রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে বকেয়া মজুরির দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

শ্রমিকদের বিক্ষোভ। ছবি: বার্তা২৪.কম

শ্রমিকদের বিক্ষোভ। ছবি: বার্তা২৪.কম

রামপাল তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্প খুলনা-মোংলা ২৩০ কেভি ডাবল সঞ্চালন লাইনের কাজে নিয়ো‌জিত ঠিকাদা‌রদের পাওনা প‌রিশোধ ও শ্রমিকদের মজুরির দা‌বিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন পালিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (০৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে খুলনার ব‌টিয়াঘাটাস্থ কচাবু‌নিয়ায় স্থানীয় শত শত শ্রমিক ও সাপ্লাইয়াররা এ প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে অবস্থান কর্মসূচি ও মানববন্ধন করে। বকেয়া টাকা না পেলে এ প্রকল্পের কাজ তারা শুরু করতে দিবে না বলেও মানববন্ধনে বক্তারা বলেন।

বিজ্ঞাপন
প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে অবস্থান কর্মসূচি ও মানববন্ধন। ছবি: বার্তা২৪.কম

সূত্রে জানা যায়, রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি দেশের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে প্রথম মেগা প্রকল্প। বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী বিদ্যুৎ কোম্পানি কেন্দ্রটি নির্মাণ করছে। বহুল আলোচিত এ প্রকল্পের বিদ্যুৎ সরবরাহের সঞ্চালন লাইন নির্মাণের কাজ শেষ না করেই বাংলাদেশ ছেড়ে পালিয়েছে ভারতীয় কোম্পানি ইএমসি। ব্যাংকে জমা থাকা পারফরমেন্স গ্যারান্টির টাকাও তুলে নিয়েছে তারা। এ কারণে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ দুই বছরেরও বেশি সময় পিছিয়ে গেছে। তাছাড়া দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া ভারতীয় ওই কোম্পানীর কাছ থেকে কাজ নিয়ে বাংলাদেশের যে ঠিকাদাররা কার করছিলেন তারাও পথে বসেছেন।

দেশিয় ছোট ছোট ৪টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রায় সাড়ে ১১ কোটি টাকাও মেরে দিয়েছে ভারতীয় ওই কোম্পানিটি। তবে পালিয়ে যাওয়া ভারতীয় কোম্পানি ইএমসি'র জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানি চীনা প্রতিষ্ঠান কোম্পানি টিবিইএ কে প্রকল্পের বাকি কাজ সম্পন্ন করে সরকারকে বুঝিয়ে দিতে হবে। এজন‌্যই বটিয়াঘাটা কচাবুনিয়ার রিভার ক্রসিং টাওয়ারের চলমান সেই কাজ স্থানীয় শ্রমিকরা মজুরীর বকেয়া টাকা না পেয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

পিজিসিবি ও প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহে সরকার যে কয়টি লাইন নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করেছে, তার মধ্যে একটি খুলনা-মোংলা ২৩০ কেভি ডাবল সার্কিট ট্রান্সমিশন লাইন। ভারতীয় কোম্পানি ইএমসি ও চীনা কোম্পানীর টিবিইএ'র যৌথ উদ্যোগকে (জেভি) কাজের জন্য নির্বাচিত করে সরকারি সংস্থা পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি)। এজন্য ইএমসি-টিবিইএর সঙ্গে বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকা এবং মার্কিন মুদ্রায় ৮৫ লাখ ১৬ হাজার মার্কিন ডলার দেওয়ার চুক্তি করে পিজিসিবি। চুক্তির আওতায় সঞ্চালন লাইনটির মালপত্র সরবরাহ, প্রয়োজনীয় খনন ও পরীক্ষণ এবং বাস্তবায়নের কাজ করার কথা ভারতীয় কোম্পানি ইএমসি ও চীনা কোম্পানি টিবিইএ'র।

সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে পিজিসিবি ও ইএমসি-টিবিইএর মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী পরবর্তী ১৮ মাস, অর্থাৎ ২০১৭ সালের জুনে সঞ্চালন লাইনটির নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা। সর্বশেষ প্রাক্কলন অনুযায়ী, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি নাগাদ উৎপাদন শুরু করবে।