বুড়িমারীর ঘটনায় অন্য কারো ইন্ধন থাকতে পারে

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য । ছবি: বার্তা২৪.কম

রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য । ছবি: বার্তা২৪.কম

কোরআন অবমাননার গুজবে ছড়িয়ে শহিদুন্নবী জুয়েল (৪২) কে পিটিয়ে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় অন্য কারো ইন্ধন থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য ।

শনিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থল বন্দরের ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন।

বিজ্ঞাপন


তিনি বলেন, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি, বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। আর পুলিশ বাদী হয়ে অপর মামলাটি দায়ের করে। যারা এই ঘটনায় দোষী তাদের সবাইকে আইনের কাঠগড়ায় নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রং ছিটিয়ে কেউই সুযোগ নিতে পারে। তাই একাধিক সংস্থার বিষয়টি তদন্ত করছেন। অবশ্যই এই র হত্যা এবং ঘটনার রহস্য উন্মোচন হবে। শুধু সময়ের অপেক্ষা।

বিজ্ঞাপন

পরিদর্শনকালে তার সাথে ছিলেন, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল ওহাব ভূঞা, জেলা প্রশাসক আবু জাফর, পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা, পাটগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বাবুল, ইউএনও কামরুন নাহার, ওসি সুমন কুমার মোহন্ত প্রমুখ।

উল্লেখ্য, লালমনিরহাটের বুড়িমারীতে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এনে যাকে পিটিয়ে হত্যার পর পেট্রোল দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়া হয়। সেই সহীদুন্নবী জুয়েল (৫০) বুড়িমারীতে গিয়েছিলেন ওষুধ কিনতে।

নিহত যুবক সহিদুন্নবী জুয়েল রংপুর শহরের শালবন মিস্ত্রীপাড়া এলাকার আব্দুল ওয়াজেদ মিয়ার ছেলে। তিনি রংপুর ক্যান্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক গ্রন্থাগারিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র। গত বছর চাকরিচ্যুত হওয়ায় মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন।