হাত-পা বেঁধে মাদরাসার ‘ছাত্র পেটানো’ সেই শিক্ষক আটক

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছাত্রকে হাত-পা বেঁধে পেটাচ্ছে ওই শিক্ষক, ছবি: সংগৃহীত

ছাত্রকে হাত-পা বেঁধে পেটাচ্ছে ওই শিক্ষক, ছবি: সংগৃহীত

সাভারের আশুলিয়ায় জাবালে নুর মাদরাসায় দুই শিশু শিক্ষার্থীকে হাত-পা বেঁধে বেধড়ক মারধর করে মাদরাসার এক শিক্ষক। এ ঘটনায় ওই শিক্ষক ইব্রাহিমকে (৪৮) আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আশুলিয়ার শ্রীপুরের নতুননগর মথনেরটেক এলাকার ওই মাদরাসা থেকে তাকে আটক করেছে পুলিশ।

বিজ্ঞাপন

এর আগে সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে শিশু শিক্ষার্থীদের হাত-পা বেঁধে পেটানোর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেইসবুকে ভাইরাল হয়।

আটক ইব্রাহিম কুমিল্লা জেলার হোমনা থানার দুর্গাপুর গ্রামের আতাউর রহমানের ছেলে। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক কুমিল্লা জেলার বাসিন্দা আব্দুল জব্বার। তিনি ওই ছয়তলা বাড়িটির মালিক।

বিজ্ঞাপন

নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীরা হলো- রাকিব ও মাহফুজ। রাকিব ঘটনার পর থেকে তার গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। অপরদিকে মাহফুজ ঝালকাঠি জেলার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। সে এখনও মাদরাসায় আছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত শুক্রবার ওই মাদরাসার শিক্ষার্থীদের বেত দিয়ে পেটানো হয়। তন্মধ্যে একজনকে পেটানো আগে হাত-পা বেঁধে নেয়। ওই অবস্থায় বেত দিয়ে পেটানোর পাশাপাশি বেশ কয়েকবার লাথিও মারে। অন্যজনকে স্বাভাবিকভাবে পেটায়। এভাবে দু’জনকে পিটিয়ে একজনকে গুরুতর আহত করে ফেলে। পরে আহত শিক্ষার্থীদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে চুপ থাকতে বাধ্য করে। এক পর্যায়ে রাকিবকে ঘটনা জেনে তার পরিবার উদ্ধার করে গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। অপরজন ওই মাদরাসায় রয়েছেন।

শিক্ষার্থীরা জানায়, পেটানোর সময় দু’জনই অনেক অনুনয়-বিনয় করে শিক্ষকের হাত থেকে বাঁচার চেষ্টা করেন। তবুও তিনি ব্যাপক মারধর করেন।

আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জিয়াউল ইসলাম জানান, ভুক্তভোগীদের পরিবারের সাথে কথা হয়েছে। তাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টি তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করা হয়েছে।