তিস্তা নিয়ে মোদী চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন: কাদের

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বহুমাত্রিক। তিস্তার পানি বণ্টন একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। ভারতীয় হাইকমিশনার আমাদের বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অত্যন্ত আন্তরিক এবং তিনি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। দু-দেশ আলোচনা মাধ্যমে সম্মানজনক সমাধানে দৃঢ়ভাবে আশাবাদী। ইতিমধ্যে আলোচনায় ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে।

সোমবার (১২ অক্টোবর) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের নতুন হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

ওবায়দুল কাদের বলেন, সড়ক যোগাযোগ উন্নয়নে ভারতের ঋণ সহায়তায় বেশ কিছু প্রকল্পের কাজ চলছে, এসব বিষয় নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। যেখানে যেখানে সমস্যা আছে সেটা সমাধানের ব্যাপারে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি।

দু’দেশের রাজনৈতিক দলের মাঝে সংযোগ বাড়াতে ভারতীয় জনতা পার্টি-বিজেপি’র একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফরে আসার পরিকল্পনা রয়েছে জানিয়ে কাদের বলেন, এ ধরনের সফর দু’দেশের জনগণের বিদ্যমান সম্পর্ক আরো এগিয়ে নিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

বিজ্ঞাপন

ভারতের সাথে টুরিস্ট ভিসা চালু হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ ব্যাপারে ইতিবাচক অগ্রগতি আছে। কিন্তু এ মুহূর্তে চালু হচ্ছে সেটা বলা যাবে না।

এ বিষয়ে ভারতের নতুন হাইকমিশনার বলেন, আমরা ইতিমধ্যে ভিসা প্রক্রিয়া চালু করেছি। সমস্ত ভিসা বিভাগ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আমি সব ধরণের ভিসা চালুর জন্য চেষ্টা করছি। মহামারীর কারণে টুরিস্ট ভিসা চালুতে আরো বেশি সময় লাগবে। এয়ার বাবল চালুর বিষয়ে আমরা এখানে আমাদের পার্টনারের কাছ থেকে চূড়ান্ত সম্মতির অপেক্ষায় রয়েছি।

সেতুমন্ত্রী বলেন, একুশ বছর দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের যে কৃত্রিম দেয়াল ছিল তা এখন আর নেই। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এখন দুই প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক উদ্যোগে নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে দীর্ঘদিনের সীমান্ত সমস্যা ও ছিটমহল বিনিময়ের মতো সমস্যাও সমাধান হয়েছে। বাংলাদেশের সমুদ্র সীমায় অফুরন্ত অর্থনৈতিক সম্ভাবনাকে এগিয়ে নিতে উভয় দেশের জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ কাজ করছে।

মন্ত্রী জানান, ভারতীয় ঋণ কর্মসূচির আওতায় বিআরটিসি’র জন্য ৯৮৮টি বাস এবং ৫০০ ট্রাক সংগ্রহ করা হয়েছে। সড়ক অবকাঠামো উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করা হচ্ছে। আশুগঞ্জ নদীবন্দর হতে সরাইল-ধরখার হয়ে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার কাজ এগিয়ে চলেছে।