করোনাকে শিশুর সংকটে পরিণত হতে দিতে পারি না: রাবাব ফাতিমা



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও ইউনিসেফ নির্বাহী বোর্ডের সভাপতি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা

জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও ইউনিসেফ নির্বাহী বোর্ডের সভাপতি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা

  • Font increase
  • Font Decrease

শিশুদের প্রয়োজনীয় সেবা প্রদান এবং নিয়মিত কর্মসূচিসমূহ অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে করোনা মহামারির প্রভাব তীব্র উদ্বেগের একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা এই মহামারিকে শিশুদের সংকটে পরিণত হতে দিতে পারি না বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও ইউনিসেফ নির্বাহী বোর্ডের সভাপতি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।

মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) নিউ ইয়র্কে ইউনিসেফের নির্বাহী বোর্ডের দ্বিতীয় নিয়মিত অধিবেশনের উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

করোনার কারণে বিশ্বব্যাপী শিশুরা যে ভয়াবহ পরিণতির মুখোমুখি হয়েছে তা তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। তিনি বলেন, এর প্রভাবে ৮০ মিলিয়নেরও বেশি শিশু চরম দারিদ্র্যের মুখোমুখি দাড়িয়েছে, ১.৬ বিলিয়ন শিশু স্কুলের বাইরে রয়েছে আর ১ বছরের কম বয়সী ৮০ মিলিয়ন শিশু জীবন রক্ষাকারী ভ্যাকসিন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কোভিডের ফলে ক্ষুধার্ত শিশুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৬ মিলিয়নে। বিশ্বজুড়ে ইউনিসেফের কর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম ও নিবেদিত সেবা প্রদানের মাধ্যমে অস্বাভাবিক এই পরিস্থিতিতে যেভাবে সাড়া দিয়েছেন তার জন্য ধন্যবাদ জানান ইউনিসেফ নির্বাহী বোর্ডের সভাপতি।

নজীরবিহীন এই সংকট মোকাবিলায় কর্মসূচি গ্রহণের ক্ষেত্রে ইউনিসেফকে সৃজনশীল চিন্তাভাবনা ও উদ্ভাবনশীল সমাধানে উদ্বুদ্ধ করেন তিনি। পাশাপাশি জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থার সাথে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা অব্যাহত রাখার ওপর জোর দেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।

চলতি অধিবেশনে ইউনিসেফের ‘কান্ট্রি প্রোগ্রাম ডকুমেন্ট’ সমূহের বিষয়বস্তু ‘শিক্ষা’ এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে অনলাইন ও দূরশিক্ষণে প্রবেশাধিকারকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানান নির্বাহী বোর্ড সভাপতি। প্রতিটি স্কুলকে ইন্টারনেটের সাথে এবং প্রতিটি যুবককে তথ্যের সাথে সংযুক্ত করার প্রয়াসে গৃহীত ইউনিসেফ ও আইটিই’র যৌথ পদক্ষেপ ‘গিগা’ এর সফলতার কথা তুলে ধরে তিনি সকল অংশীদারকে মহৎ এই কাজে তাদের দক্ষতা ও আর্থিক বিনিয়োগের মাধ্যমে অবদান রাখার আহ্বান জানান।

মেয়েরা বিশেষ ঝুঁকিতে রয়েছে উল্লেখ করে মেয়েদের অগ্রগতি নিশ্চিত, মর্যাদা রক্ষা ও নিগ্রহ থেকে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে নারী শিক্ষায় আরও বেশি বিনিয়োগের আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা ও বৈষম্য এবং ঋতুজনিত স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে সচেতনতা ও সুবিধার অভাবসহ এ জাতীয় নানাবিধ প্রতিবন্ধকতা দূর করে নারী ও মেয়েদের পূর্ণ সম্ভাবনা উন্মোচনের গুরুত্ব তুলে ধরেন তিনি। পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধের বিষয়টিতে তিনি বিশেষ গুরুত্ব দেন।

পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধের বিষয়টিতে তিনি বিশেষ গুরুত্ব দেন। বৈশ্বিকভাবে ১-১৪ বছর বয়সী শিশু-কিশোরের মৃত্যুর ক্ষেত্রে পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রধান একটি কারণ এবং এ কারণে বিশ্বে প্রতিবছর ৩ লাখ ২০ হাজারেরও বেশি শিশুর মৃত্যু হয় বলে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ অন্যান্য সংস্থা এবং এনজিওসমূহের সঙ্গে যৌথভাবে দেশ পর্যায়ে ডুবে মৃত্যু রোধের পক্ষে জনসচেতনতা সৃষ্টির কাজ আরও জোরদার করতে ইউনিসেফের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

উদ্বোধনী অধিবেশনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা এইচ ফোর। তিনি ইউনিসেফের বিস্তারিত কর্মকাণ্ড এবং প্রতিষ্ঠানটি যে সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে তা তুলে ধরেন। অধিবেশনে সদস্য দেশ সমূহের স্থায়ী প্রতিনিধি ও প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।

   

ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপনডেন্ট বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশন এবং অন্যান্য উচ্চ পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ও অনুষ্ঠানে যোগদানের পর যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশে নিউইয়র্ক ছেড়ে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) তার আবাসস্থল দ্য লোটে নিউইয়র্ক থেকে গাড়িতে করে সকাল সাড়ে ১১টায় ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশে নিউইয়র্ক ত্যাগ করেন।

এর পর প্রধানমন্ত্রী ২৯ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের উদ্দেশে ওয়াশিংটন ডিসি ত্যাগ করবেন এবং ৩ অক্টোবর পর্যন্ত লন্ডনে অবস্থান করবেন বলে জানা গেছে।

সফর শেষ করে প্রধানমন্ত্রী স্বদেশের উদ্দেশ্যে লন্ডন ত্যাগ করবেন এবং ৪ অক্টোবর তার ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে ১৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা ত্যাগ করেন।

;

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপনডেন্ট বার্তা২৪.কম চট্টগ্রাম
নুরুন নবী। ছবি : সংগৃহীত

নুরুন নবী। ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় বৈদ্যুতিক খুঁটির লাইনে কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নুরুন নবী (৪৩) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের নারিশ্চা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে তার শরীরের কিছু অংশ ঝলসে গেছে বলেও জানা গেছে।

নিহত মো.নুরুন নবী কুমিল্লার জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার বাইয়ারা গ্রামের মৃত সিরাজুল হকের ছেলে।

নিহতের ভাতিজা সাইফুল ইসলাম বলেন, কাজ করার সময় লাইন বন্ধ থাকার কথা ছিল। কিন্তু, বন্ধ থাকার কথা থাকার পরও কেন বিদ্যুৎপৃষ্ট হলো সেটা ভালো করে দেখা দরকার। ঘটনাটি সঠিকভাবে তদন্ত করা দরকার।

রাঙ্গুনিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) জুয়েল দাশ বলেন, ‘বিদ্যুৎ খুঁটিতে কাজ করার সময় লাইন বন্ধ ছিল। দুর্ঘটনার কারণ জানতে আমাদের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন হবে। তদন্ত ছাড়া কিছু বলা যাচ্ছে না।’

রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির্জা মো. হাসান বার্তা২৪.কম’কে বলেন, বিদ্যুৎ লাইনে কাজ করার সময় ওই লোকটি পাশে থাকা অন্য একটি তারের মাধ্যমে বিদ্যুস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান।

তিনি আরও বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে ভিকটিমের কেউ কোনও অভিযোগ করেনি। তবে স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিসের অভিযোগে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

;

বাংলাদেশকে রুশ মুদ্রায় বাণিজ্যের অনুমতি দিয়েছে রাশিয়া



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে রুশ মুদ্রায় লেনদেন করার অনুমতি দিয়েছে রাশিয়ান সরকার। 

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশে অবস্থিত রাশিয়ান দূতাবাসের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়।

ফেসবুক পেজে দেয়া তথ্য থেকে জানা যায়, বাংলাদেশ ব্যতীত আরও ৩০টি দেশকে রুবল মুদ্রায় বাণিজ্যের অনুমতি দিয়েছে রাশিয়া। দেশগুলো হচ্ছে- আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, বেলারুশ, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান, আলজেরিয়া ও বাহরাইন।

আরও রয়েছে ব্রাজিল, চীন, কিউবা, মিশর, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, কাতার, মালয়েশিয়া, মঙ্গোলিয়া, মরক্কো, ওমান ও পাকিস্তান।

রুবলে বাণিজ্যের অনুমতি দেয়া হয়েছে সৌদি আরব, সার্বিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভেনিজুয়েলা ও ভিয়েতনামকেও। তবে শুরুতে তালিকায় রাখা হলেও আর্জেন্টিনা, হংকং, ইসরাইল, মেক্সিকো ও মলদোভাকে বাদ দেয়া হয়েছে।

সম্প্রতি রাশিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ঢাকা সফরের আগে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন দেশের একক মুদ্রায় বাণিজ্যিক লেনদেন নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছিলেন।

;

জিয়ার মরণোত্তর বিচারের দাবি জানালেন আ ক ম মোজাম্মেল হক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম দিনাজপুর
বক্তব্য রাখছেন আ ক ম মোজাম্মেল হক। ছবি : সংগৃহীত

বক্তব্য রাখছেন আ ক ম মোজাম্মেল হক। ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দিনাজপুরে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যাকারী জিয়ার গুম-খুন ও খালেদা জিয়ার অগ্নি সন্ত্রাসের ভুলুন্ঠিত মানবাধিকার’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

দিনাজপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ‘মায়ের কান্না’ সংগঠনের উদ্যোগে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা সংসদ সদস্য নাহিদ এজাহার খান। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম মোজাম্মেল হক।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রংপুর-২ আসনের সাংসদ আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক, ইকবালুর রহিম এমপি ও মাননীয় হুইপ (দিনাজপুর-৩), একুশের পদকপ্রাপ্ত মানবাধিকার কর্মী এসএম আব্রাহাম লিংকন, ফুয়াদ হাসান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলতুফুজ্জামান মিতাসহ ভুক্তভোগী পরিবার ও জেলা আওয়ামী লীড়ের সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

আলোচনা সভার পূর্বে গণদাবী-৭৭ এবং অগ্নি সন্ত্রাসের আর্তনাদ নামক দুইটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শিত হয়।

বক্তারা তাদের বক্তব্যে উল্লেখ করেন যে, ১৯৭৭ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হাজার হাজার সেনা ও বিমানবাহিনীর সদস্যকে হত্যা করে তাদের লাশ গুম করে। বক্তারা অন্যায়ভাবে ফাঁসি, কারাদণ্ড ও চাকরীচ্যুত করার অপরাধে খুনি জেনারেল জিয়ার মরণোত্তর বিচারের দাবি জানান।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল বলেন, কিছু দেশ আমাদের মানবতা ও মানবাধিকারের কথা বলে। কিন্তু ১৯৭৫ বঙ্গবন্ধু সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল তখন কোথায় ছিল মানবতা?

তিনি জিয়াউর রহমানকে ‘খুনি’ আখ্যায়িত করে বলেন, তার সময় গুম, খুন ও বিনা বিচারে হত্যা শুরু হয়।

এ ছাড়াও তিনি বলেন, তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে দেশে খুনের রাজনীতি শুরু করে। এরাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২১বার হত্যা করার পরিকল্পনা করেছিলেন।

ট্রুথ কমিশন গঠন করে বঙ্গবন্ধুসহ জাতীয় চার নেতা এবং ১৯৭৭ সালে সেনা ও বিমানবাহিনীর গর্বিত সৈনিকদের হত্যাকারীদের মরণোত্তর বিচারের দাবি জানান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী।

এ ছাড়া অবৈধ গুম ও খুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এ সরকারকে আহ্বান জানান তিনি।

গুম, খুন ও অগ্নি সন্ত্রাসকারী ওই দল যাতে করে আগামীতে আর কখনও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসতে না পারে, সেজন্য সকলকে সজাগ থাকারও আহ্বান জানান আ ক ম মোজাম্মেল হক।

উক্ত অনুষ্ঠানে আগত ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরা বলেন, বিদ্রোহ দমনের নামে ১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমান ১,১৫৬ জন সামরিক বাহিনীর সদস্যদের ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে হত্যা করেন। জিয়ার মরণোত্তর বিচার ও সংসদ ভবন এলাকা থেকে তার কবর অপসারণের দাবি জানান।

ভুক্তভোগীরা আরও বলেন, ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর ঢাকায় জাপানি বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনায় তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান পরিকল্পিতভাবে একটি অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট তৈরি করেন। পরবর্তীতে তথাকথিত বিদ্রোহ দমনের নামে জিয়াউর রহমান একদিনের সামরিক আদালতে বিচার করে সেই রাতেই ফাঁসি সম্পন্ন করেন নিরপরাধ সামরিক সদস্যদের। রাতের আঁধারে কারফিউ দিয়ে ঢাকা, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, রংপুর, যশোর ও বগুড়া কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসি কার্যকর করা হতো।

;