কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় রাসিক কর্মচারী কারাগারে
বিয়ের প্রলোভনে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) এক কর্মচারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে কলেজ ছাত্রীর বড় বোন বাদী হয়ে মামলা করার পরই তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার রাসিক কর্মচারীর নাম তাজ মুরাদ লিটন (৩০)। তিনি রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রকৌশল বিভাগে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কর্মরত। লিটন নগরীর তালাইমারী বাদুড়তলা এলাকার মোশারফ হোসেনের ছেলে।
মামলা ও গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মতিহার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিদ্দিকুর রহমান।
মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে ওসি জানান, ধর্ষণের শিকার কলেজ ছাত্রী এক বছর আগে সিটি করপোরেশনে বিশেষ কাজের জন্য যায়। সেখানে লিটনের সাথে তার পরিচয় হয়। সেই থেকে লিটনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর থেকে বিভিন্ন সময়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে লিটন একাধিকবার তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন।
তিনি আরও জানান, সর্বশেষ শনিবার (৩ অক্টোবর) ওই শিক্ষার্থীর বড় বোনের বাসায় বিয়ের কথাবার্তা বলার জন্য যায়। এ সময় ওই শিক্ষার্থীর বোন আপ্যায়নের খাবার কিনতে দোকানে যায়। ফিরে এসে দেখেন ঘরের দরজা ভেতর থেকে লাগানো। ওই সময় তিনি প্রতিবেশীদের ডেকে তাদের আপত্তিকর অবস্থায় হাতেনাতে ধরে ফেলেন। এ সময় তাকে বিয়ের কথা বললে লিটন সবাইকে বুঝিয়ে পরে বিয়ে করবে বলে ধর্ষিতার বোনকে জানান। পরে মতিহার থানা পুলিশে খবর দিলে এসআই সুকান্ত ও সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
ওসি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, প্রাথমিক তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। ধর্ষিত কলেজ ছাত্রীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের (ওসিসি) ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। ধর্ষক লিটনকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।