ছয়দফা সম্পূর্ণ বঙ্গবন্ধুর নিজস্ব চিন্তার ফসল: প্রধানমন্ত্রী



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাঙালি সব সময় বঞ্চিত, অরক্ষিত ছিল তখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ছয়দফা প্রণয়ন করেন। ছয়দফা প্রণয়ন নিয়ে অনেকে অনেকভাবে বলতে চায়। কেউ বলে এর পরামর্শে ওর পরামর্শে কিন্তু আমি নিজে জানি এটা সম্পূর্ণ তার (বঙ্গবন্ধুর) নিজস্ব চিন্তার ফসল।

বুধবার (২৬ আগস্ট) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন এই অনুষ্ঠানে।

তিনি বলেন, ১৯৫৮ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করা হলো এবং পরে তিনি ১৯৫৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর মুক্তি পান। সে সময় ঢাকার বাইরে যেতে পারতেন না। তখন তিনি একটা আলফা ইন্সুরেন্স কোম্পানিতে চাকরি নেন। তাজউদ্দীন সাহেবও গ্রেফতার ছিল মুক্তি পেয়ে তিনিও একটা চাকরি নিয়ে চলে গিয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লাতে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব নিজে গিয়ে তাজউদ্দীন সাহেবকে নিয়ে আসলেন এবং আলফা ইন্সুরেন্সে চাকরি দিলেন। মোহাম্মদ হানিফ তাকেও চাকরি দেন তার পিএ হিসেবে। বঙ্গবন্ধু সব সময় নিজে বসে বসে চিন্তা করতেন নিজেই লিখতেন এবং হানিফকে দিয়ে টাইপ করাতেন। এখানে শুধুমাত্র হানিফ জানত, সেই টাইপ করেছিল এছাড়া কিন্তু আর কারো জানা ছিল না। এটা সম্পূর্ণ তার নিজস্ব চিন্তা থেকে ৬ দফা তৈরি করা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছয় দফার আন্দোলন এক দফায় পরিণত হয়। যখন এটা নিয়ে আলোচনা হতো আমাদের পতাকা কি হবে, জাতীয় সঙ্গীত কি হবে, আমাদের জাতীয় স্লোগান কি হবে এগুলো ছয়দফার সময় আলোচনা করতেন এবং বলে গিয়েছিলেন। এটা ছাত্রলীগকে সবার আগে বলে দেওয়া হতো যেন এটা আস্তে আস্তে ছাত্রদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। সব সময় একটা অগ্রণী ভূমিকা এই সংগঠন নিয়েছে। এটা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া। মানুষ এটা কিভাবে গ্রহণ করে মানুষের কাছে কিভাবে গ্রহণযোগ্যতা পায় সেটা হচ্ছে আগে তারপর জাতীয় পর্যায়ে তোলা। একটা জাতিকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করা, মানসিকভাবে প্রস্তুত করা এবং এই জাতিকে পাকিস্তান আন্দোলনের জন্য সঙ্গবদ্ধ করেছিলেন। স্বাধীনতা অর্জনের পেছনে ছয়দফা একটা ধাপ ছিল। আমাদের মুক্তির সংগ্রাম আমাদের বিজয় অর্জন। ইতিহাস আসলে মুছেই ফেলা হয়েছিল ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতার হত্যার পর। তার ৭ মার্চের ভাষণও নিষিদ্ধ ছিল। এই ভাষণ কখনো কেউ শুনতে পারত না। এখন আস্তে আস্তে সবাই জানতে পারছে।

 

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ থেকে কোনো ব্যবসা-বাণিজ্য করা যেত না। যা যেতে তা পাকিস্তান হয়েই যেতে হবে। অর্থাৎ তৃণমূলের মানুষের কোনো অধিকারই ছিল না। কেউ বৈদেশিক বাণিজ্য করতে পারত না, বঞ্চিত ছিল সেখান থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য ছয়দফা দাবি দেওয়া পর তাকে গ্রেফতার করা হয়। তখন আবার পশ্চিম পাকিস্তানি কিছু নেতা আর আমাদের দেশে সব সময় একটা দালাল শ্রেণি পাওয়া যায় তারা তাদের সাথে হাত মেলালো। তারা আবার ওখানে ছয়দফার বদলে আট দফা নিয়ে হাজির। তখন আব্বা জেলে আমার মা এ ব্যাপারে খুবই সচেতন ছিলেন। আমাদের অনেক জেলার বড় বড় নেতারা বা কেন্দ্রীয় নেতারা সেই ৬ দফাকে ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন যেটা সত্যিই খুব লজ্জাজনক। আমার মা বেগম ফজিলাতুন্নেছা অত্যন্ত দৃঢ়চেতা ছিলেন। কার্যকরী কমিটির সভায় ৬ দফা না ৮ দফা এটা নিয়ে তুমুল বির্তক সেখানে সিদ্ধান্ত হল ৬ দফা। এভাবে অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে আমাদের এগুতে হয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দিয়ে যখন ফাঁসি দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল তখন তুমুল আন্দোলন গড়ে তোলা হল। ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। সারা দেশের মানুষ ৬ দফাকে বেছে নিয়েছিল। কোনো একটা দাবি এতো অল্প সময়ের মধ্যে মানুষ এমনভাবে গ্রহণ করতে পারে এবং তার জন্য বুকের রক্ত বিলিয়ে দিতে পারে এটা সত্যিই অনন্য। যা সম্ভব হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে।

এর আগে ‘শতবর্ষে শত পুরস্কার’ শীর্ষক এক অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার ও সনদ প্রদান করা হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন ও ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে এই কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি।

অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। সভা পরিচালনা করেন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।

   

সেনাবাহিনীর চাকরির কথা বলে টাকা আত্মসাৎ, নিখোঁজ ৩



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টাঙ্গাইলে সেনাবাহিনীর চাকরি দেওয়ার কথা বলে ২৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া এবং তিন জন নিখোঁজের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবাররা।

রোববার (২৬ মে) দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু অডিটরিয়ামে এ সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে নাছিম উদ্দিন।

সংবাদ সম্মেলন ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, প্রথমে ঘাটাইলের উপজেলার সজিবের কাছ থেকে কয়েক দফায় চাকরি দেয়ার কথা বলে ৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় সেনাবাহিনীর সদস্য কনক। পরবর্তীতে তিনি গোপালপুর উপজেলার আতিকের কাছ থেকে ৮ লাখ টাকা এবং জামালপুরে জেলার বাসিন্দা উজ্জলের কাছ থেকে ১১ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়। ওই তিন জনকে সেনাবাহিনীর ভূয়া নিয়োগপত্র দেয়া হয়। পরে কুমিল্লা ক্যান্টমেন্টে যাওয়া কথা বলে ৩ জনকে নিয়ে যায় সেনাবাহিনীর সদস্য কনক। কিন্তু প্রায় ২ থেকে আড়াই মাস ধরে আমরা তাদের কোন খোঁজ খবর পাচ্ছি না। আমরা এ ঘটনায় ঢাকায় সেনাবাহিনীতে অভিযোগ দায়ের করলেও এখন পর্যন্ত তাদের কোন সন্ধান পাইনি। এমনকি অভিযুক্ত সেনা সদস্যের কনকের কোন শাস্তিও দেয়নি কর্তৃপক্ষ। আমরা থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ কোন মামলা নেয়নি। প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের সন্তানদের ফিরে পেতে আকুল আবেদন করছি। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী তিনজন পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

;

ঘূর্ণিঝড় রিমাল: ৮১ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে চসিকের আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা

  ঘূর্ণিঝড় রিমাল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘূর্ণিঝড় রিমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ৮১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোকে আশ্রয়কেন্দ্রে হিসেবে ব্যবহার করবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। একই সঙ্গে চসিকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সোমবার বন্ধ ঘোষণা করেন মেয়র।

রোববার (২৬ মে) টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে দুর্যোগ মোকাবিলায় করণীয় নির্ধারণে এক জরুরি প্রস্তুতি সভায় এ ঘোষণা দেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী

সভাপতির বক্তব্যে মেয়র বলেন, সোমবার চসিকের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। ঘূর্ণিঝড় রিমাল আঘাত হানলে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে চসিকের ৮১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোকে আশ্রয়কেন্দ্রে হিসেবে ব্যবহার করা হবে।

ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে মেয়র বলেন, শনিবার সকালেই ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় অবস্থানরত জনসাধারণকে সচেতন করার জন্য মাইকিং করার নির্দেশ দিয়েছি। দামপাড়াস্থ চসিকের বিদ্যুৎ উপ-বিভাগস্থ কার্যালয়ে খোলা হয়েছে কন্ট্রোলরুম। ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের নিজ-নিজ ওয়ার্ডের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় অবস্থানরত জনসাধারণকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়ার বিষয়টি আন্তরিকতার সাথে তদারক করতে নির্দেশ দিয়েছি।

'চসিকের সবগুলো বিভাগ দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে সক্রিয় আছে। এছাড়া রেড ক্রিসেন্টও সহযোগিতা করছে। সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থার সাথেও যোগাযোগ করব, যাতে ঝড়ে গাছ পড়লে বা দুর্ঘটনা ঘটলে যাতে কোনো সংস্থার গাফিলতির জন্য মানুষ কষ্ট না পায়৷'

পাহাড়ের পাদদেশসহ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় থাকা নাগরিকদের সরিয়ে নিতে কাউন্সিলরদের নির্দেশ দিয়ে মেয়র বলেন, উপকূলীয় এলাকা ও পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে নাগরিকদের সরিয়ে নিতে হবে৷ প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নিতে হবে৷ ঝুঁকিতে থাকা নাগরিকদের প্রতি আহ্বান আপনারা নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান৷

এসময় কাউন্সিলররা ঘূর্ণিঝড় রিমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ওয়ার্ড পর্যায়ের কার্যক্রম সম্পর্কে মেয়রকে অবহিত করেন৷

সভায় প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা লতিফুল হক কাজমি বলেন, ৪১টি ওয়ার্ডে বৃষ্টির পানি যাতে নালায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি না করতে পারে সেজন্য ছোট ছোট টিম গঠন করে পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম চলছে৷

চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইমাম হোসেন রানা বলেন, কন্ট্রোল রুমের সাথে সমন্বয় করে ৩ শিফটে ৩টি মেডিকেল টিম ২৪ ঘণ্টা সক্রিয় থাকবে৷ এছাড়া, ৬টি উপকূলীয় ও পাহাড়সমৃদ্ধ এলাকার জন্য গঠন করা হয়েছে স্পেশাল টিম৷

বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল বারী জানান, দুর্যোগে নগরীর বিদ্যুতায়ন ও আলোকায়ন অব্যাহত রাখতে চসিকের গঠিত রেসকিউ টিম সক্রিয় আছে৷

সিটি রেড ক্রিসেন্টের সেক্রেটারি আবদুল জব্বার জানান, শনিবার সকাল থেকেই চসিকের সাথে যৌথভাবে কাজ করছে রেড ক্রিসেন্টের ভলান্টিয়াররা৷ এছাড়া সরকারের গাইডলাইন বাস্তবায়নে কাউন্সিলর ও স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে৷

চসিক সচিব আশরাফুল আমিনের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন, আফরোজা কালামসহ কাউন্সিলরবৃন্দ ও বিভাগীয় ও শাখা প্রধানরা।

;

গৌরীপুরে নির্বাচনী সহিংসতা, পাল্টাপাল্টি মামলা ও কর্মসূচি



উপজেলা করেপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ডৌহাখলা ইউনিয়নে জয়ী-পরাজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় গত শনিবার (২৫ মে) গৌরীপুর থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে।

এছাড়াও রোববার (২৬ মে) দু'পক্ষই ময়মনসিংহ কিশোরগঞ্জ মহাসড়কে কলতাপাড়া ও গাজীপুর বাজারে পাল্টাপাল্টি মানববন্ধন কর্মসূচি করে মামলার আসামিদের গ্রেফতারের দাবি জানায়।

গত ২১ মে গৌরীপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। বেসরকারি ফলাফলে চেয়ারম্যান পদে জয়ী হন আনারস প্রতীকের সোমনাথ সাহা। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন দোয়াত-কলম প্রতীকের মোফাজ্জল হোসেন খান।

স্থানীয়রা জানান, ডৌহাখলা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান এমএ কাইয়ুম নির্বাচনে দোয়াত-কলম প্রতীকের পক্ষে কাজ করেন। ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শহীদুল হক সরকার নির্বাচনে কাজ করেন আনারস প্রতীকের পক্ষে।

স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনের পরের দিন ২২ মে বিকালে সাড়ে ৫টার দিকে আনারস প্রতীকের লোকজন উপজেলার কলতাপাড়া বাজারে ইউপি চেয়ারম্যান কাইয়ুমের ওপর হামলা ও গুলি করার পাশাপাশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করে।

এ ঘটনায় এমএ কাইয়ুম বাদী হয়ে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শহীদুল হকসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ২০/২২ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

এর আগে ২২ মে বিকাল সাড়ে চারটার দিকে দোয়াত-কলম প্রতীকের লোকজন ডৌহাখলা ইউনিয়নের নন্দীগ্রামে আনারস প্রতীকের কর্মী নাজিম উদ্দিনের বাড়িতে হামলা করে তার পরিবারের সদস্যদের আহত করে। এ ঘটনায় নাজিম উদ্দিন বাদী হয়ে ডৌহাখলা ইউপি চেয়ারম্যান এমএ কাইয়ুমসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৪০/৫০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

এমএ কাইয়ুমের ওপর হামলার প্রতিবাদে রোববার বেলা ১১টায় ডৌহাখলা ইউনিয়নবাসীর ব্যানারে কলতাপাড়া বাজারে মানববন্ধন হয়। ওইদিন বেলা ১২ টার দিকে শহীদুল হকের কর্মীরা মানববন্ধন করে। ওই মানববন্ধনে নাজিম উদ্দিনের বাড়িতে হামলা করায় ইউপি চেয়ারম্যান কাইয়ুমকে গ্রেফতারের দাবি জানান তারা।

এম এ কাইয়ুম বলেন, আমি এখন ঘর থেকে বের হতে পারছি না। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমার ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।

শহীদুল হক সরকার বলেন, কাইয়ুমের লোকজন আমাদের লোকজনের বাড়িতে হামলা করে তাদের আহত করেছে। তাকে গ্রেফতারেরর দাবি জানাচ্ছি। আর আমি তার সাথে নির্বাচন করায় ষড়যন্ত্র করে আমাকে মামলার আসামি করা হয়েছে।

গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুমন চন্দ্র রায়, নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় দুপক্ষই মামলা করেছেন। ইউপি চেয়ারম্যান কাইয়ুমের দায়েরকৃত মামলার আসামি তমাল খান ও রিপন শেখ এই দুইজনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। দুই মামালার অন্যান্য আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে। এলাকায় বাড়তি নজরদারি রয়েছে।

;

ডিজিটাল বাংলাদেশের সফল বাস্তবায়ন করছে শিল্প মন্ত্রণালয়: শিল্পমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

শিল্প মন্ত্রণালয় ডিজিটাল বাংলাদেশের সফল বাস্তবায়ন করছে বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।

রোববার (২৬ মে) রাজধানীর মতিঝিলে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে Al enabled Project Evaluation and Monitoring Software (AIPEMS) সফটওয়্যারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলাতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দফতর-সংস্থার প্রধানগণ-সহ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রযুক্তিগত সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে নতুন নতুন উদ্ভাবনী উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্মার্ট মন্ত্রণালয় বিনির্মাণে এগিয়ে যাচ্ছে এ মন্ত্রণালয়। AIPEMS -এর উদ্বোধন সে ধরনেরই একটি উদ্ভাবনী উদ্যোগ। এর মাধ্যমে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ইমেজ অনেকখানি বৃদ্ধি পাবে। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের টিমওয়ার্কের মাধ্যমে এই অর্জন সম্ভব হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, AIPEMS সফটওয়্যার প্রকল্প বাস্তবায়নে সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন অগ্রগতি অনলাইনে তদারকিকরণ, রিয়েলটাইম মনিটরিং, নির্ভুল তথ্য সংরক্ষণ এবং পেপারলেস প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে ই-গভর্ন্যান্স বাস্তবায়নে সহায়ক হবে।

উল্লেখ্য, ২০৪১ সালের মধ্যে উদ্ভাবনী ও জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি এই চারটি ভিত্তির উপর শিল্প মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। 'স্মার্ট শিল্প, স্মার্ট বাংলাদেশ'-এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক ইতোমধ্যে বেশকিছু ডিজিটাল কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে যেমন: অডিট ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার, প্রজেক্ট মনিটরিং সফটওয়্যার ও AIPEMS সফটওয়্যার প্রণয়ন, ই-লাইব্রেরি, অনলাইনে বেসরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠানে ইউরিয়া সার বরাদ্দ, শিল্প মন্ত্রণালয়ে ই-গেইট স্থাপন, শিপ রিসাইক্লিং ডাটাবেজ তৈরি, ইত্যাদি।

;