গ্রিড নির্মাণে বাড়তি সময় চায় পিজিসিবি

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ফাইল ছবি।

ফাইল ছবি।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সঞ্চালন লাইন নির্ধারিত সময়ের ১ বছর পর নির্মাণ শেষ করার অঙ্গীকার করেছে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি)। রূপপুর প্রকল্প নিয়ে গঠিত জাতীয় কারিগরী কমিটির সভা সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটারের কনফারেন্স কক্ষে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি স্থপতি ইয়াফেস ওসমানের সভাপতিত্বে এতে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মূখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, বিজ্ঞান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আনোয়ার হোসেন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং কর্মকর্তারা।

স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। সেই স্বপ্নের একটি হচ্ছে রূপপুর প্রকল্প। যার বাস্তবায়ন এখন দৃশ্যমান।

বিজ্ঞাপন

সভার কার্যপত্র থেকে দেখা যায়, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ চুল্লীতে জ্বালানি তথা ইউরেনিয়াম লোড করা হবে। এজন্য রূপপুর থেকে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের জন্য লাইন প্রস্তুত থাকার কথা ২০২২ সালের শুরুতেই। যদিও এই সঞ্চালন লাইন নির্মাণ শেষ করতে সভায় ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় লাগবে বলে উল্লেখ করেছে পিজিসিবি। সভায় উচ্চ মাত্রার পারমাণবিক বিদ্যুৎ সঞ্চালনে কিছু ভিন্ন ধরনের কারিগরী বিষয় তুলে ধরে পিজিসিবি।

প্রকল্প পরিচালক ও পরমাণু বিজ্ঞানী ড. মো. শৌকত আকবর বলেন, পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক অনেক নিয়ম কানুন মানতে হয়। সেসব মানতে নির্দেশনা তৈরিতেই জাতীয় কারিগরী কমিটি সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকে। সঞ্চালন লাইন নির্মাণেও পিজিসিবি সভায় তাদের অবস্থান জানিয়েছে এবং তা বাস্তবায়নে জাতীয় কমিটির কাছে তারা অঙ্গীকার করেছে।

জাতীয় কমিটির সভায় রাশিয়ান ঠিকাদার এটমস্ট্রয়এক্সপোর্টের কর্মকর্তা জানান, নির্ধারিত সময়সূচি মেনে তারা রূপপুরে যেমন ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ করছে, তেমনি রাশিয়ার কয়েকটি শহরে চুল্লীর যন্ত্রাংশও প্রস্তুত করছে। ইতোমধ্যে রূপপুরের প্রথম ইউনিটের মূল যন্ত্র রিয়াক্টর প্রেসার ভেসেল ১৪ হাজার কিলোমিটার আন্তর্জাতিক নৌপথ পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে এসেছে। এর সাথে এসে পৌঁছেছে স্টিম জেনারেটরও। যন্ত্র দুটি এখন নৌপথে মংলা হয়ে প্রকল্প এলাকায় নির্মিত নৌবন্দরের দিকে যাত্রা শুরু করেছে।

জাতীয় কারিগরী কমিটির সভায় প্রকল্পের বিভিন্ন দিক নিয়ে বিশ্লেষণ এবং নির্দেশনা দেওয়া হয়। সভায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সহায়ক কর্মচারীদের জন্য আবাসন প্রকল্প নির্মাণ নিয়েও আলোচনা হয়। এজন্য রেলওয়ের নিকট থেকে প্রায় ৪৩ একর জমি অধিগ্রহণের বিষয়টি অবহিত করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা। এখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, হাসপাতাল এবং বাজারসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে।