গাইবান্ধায় বন্যা পরিস্থিতি অবনতি, লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী

  • তোফায়েল হোসেন জাকির, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

গাইবান্ধায় বন্যা পরিস্থিতি অবনতি, লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী

গাইবান্ধায় বন্যা পরিস্থিতি অবনতি, লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী

গাইবান্ধার চারিদিকে থৈথৈ করছে বন্যার পানি। যেন পানিতে ভাসছে জেলাবাসী। গত ২৪ ঘণ্টা সবগুলো নদ-নদীর পানি অস্বাভবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে বন্যার সার্বিক পরিস্থিতি চরম অবনতির দিকে ধাবিত হচ্ছে।

শুক্রবার (২ অক্টোবর) দুপুর ১২ টায় গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কন্ট্রোলরুম থেকে জানানো হয়, করতোয়া নদীর পানি ১১৬ সেন্টিমিটার, ঘাঘট নদীর পানি ২৬ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্রের পানি ৫ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে তিস্তার পানি ৬৪ সেন্টিমিটার নিচে রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) দুপুরে করতোয়া নদীর পানি ১০৬ সেন্টিমিটার ও ঘাঘট নদীর পানি ১৮ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার ওপর দিয়ে এবং ব্রহ্মপুত্র ৫ সেন্টিমিটার ও তিস্তার পানি ৫৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিলো।

স্থানীয়রা জানান, এর আগেও গাইবান্ধায় বয়ে গেছে ৪ দফায় বন্যা। ফের ৫ম দফার বন্যায় জেলার সাতটি উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এতে করে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। অস্বাভাকিভাবে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সহস্রাধিক ঘরবাড়ি ও রোপণ করা আমন ধানসহ অন্যান্য ফসলাদি পানিতে তুলিয়ে গেছে। জেলার গোবিন্দগঞ্জ ও পলাশবাড়ীসহ অন্যান্য উপজেলায় বেশ কয়েকটি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে গেছে। সেই সঙ্গে বিদ্যুৎ ও যোগাযোগা ব্যবস্থা বিপর্যস্ত ঘটেছে। ভেসে গেছে শতশত হেক্টর পুকুরের মাছও।

বিজ্ঞাপন

বিদ্যমান পরিস্থিতিতে অসহায় মানুষগুলো বিভিন্ন বাঁধ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছে। এসব মানুষের মধ্যে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে গবাদি পশু-পাখি নিয়েও বিপাকে পড়েছেন তারা। যেন পানির সঙ্গে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকতে হচ্ছে।

বিশেষ করে সাদুল্লাপুর উপজেলার রসুলপুর, মহিষবান্দি, ছান্দিয়াপুর, শালাইপুর ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার দরবস্ত, ফুলবাড়ি, তালুক কানপুর, সাপমারা, নাকাই হরিরামপুর এবং পলাশবাড়ী উপজেলার কাশিয়াবাড়ী, পশ্চিম মির্জাপুর, কিশোরগাড়ী গ্রামসহ প্রায় ১৫০ গ্রামের মানুষ পানিবন্দী রয়েছে।

আজাদুল ইসলাম নামের এক কৃষক বলেন, গেল ৪ দফার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হবার পর চলমান বন্যাতেও বসতবাড়ীতে পানি উঠেছে। এছাড়া ডুবে গেছে ৩ বিঘা জমির ফসলের ক্ষেত।

গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন বার্তা২৪.কমকে বলেন, পানিবন্দী মানুষের জন্য আশ্রয় কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এ দুর্যোগ মোকাবিলায় ত্রাণ বিতরণসহ নানা ধরণের সহায়তা করা হচ্ছে।