পুষ্পস্তবক অর্পণ, মানববন্ধন, বৃক্ষরোপণ ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে মানিকগঞ্জে চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ ও সাংবাদিক মিশুক মুনীরের ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
মূলত ২০১১ সালের ১৩ আগস্ট মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার জোকা এলাকায় চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ ও সাংবাদিক মিশুক মুনীরকে বহনকারী মাইক্রোবাসের সঙ্গে চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স পরিবহনের একটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলেই তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরসহ পাঁচজন নিহত ও তিনজন গুরুতর আহত হন।
বিজ্ঞাপন
নিহত অন্যরা হলেন- মাইক্রোবাসচালক মোস্তাফিজুর রহমান, প্রোডাকশন সহকারী ওয়াসিম হোসেন ও জামাল হোসেন। আহতরা হলেন- তারেক মাসুদের স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদ, শিল্পী ঢালী আল মামুন ও তার স্ত্রী দিলারা বেগম জলি।
হতাহতরা কাগজের ফুল ছবির শুটিং স্পট দেখে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার শালজানা গ্রাম থেকে ঢাকায় ফিরছিলেন।
মানববন্ধনে ঢাকা-আরিচা রেল সড়ক নির্মাণের দাবি জানান বক্তারা। এছাড়া মানববন্ধন থেকে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে চালকদের প্রতি ট্রাফিক আইন মেনে চলার পাশাপাশি নিরাপদ সড়কের দাবিও জানানো হয়।
এদিকে তারেক-মিশুকের গাড়িকে চাপা দেয়া ঘাতক বাস চালক সাজাপ্রাপ্ত আসামি জামির হোসেন গত ১ আগস্ট কাশিমপুর কারাগারে মারা যান।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিন মাস ধরে চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল বৃহস্পতিবার মারা যান বেনাপোলের আবদুল্লাহ। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) তাকে গার্ড অব অনার প্রদানের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে।
এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় বেনাপোল পৌর বল ফিল্ড মাঠে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী নাজিব হাসান। পরে তার মরদেহ বেনাপোলের বড়আঁচড়া গ্রামে পারিবারিক কবর স্থানে দাফন করা হয়। এসময় স্থানীয় প্রশাসন, রজনীতিবিদ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ০৫ আগস্ট সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে দির্ঘ তিন মাস মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়েন আব্দুল্লাহ। পরে অবস্থার অবনতি হয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকা সিএমএইস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
নিহত আব্দুল্লাহ বেনাপোল পৌরসভার বড়আঁচড়া গ্রামের জব্বার আলীর ছেলে এবং সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের পলিটিকাল সায়েন্সের ছাত্র ছিল। ৪ ভাই বোনের মধ্যে সবার ছোট আব্দুল্লাহ। বড় ভাই বাবু ও মেঝ ভাই মিঠু ট্রাক শ্রমিক। আর বোন শশুর বাড়িতে। বাবা বন্দর শ্রমিক।
এদিকে আব্দুল্লার মৃত্যুর খবরে গতকাল বেনাপোল বন্দর পরিদর্শনে আসা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নৌ, পরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদপেষ্টা ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব:) এম সাখাওয়াত হোসেন নিহতের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারকে সান্তনা দেন। ঐ সময় বেনাপোল পৌরসভার পক্ষ থেকে ২৫ হাজার ও জেলা প্রশাসন থেকে ২৫ হাজার টাকা সহযোগীতা করা হয়। এছাড়া বিভিন্নভাবে সহযোগীতার আশ্বাস দেন উপদেষ্টা।
চট্টগ্রাম নগরীতে ১৫ হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে অংকুরের বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সামাজিক ও শিক্ষামূলক সংগঠন ‘অংকুর শিশু কিশোর সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংসদ’র উদ্যোগে এই প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা আয়োজন করা হয়।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বন্দর নগরীর ৯টি কেন্দ্রে সকাল ১০টা থেকে একযোগে বৃত্তি পরীক্ষা শুরু হয়। নির্ধারিত সময় পর সকাল ১১টায় পরীক্ষা শেষ হয়। এতে নগরীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৪র্থ শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণির প্রায় ১৫ হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন অংকুর বৃত্তি প্রকল্পের চেয়ারম্যান প্রফেসর মোহাম্মদ নুরুন্নবী, প্রধান উপদেষ্টা ফখরুল ইসলাম বাবু, সাবেক প্রধান উপদেষ্টা ড. আ ম ম মসরুর হোসাইন, আহ্বায়ক তানজীর হোসেন জুয়েল, সদস্য সচিব সানাউল্লাহসহ পরিচালনা পর্ষদ ও কর্ম পরিষদের সদস্যরা।
অংকুর বৃত্তি প্রকল্পের চেয়ারম্যান প্রফেসর মোহাম্মদ নুরুন্নবী বলেন, ১৯৮৫ সাল থেকে যাত্রা শুরু করা। এ বৃত্তি পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের মেধাবিকাশ, সৃজনশীলতা ও মননশীলতা বিকাশে অবদান রেখে চলছে। অংকুরের এই বৃত্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার মান উন্নয়ন, প্রসার ও শিক্ষার্থীদের মেধাবিকাশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি জানান। এসময় তিনি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করায় আয়োজক কমিটি, অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী, তাদের অভিভাবক ও শিক্ষকদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
প্রসঙ্গত, অংকুর শিশু কিশোর সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংসদ ১৯৮৭ সাল থেকে বৃত্তি প্রকল্প ছাড়াও স্বাস্থ্য, ক্রীড়া, দরিদ্র তহবিল ও যোগ্য মানব সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পসহ বিভিন্ন ছাত্রকল্যাণমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
জুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলনে নিহত কলেজছাত্র তানভীর ছিদ্দিকীর চাচতো ভাই কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলা যুবদল নেতা জিয়াউর রহমানকে জিয়াকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগে তুলেছেন পরিবারের সদস্যরা।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে এমন অভিযোগ তোলেন তারা। কর্মসূচিতে পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি ছাত্র-জনতাও অংশ নেন।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়ারা বলেন, মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও শহীদ তানভীর সিদ্দিকী হত্যা মামলার অন্যতম আসামি তারেক বিন উসমান শরীফের ইন্ধনেই জিয়াকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে।
মানববন্ধনে শহীদ তানভীর সিদ্দিকীর ফুফি খায়রুন্নেছা রুবি বলেন, ‘যুবদল নেতা জিয়াকে গ্রেফতারের পেছনে আরও ইন্ধন দিয়েছে শহীদ তানভীর সিদ্দিকী হত্যা মামলার অন্যতম আসামি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি উসমান গণি। তার সে সময়ের রাজনৈতিক সহযোগী, বন্ধু ও ছাত্রলীগের ক্যাডারদের অনেকে বর্তমানে প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন। এই মাফিয়া নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে জাতীয়তাবাদী নেতাকর্মী ও জুলাই অভ্যুত্থানের বিপ্লবীদের নিধনের ঘৃণ্য মিশনে নেমেছেন তিনি।’
তানভীর সিদ্দিকীর চাচা কামরুল হাসান রুবেল বলেন, ‘৫ ও ৬ই আগস্ট বা তারও পরবর্তী সময়ে স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমে প্রচারিত খবরে মহেশখালী থানায় হামলা কিংবা পুলিশের অস্ত্র লুটের অভিযোগ পাওয়া যায়নি। কক্সবাজার মডেল থানা, ঈদগাও থানা এবং চট্টগ্রামের চাঁন্দগাও থানায় উত্তেজিত জনতার হামলার খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার করা হয়েছে। জুলাই বিপ্লবের সেই উত্তাল সময়ে জিয়া মহেশখালী অবস্থান করছিলেন। এমতাবস্থায় তার কাছে পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারের তথাকথিত দাবি কীভাবে যুক্তিসঙ্গত হতে পারে?’
কামরুল হাসান বলেন, ‘প্রশাসন যেভাবে তাকে একজন দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে উপস্থাপন করলো তাতে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠে তাহলে কেন তিনি দুটি অস্ত্র এবং তাজা বুলেট নিয়ে নিঃসংকোচে নিজের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন?’
শহীদ তানভীর সিদ্দিকীর দাদা মো. শফি বলেন, ‘গতমাসে শহীদ তানভীর সিদ্দিকীর পরিবারকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে একটি বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়া হয়। যা সারাদেশে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। বাড়ি হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিলেন শহীদ তানভীর সিদ্দিকীর চাচাতো ভাই জিয়া। তার তত্ত্বাবধানে হস্তান্তর অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়। তখন সেখানে প্রশাসনের লোকজন, বিশেষ করে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ও সদস্যবৃন্দ, পুলিশ ও এবং স্থানীয় সচেতন নাগরিকেরা উপস্থিত ছিলেন। তখন কারো মনে হলো না জিয়া একজন দুর্ধর্ষ ডাকাত! সেলুকাস! পরবর্তী সময়ে কক্সবাজার জেলার ডিসি মহোদয়ও শহীদ তানভীর সিদ্দিকীর কবর জিয়ারত ও তার পরিবারের খোঁজখবর নিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি ও তার সঙ্গে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সদস্য ঘুণাক্ষরেও টের পাননি জিয়া ভয়ংকর ডাকাত!’
আসলে জুলাই বিপ্লবের স্টেকহোল্ডারদের বিবৃত সতর্কবার্তাই সঠিক। আওয়ামী ফ্যাসিস্ট ও দোসরদের অর্থনীতির খুঁটি অনেক শক্ত। তারা বিগত পনেরো বছর চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, জবরদখল, দুর্নীতি করে টাকার পাহাড় তৈরি করেছে। তারা ইতোমধ্যে সেই টাকা দিয়ে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে দেশকে অস্থিতিশীল করার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। এসব খুনিরা নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি জুলাইয়ের বিপ্লবীদের নিধনের মিশনে নেমেছে। প্রশাসনের নাকে৷ ডগায় বসেই তারা এসব অপকর্ম করছে।
শহীদ তানভীর সিদ্দিকীর পিতা বাদশা মিয়া বলেন, ‘স্বৈরাচারের পতন হয়েছে আজকে প্রায় সাড়ে তিনমাস হতে চললো। শহীদ তানভীর সিদ্দিকী হত্যা মামলার একজন আসামিকেও প্রশাসন গ্রেফতার করেনি। জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, শহীদ তানভীর, আবু সাঈদ, ওয়াসিমসহ প্রায় দেড় হাজার শহীদের আত্মদান কি তবে ব্যর্থ হবে? আমরা এটা হতে দিতে পারি না। প্রয়োজনে দেহের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও এই স্বাধীনতা আমরা রক্ষা করবো।অবিলম্বে জুলাইয়ের হত্যাকারী ও ষড়যন্ত্রকারীদের গ্রেফতারপূর্বক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। আর জিয়ার বিরুদ্ধে করা সকল ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা-বানোয়াট মামলা প্রত্যাহার করে তাকে মুক্তি দিতে হবে।’
শহীদ তানভীর সিদ্দিকীর চাচাতো ভাই দেলোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- শহীদ তানভীর সিদ্দিকীর চাচা মহেশখালী উপজেলা যুবদলের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি আবু হেনা মোস্তফা কামাল, সাবেক ছাত্রদল নেতা রবিউল হাসান কর্নেল, আরকান শাহরিয়ার, মো. কাজল, শ্রমিক দল নেতা সরওয়ার আলম, চট্টগ্রাম যুব ক্যাবের সভাপতি মো. আবু হানিফ, বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবির নেতা নিয়াজ উদ্দিন দিনার, সৈয়দ সোহরাব সাহল, বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিমেল, হাজেরা তজু কলেজের শিক্ষার্থী আফসানসহ অসংখ্য কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও সাধারণ জনগণ মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেন।
অন্তর্বর্তী সরকার তিন দফায় ১৬৭ জন সাংবাদিকের অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা। এ তালিকায় অনেক পেশাদার ও সক্রিয় সাংবাদিক এবং সম্পাদকের নামও রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম ‘ইন্ডিপেন্ডেন্ট’।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস অন্তর্বর্তী সরকারের এই পদক্ষেপের জন্য এক বিবৃতিতে বলেছে, সাংবাদিকদের অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল করা ‘সেলফ সেন্সরশিপকে’ উৎসাহিত করে।
তারা আরাও জানিয়েছে, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক বিভিন্ন মামলা পর্যবেক্ষণের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হলেও সেই কমিটি গঠনের এক সপ্তাহের মধ্যে অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল করার কারণ তাদের কাছে বোধগম্য নয়।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারনেশনাল বাংলাদেশে (টিআইবি) বিবৃতি উল্লেখ করে বলা হয়েছে, সংবাদপত্রের বিরুদ্ধে হুমকি ও হামলার বিভিন্ন ঘটনাসহ এই অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল করার পদেক্ষপ একটি গণবিরোধী কর্তৃত্ববাদী শাসনকে নির্দেশ করে।
এছাড়া বাংলাদেশের সম্পাদক পরিষদের বিবৃতি উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্পাদক পরিষদ মনে করে, অ্যাক্রেডিটেশন কার্ডের কোনো অপব্যবহার হলে তা রিভিউ করার অধিকার তথ্য মন্ত্রণালয় রাখে। তবে এভাবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও অপরাধের প্রমাণ ছাড়াই ঢালাওভাবে প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিলের পদক্ষেপ সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য হুমকি ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিতের অন্তরায়।
এর মধ্য দিয়ে গণমাধ্যমে সেন্সরশিপসহ নিয়ন্ত্রণবাদী পরিবেশ তৈরির ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে, যা জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের মূল চেতনারও পরিপন্থি। বিষয়টিকে বিগত অতি নিয়ন্ত্রণবাদী কাঠামোর অগণতান্ত্রিক চর্চারই পুনরাবৃত্তি হিসাবে দেখছে সম্পাদক পরিষদ।
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের তোপে ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে পালিয়েছে শেখ হাসিনা। একই সাথে ভেঙে গেছে দীর্ঘদিনের আওয়ামী শাসন। এরপর ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
দায়িত্ব নেওয়ার পরই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও মুক্ত সংবাদপত্র সমুন্নত রাখার অঙ্গীকার করেছিলেন প্রধান উপদেষ্টা। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, আপনারা যেমন খুশি লিখুন, সমালোচনা করুন। আপনারা না লিখলে আমরা কী করে বুঝব যে, কী হচ্ছে আর কী হচ্ছে না?