রংপুর খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও পুষ্টি সূচকে পিছিয়ে

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুর খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও পুষ্টি সূচকে পিছিয়ে

রংপুর খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও পুষ্টি সূচকে পিছিয়ে

‘খাদ্যে রংপুর জেলা স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও পুষ্টির সূচকে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। মেধাবী জাতি গঠনে সকলের পুষ্টি নিশ্চিতের বিকল্প নেই। তাই ইউনিয়ন পর্যায় থেকে সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে কাজ করলে দ্রুত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে।

সোমবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে রংপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভায় এ কথা বলা হয়। শিশু, কিশোর-কিশোরী ও গর্ভবতী মায়েদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তার ওপর গুরুত্বারোপ করে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

বিজ্ঞাপন

সভায় জানানো হয়, জানো প্রকল্পের মাধ্যমে রংপুর জেলায় শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের পুষ্টি নিরাপত্তায় ১৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৭৯টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ২১টি মাদরাসায় কিশোর-কিশোরী কর্নার স্থাপন করা হয়েছে। যেখানে তারা ওজন-উচ্চতা পরিমাপসহ স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন বিষয় জানতে পারবে। সেই সাথে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে কৈশোর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কাজ করা হচ্ছে। পুষ্টি নিয়ে কাজ করা এই প্রকল্পটি কেয়ার বাংলাদেশ, প্লান ইন্টারন্যাশনাল ও ইএসডিও’র যৌথ উদ্যোগে গঠিত।

এসময় রংপুর জেলা প্রশাসক আসিব আহসান চলতি অর্থ বছরের (২০২০-২০২১) বার্ষিক জেলা পুষ্টি কর্ম-পরিকল্পনায় সকল বিভাগের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার বিষয়ে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং এর ধারাবাহিকতায় উপজেলা পর্যায় ভিত্তিক পুষ্টি কর্ম-পরিকল্পনা প্রণয়ন করে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তা জেলা পুষ্টি কমিটি বরাবর প্রেরণের জন্য তাগিদ দেন।

বিজ্ঞাপন

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সদস্য সচিব সিভিল সার্জন হিরম্ব কুমার রায়, স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক সৈয়দ ফরহাদ হোসেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. সরওয়ারুল হক, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোঃ মহিউদ্দিন চৌধুরী, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণক আব্দুল কাদের, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষার উপ-পরিচালক আখতারুজ্জামান, ইএসডিও প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর (ডেভলপমেন্ট) যামিনী কুমার রায়, জানো প্রকল্প ব্যবস্থাপক মারুফ আহম্মেদসহ কেয়ার, প্লান ও ইএসডিও’র কর্মকতার্রা। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আসিব আহসান।

আলোচনা সভা শেষে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অর্থায়নে, কেয়ার বাংলাদেশ ও প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কারিগরি সহায়তায় এবং ইএসডিও কর্তৃক বাস্তবায়নকৃত জানো প্রকল্পের, স্কুল পর্যায়ে কিশোর-কিশোরী কর্নারের উপকরণ ও করোনা প্রতিরোধে কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ও ইউনিয়ন সাব সেন্টারের উপকরণ বিতরণ করা হয়। এরমধ্যে রংপুর জেলার তারাগঞ্জ, কাউনিয়া ও গংগাচড়া উপজেলার ৭৯টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ২১টি মাদরাসায় ১টি করে ৩২ ইঞ্চি টিভি, ১টি ওজন পরিমাপক মেশিন, ১টি উচ্চতা পরিমাপক মেশিন, ১টি বুক সেলফ, ১টি পুষ্টি প্লেট ও কিশোর-কিশোরীদের জন্য বিসিসি উপকরণ দেওয়া হয়।

এছাড়া ৬৮টি কমিউনিটি ক্লিনিক, ১৪টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র এবং ৫টি ইউনিয়ন সাব সেন্টারে ১টি করে কাভার বিন, ৪ কেজি ব্লিচিং পাউডার ও ৪টি করে জীবাণুনাশক স্প্রে বোতল বিতরণ করা হয়।