কাজের মান নিয়ে কোনো কম্প্রোমাইজ হবে না: এলজিআরডি মন্ত্রী



শাহজাহান মোল্লা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম

স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রামীণ রাস্তা বা কোনো শহর ‍উপ শহরের রাস্তার কাজের মান নিয়ে দীর্ঘ দিনের অভিযোগ থেকে পরিত্রাণ দিতে বদ্ধপরিকর স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, ৬০ ভাগ বা ৮০ ভাগ নয় শতভাগ মান সম্পন্ন কাজ করতে হবে। কাজের মান নিয়ে কোনো কম্প্রোমাইজ করব না। এজন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যারা সারাদেশের কাজের মান পর্যবেক্ষণ করবে। এখানে কেউ অনৈতিক সুবিধার আশ্রয় নিয়ে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা থাকবে।

মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) রাতে বার্তা২৪.কম আয়োজিত ‘বন্যা ও করোনা পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কতটা প্রস্তুত স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়’ শীর্ষক লাইভ অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে একথা বলেন এলজিআরডি মন্ত্রী। বার্তা২৪.কম এর সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট শাহজাহান মোল্লার সঞ্চালনায় লাইভ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী দেশের বন্যা পরিস্থিতি ও করোনা পরিস্থিতি নিয়ে নানা প্রশ্নের জবাবে দেন।

গ্রামীণ রাস্তার কাজ নিয়ে অভিযোগের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমি স্থানীয় সরকার বিভাগের সকল নির্বাহী প্রকৌশলদের নিয়ে বৈঠক করেছি। সেখানে কিছু নির্দেশনা দিয়েছি। আমি রাস্তা নির্মাণ করা আগে রাস্তার পাশে মানকি হ্যামার দিতে বলেছি। তাছাড়া বিটুমিনের থিকনেস ঠিক রাখার জন্য যা করার সেগুলো করতে হবে। অনেকেই সেটা করেন না, যেন তেন ভাবে করে রাখে। এরকম কোন অভিযোগের সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা নকশার পরিবর্তন করেছি যেটা এখন পরিকল্পনা কমিশনে অনুমোদনের অপেক্ষায়। ভাল বিটুমিন দিয়ে কাজ করতে হবে। এত কিছু বলার পরেও কেউ যদি অনৈতিকতার সাথে সম্পৃক্ত হয়, দুর্নীতির সাথে সম্পৃক্ত হয় বা খারাপ কাজ করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রকৌশলীদের কেউ কেউ চাপের কথা বলেছেন। আমি বলে দিয়েছি কেউ চাপ দিলে আমাকে বলবেন, আর তাদের বলে দিতে হবে যদি খারাপ কাজ করি তাহলে তার চাকরি থাকবে না। ভাল কাজ করলে স্যালুট খারাপ কাজ করলে শাস্তি আমি এই নীতিতে বিশ্বাস করি। আমার এলাকাতেও সুশাসন কায়েম করতে চাই। সেখানে আমার আত্মীয় স্বজন হোক আর যেই হোক যে ভাল কাজ করবে তাকে স্যালুট আর যে খারাপ করলে আত্মীয় হলেও ছাড় নয়।

মানুষের মুখের কথায় যে কাজ দেওয়া হয় তার ৬০ ভাগ কাজও যদি যথাযথভাবে করে তাতেও কাজের মান এত খারাপ হয় না এর সঙ্গে আপনি একমত কি না? ৬০ ভাগ কেন করবে? শতভাগ করবে। এটা তো কোন কথা হলো না ৬০ ভাগ করবে, ৮০ ভাগ করবে। যে কন্ট্রাকটারকে কাজ দেওয়া হয় সেখানে তার লভ্যাংশ ধরা হয়, কিছু মিসম্যাচ ধরেই কাজ দেওয়া হয়। সেখানে ৬০ ভাগ কেন করবে। শতভাগ করলে লভ্যাংশ পাবে না করলে পাবে না। কাজের মান যাচাই করার জন্য আমরা ২০টা টিম করেছি। অল্প দিনের মধ্যে অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে আর একটা উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন টিম করা হবে। যারা সারা দেশে কাজগুলো সুপারভাইজ করবে। আমি বলে দিয়েছি শতভাগ কোয়ালিটি দিতে হবে।

রাস্তা আছে তো ব্রিজ নেই, আবার ব্রিজ আছে তো রাস্তা নেই এমন কেন হয়? মন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন সময়ে কিছু কিছু অপরিকল্পিত কাজ যে হয় নাই তা না। হাজারটা কাজের মধ্যে দুই একটা হয়েছে। দেখা গেছে ব্রিজগুলো এমন জায়গায় করা হয়েছে যেটা করার দরকার ছিল না অথবা এমনভাবে করা হয়েছে সেখানে রাস্তাই এখন করা যাচ্ছে না। এরকম কিছু কিছু ঘটনার সম্পর্কে আমি নিজেও অবহিত। তবে ওই সকল কাজ জনকল্যাণমুখী করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বলে দিয়েছি যত্রতত্র আর কোন ব্রিজ করা যাবে না।

মন্ত্রী বলেন, খাল নদীর নাব্যতা রক্ষা করেই সকল পরিকল্পনা নিতে হবে। এজন্য নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সমন্বয় করে প্লানগুলো করবে। যদি কোথও কোন ব্রিজ ভাঙার প্রয়োজন হয় তাহলে অবশ্যই সেটা ভাঙতে হবে। আর এখন কোথাও কাজ হাফডান করে রাখা যাবে না। আমরা টাইম লাইন দিয়ে দিতে বলেছি কোন কাজ কবে শেষ হবে। সেভাবেই পরিকল্পনা দিতে হবে। কেউ অর্ধেক কাজ করে ফেলে রাখবে এটি আর হবে না।

‘সিটি করপোরেশনের সক্ষমতা দেখে খালের দায়িত্ব হস্তান্তর’

   

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় 'বিসিডিপি' গঠন করবে বাংলাদেশ: পরিবেশমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় অর্থ পেতে সরকার বাংলাদেশ জলবায়ু উন্নয়ন অংশীদারিত্ব (বিসিডিপি) গঠন করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ ক্লাইমেট ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপ (বিসিডিপি) বিষয়ে ডেভেলপমেন্ট পার্টনারদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, উন্নয়ন সংস্থাগুলো বিচ্ছিন্নভাবে নানা প্রতিষ্ঠানকে জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলায় অর্থ দিয়ে আসছে। এ ক্ষেত্রে কোন শৃঙ্খলা না থাকায় সেই অর্থের সদ্ব্যবহার হচ্ছে না। সরকারের সঙ্গে উন্নয়ন অংশীদারদের সম্পর্ক আরো শক্তিশালী করতে এই প্লাটফর্ম ভূমিকা রাখবে।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ২০৫০ সালের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশের দরকার ৫৩৪ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ডেলটা প্ল্যান বাবদ ৪৭ বিলিয়ন, ন্যাশনাল এডাপটেশান প্ল্যান বাবদ ২৩০ বিলিয়ন, মুজিব ক্লাইমেট প্রোসপারিটি প্ল্যান বাবদ ৯০ বিলিয়ন আর ন্যাশনাল ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশন বাস্তবায়নে দরকার ১৭৬ বিলিয়ন ডলার। আমাদের লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম করে এমন বিনিয়োগগুলি অর্জনের জন্য, আমরা উল্লেখযোগ্য অর্থনীতি এবং অংশীদারদের সাথে কাজ করতে আগ্রহী। উন্নয়ন সংস্থাগুলো এক সাথে কাজ করলে সমস্যার সমাধান সহজ হবে।

সাবের হোসেন বলেন, এই অংশীদারিত্ব সরকারকে বৈশ্বিক জলবায়ু তহবিল থেকে জলবায়ু অর্থ সংগ্রহে সহায়তা করতে পারে, যার ফলে সামগ্রিক বৈশ্বিক জলবায়ু অর্থ কাঠামোর উন্নতি ঘটবে। এটি অপরিহার্য যে সরকার এই সুযোগটিকে তার পূর্ণ সম্ভাবনার সাথে ব্যবহার করবে, কারণ এটি জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে লড়াই করার এবং তার নাগরিকদের জন্য একটি টেকসই ভবিষ্যত নিশ্চিত করার দেশের ক্ষমতার উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ এবং বাংলাদেশের এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটিং। মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) ইকবাল আবদুল্লাহ হারুন বিসিডিপি বাস্তবায়নের নির্দেশনা উপস্থাপন করেন। এছাড়াও, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

;

সম্পত্তির জন্য আপন তিন ভাই-বোনকে হত্যা, দুইজনকে মৃত্যুদণ্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামির বালুছড়া এলাকায় ২০ বছর আগে সম্পত্তির জন্য আপন তিন ভাই-বোনকে গুলি করে হত্যা মামলায় দুই জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে তাদের দুই লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত দুজন হলেন- আবুল কাশেম প্রকাশ ওরফে জামাই কাশেম (৭০) ও মো. ইউসুফ প্রকাশ ওরফে বাইট্যা কাশেম (৭০)।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রামের প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. কামাল হোসেন সিকদার এ রায় দেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেঞ্চ সহকারী আল আমিন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, সম্পত্তির জেরে বায়েজিদ বোস্তামি থানার দক্ষিণ পাহাড়তলী এলাকার বাসিন্দা মো. সাইফুল ইসলামের সাথে দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামির দীর্ঘদিন যাবত দ্বন্দ্ব চলছিলো। ২০০৪ সালের ৩০ জুন আসামিরা মোটরসাইকেলে করে বালুছড়ার বাসায় গিয়ে সাইফুল ইসলাম, তার ভাই আলমগীর এবং বোন মিনুকে গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় ওই বছরের ১৯ জুলাই সাইফুল ইসলামের স্ত্রী আয়েশা আক্তার শিল্পী বাদী হয়ে বায়েজিদ বোস্তামি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বায়েজিদ থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক মো. আমিনুল ইসলাম আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ২০০৫ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. ফয়েজ বলেন, এই মামলায় মোট ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। আসামি কাশেম ও ইউসুফের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের দণ্ডবিধির ৩০২, ১১৪ ও ৩৪ ধারায় মৃত্যুদণ্ড এবং দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। রায়ের সময় আসামি কাশেম ও ইউসুফ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদের সাজা পরোয়ানামূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;

চলতি বছরেই ২৫ শতাংশ ভাটায় ব্লক ইট তৈরি নিশ্চিত করতে হবে: ডিসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেছেন, জেলার বিভিন্ন উপজেলায় যে সকল ইটভাটা রয়েছে সেগুলোর মধ্যে কিছু কিছু ভাটায় ম্যানুয়ালি ও অটো পদ্ধতির পাশাপাশি ব্লক ইট তৈরী করা হচ্ছে। ভাটায় ব্লক ইট তৈরি করলে অন্য ইটভাটার মতো পরিবেশ দূষণ করবে না। বায়ু দুষণ রোধসহ পরিবেশবান্ধব ব্লক ইট তৈরির কোন বিকল্প নেই। যাদের একাধিক ইটভাটা রয়েছে চলতি বছরের মধ্যেই তাদের অন্তত ২৫ শতাংশ ভাটায় ব্লক ইট তৈরি করে সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ অনুসরণ ও পোড়ানো ইটের পরিবর্তে ব্লক ব্যবহারের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় করণীয়’ সংক্রান্তে ইটভাটা মালিক-সমিতির নেতাদের সঙ্গে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ডিসি বলেন, ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ইট তৈরী কার্যক্রম ধীরে ধীরে বন্ধ করে দিতে হবে। কৃষি জমির উর্বরতা বৃদ্ধি ও আশানুরূপ ফসল ফলানোর লক্ষ্যে টপ সয়েল কর্তন থেকে বিরত থাকতে হবে। এ বিষয়ে জাতির পিতার সুযোগ্য কন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্পষ্ট নির্দেশনা মানতে হবে এবং বাসযোগ্য পৃথিবী গড়তে ব্লক ইট তৈরীর বিষয়টি বাস্তবায়ন করতে হবে।

তিনি বলেন, নতুন করে আর কোন ইটভাটার লাইসেন্স দেয়া হবে না। যেগুলো আছে সেগুলো থেকে পর্যায়ক্রমে কমিয়ে এনে পরিবেশবান্ধব ইটভাটাগুলো রাখা হবে। চাহিদা থাকলে ব্লক ইটের সরবরাহ বাড়বে। প্রকৃত ও বৈধ ইটভাটা মালিকগণ যাতে কোন ধরণের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন না হয় সে লক্ষ্যে গণপূর্ত, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল, সড়ক ও জনপথ (সওজ), শিক্ষা ও স্বাস্থ্য প্রকৌশলসহ বিভিন্ন সরকারী প্রতিষ্ঠান ও দপ্তর এবং সিপিডিএল ও স্যানমারসহ বিভিন্ন বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে ব্লক ইটের চাহিদাপত্র নিয়ে ইটভাটা মালিক পক্ষকে জানিয়ে দেয়া হবে। আগামী মাসে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মহোদয়কে নিয়ে ইটভাটা ব্যবসা সংক্রান্তে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার বাস্তবায়নে চট্টগ্রামে একটি সভা আহবান করা হবে। সিটি মেয়র, সিডিএ চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র ও জেলা-উপজেলা ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির নেতাদের থেকে একজন করে প্রতিনিধিকে সভায় আমন্ত্রণ জানানো হবে।

ইটভাটা মালিকদের প্রশ্নের জবাবে বালি সরবরাহ বিষয়ে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, কর্ণফুলী নদীসহ রাউজান, রাঙ্গুনিয়া ও অন্যান্য এলাকার বিভিন্ন ছোট-বড় খালে বালির অভাব নেই। এখনো যে পরিমান বালি আছে তাতে আগামী ৫ বছরেও আশা করি কোন সমস্যা হবে না, আপনারা আবেদন করেন, সরকার নির্ধারিত মূল্যে বালির ব্যবস্থা হবে। আগামী ২০৪১ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাশাপাশি ১৮-৬০ বছরের বেসরকারী ও ব্যক্তি পর্যায়ে যে কোন ব্যক্তিকে সার্বজনীন পেনশন স্কীমের আওতায় আসার আহবান জানান ডিসি।

সভায় পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোঃ ফেরদৌস আনোয়ার বলেন, ব্লক ইট তৈরীর ছাড়পত্রের জন্য ইটভাটা মালিকগণ প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট দিয়ে আবেদন করলে তা শুনানী শেষে দ্রুততার সাথে দেয়া হবে। কোন ধরণের বেগ পেতে হবে না। ছাড়পত্র পেলে বিদ্যুৎ সংযোগও দ্রুত সময়ে পাওয়া যাবে। জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর এ ব্যাপারে সহযোগিতা করবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সভায় চট্টগ্রাম জেলা ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির সভাপতি ও রাউজান পৌরসভার মেয়র মো. জমির উদ্দিন পারভেজ বলেন, দুষণবিহীন ইটভাটায় ব্লক ইট তৈরী করতে গিয়ে মালিক পক্ষ যাতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে বিষয়ে সরকারের নজরদারী প্রয়োজন। পরিবেশ দুষণ করে আমরা কেউ ইট তৈরী করতে চাই না। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মেনেই পরিবেশবান্ধব ইট তৈরী করতে আমরা বদ্ধপরিকর।

তিনি বলেন, নদীগুলো ভরাট হয়ে যাচ্ছে। এগুলো ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে বালি উত্তোলন করা যাবে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতা প্রয়োজন। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ অনুসরণ ও বাস্তবায়ন করতে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার রাজীব হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আবদুল মালেক, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) একেএম গোলাম মোর্শেদ খান, চট্টগ্রাম জেলা ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদারসহ বিভিন্ন উপজেলা ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির সভাপতি ও সম্পাদক।

;

বগুড়ায় কিশোরকে আটকে রেখে নির্যাতন, ৬০ হাজার টাকা আদায়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,বগুড়া
বগুড়ায় কিশোরকে আটকে রেখে নির্যাতন, ৬০ হাজার টাকা আদায়

বগুড়ায় কিশোরকে আটকে রেখে নির্যাতন, ৬০ হাজার টাকা আদায়

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ায় এক কিশোরকে আটকে রেখে নির্যাতন করে তার পরিবারের কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা চাঁদা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে শিবগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আইনুল হকের বিরুদ্ধে। আহত অবস্থায় ওই কিশোরকে হাসপাতালে ভর্তি করার পর এসআই আইনুল চিকিৎসার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছেন।

তবে এসআই আইনুল হক টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন পুলিশের সাথে উচ্চ বাচ্য করায় চড় থাপ্পড় দিয়েছি। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মত কিছু না।

আর শিবগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রউফ বলেছেন, এসআই আইনুলের মাথার (ব্রেইনের) সমস্যা রয়েছে।

নির্যাতনের শিকার শাকিল আহম্মেদ (১৭) শিবগঞ্জ থানার আটমুল ইউনিয়নের ভায়ের পুকুর মন্ডলপাড়া গ্রামের ছাকরাম হোসেনের ছেলে।

বুধবার ( ১৭ এপ্রিল) শিবগঞ্জ থানার কিচক বাজারে ছাকরাম হোসেনের রিকশা ও সাইকেলের খুচরা যন্ত্রাংশের দোকানে আটকে রেখে তার ছেলেকে নির্যাতন করা হয়।

ছাকরাম হোসেন বলেন, বুধবার সকাল ১০টার দিকে এসআই আইনুল তার দোকানে যান। এসময় তিনি জয়পুরহাটে ব্যবসায়িক কাজে অবস্থান করছিলেন। দোকানে তার ছেলে ও কর্মচারী ছিল। এসআই আইনুল দোকানে গিয়ে একটি মোটরসাইকেল দেখে সেটি চোরাই বলে থানায় নিয়ে যেতে চায়। পরে তার ছেলে বাড়ি থেকে কাগজপত্র এনে দেখানোর পর এসআই আইনুল বলেন দোকানের মালামাল ভারত থেকে চোরাই পথে আনা হয়েছে। বিষয়টি তার ছেলে মোবাইল ফোনে ছাকরাম হোসেনকে জানালে তিনি এসআই আইনুলের সাথে কথা বলেন।

এসআই আইনুল সেসময় দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে বলেন, টাকা না দিলে দোকানের মালামাল থানায় নিয়ে ভারতীয় মালামাল হিসেবে মামলা দিব। এ নিয়ে তার ছেলের সাথে তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে ছেলেকে দোকানে আটকে রেখে লোহার পাইপ দিয়ে মারধর শুরু করে। ছাকরাম হোসেন বলেন, ছেলেকে মারধরের খবর পেয়ে আমার স্ত্রী লাভলী বেগম বাড়ি থেকে ৬০ হাজার টাকা এবং দোকানের মালামাল কেনার মেমো নিয়ে কিচক বাজারে এসে দোকানে এসআই আইনুলকে দেন।

দুপুর দুইটার দিকে এসআই আইনুল ৬০ হাজার টাকা নিয়ে দোকান থেকে চলে যান। এদিকে নির্যাতনে শাকিল আহম্মেদ অসুস্থ হয়ে পড়লে বুধবার সন্ধ্যার পর তাকে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্সরিল) সকালে খবর পেয়ে এসআই আইনুল হাসপাতালে গিয়ে শাকিল আহম্মেদকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে হাত ও পায়ের এক্সরে করান। পরে ওষুধ কিনে দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন এবং যাবতীয় চিকিৎসা খরচ বহন করার প্রতিশ্রুতি দেন। এছাড়াও ঘটনাটি কাউকে না জানানোর জন্য অনুরোধ করেন।

এবিষয়ে এসআই আইনুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি কিচক বাজারে আসামি ধরতে গেলে ছাকরামের দোকানে যাই। সেখানে তার ছেলে আমার সাথে উচ্চ বাচ্য করে। একারণে চড় থাপ্পর দিয়েছি। তবে কোন টাকা নেয়া হয়নি। তিনি বলেন, শাকিল আহম্মেদের বাবাকে ফোন করে বলেছি চড় থাপ্পর দেয়ার কারণে হাসপাতালে ভর্তি করানোর কারণ কি? এতে তারা স্বেচ্ছায় হাসপাতাল থেকে চলে গেছে।

শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ বলেন, শাকিল আহম্মেদের নির্যাতন করে ৬০ হাজার টাকা আদায়ের বিষয়টি জানা নাই। তবে এসআই আইনুল হকের মাথার সমস্যা আছে উল্লেখ করে ওসি বলেন, ২০২৩ সালের প্রথম দিকে তিনি রাজশাহী জেলার চারঘাটে গ্রামের বাড়িতে গিয়ে মারামারি করে গুরুতর আহত হয়েছিলেন। সেই সময় তার নামে চারঘাট থানায় মামলা হয়।

তিনি পাঁচ মাস কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। যে কারণে বেশকিছুদিন সাময়িক বরখাস্ত ছিলেন। ওই ঘটনায় তার নামে বিভাগীয় মামলা চলমান রয়েছে। জমিজমা নিয়ে গ্রামে মারামারি করে মাথায় আঘাত পাওয়ার পর থেকেই তার ব্রেইনে (মাথায়) সমস্যা দেখা দেয়। তবে শাকিল আহম্মেদের বিষয়টি কেউ অভিযোগ না করলেও অনুসন্ধান করে সত্যতা পাওয়া গেলে এসআই আইনুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

;