্জীবন, পৃথিবীতে বসবাসকারী প্রতিটি মানুষের জন্য অগ্রগতির প্রতীক। এই দিনে ডিম সজ্জিত করে একে অপরকে উপহার দেওয়া হয় যা একটি শুভ চিহ্নর ইঙ্গিত দেয়। তাই রঙিন ডিম ছাড়া ইস্টারের মজা নেই। ঐতিহ্যগতভাবে এই ডিম বাবা-মায়েরা লুকিয়ে রাখেন এবং বাচ্চাদের খুঁজে বের করতে হয়। খ্রিস্টধর্মে, ডিম পুনরুত্থানের প্রতীক। এটি বসন্তের সঙ্গে জড়িত।

ইস্টারে ডিমের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে কারণ পাখি প্রথম যেভাবে তার নীড়ে ডিম দেয়। এর পরে, এটি থেকে ছানা বেরিয়ে আসে। এই কারণেই, ডিমকে একটি শুভ স্মৃতিস্তম্ভ হিসাবে বিবেচনা করা হয় এবং ইস্টারের সময় এটি বিশেষ সম্মানের সঙ্গে ব্যবহার করা হয়। কোথাও পেইন্টিং করে, কোথাও অন্যভাবে সাজিয়ে একে অপরকে উপহার হিসেবেও তাই ডিম দেওয়া হয়। রাশিয়া এবং পোল্যান্ডের মতো দেশে, ইস্টার ডিম একটি নতুন জীবনের প্রতীক।

ইস্টারের তারিখ প্রতি বছর পরিবর্তিত হয়। চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে ৩১ মার্চ পালিত হবে ইস্টার।

;