ইলিশ সংরক্ষণে ২৬৪০ মোবাইল কোর্ট ও ১৯৮১৮ অভিযান

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ফাইল ছবি।

ফাইল ছবি।

চলতি বছর ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান সফল করার জন্য ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের দিক-নির্দেশনায় ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদের তত্ত্বাবধানে এ সকল কর্মসূচি বাস্তবায়নে মৎস্য অধিদপ্তরের বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কর্মরত কর্মকর্তাদের সাথে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রেখেছেন ইলিশ সম্পৃক্ত ৩৬ জেলার জেলা প্রশাসক, ১৫২ উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা ও উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা, নৌপুলিশ, পুলিশ, কোস্টগার্ড, বিমান বাহিনী, নৌ বাহিনী, র‌্যাব, বিজিবিসহ স্বেচ্ছাসেবী নানা সংগঠন ও ব্যক্তিরা।

বিজ্ঞাপন

অভিযানের প্রথম দিন গত ১৪ অক্টোবর মা ইলিশ রক্ষায় জেলে ও মৎস্যজীবীসহ সংশ্লিষ্টদের উৎসাহিত করতে নৌপথে অভিযানে অংশ নিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। মন্ত্রীর সাথে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদসহ মন্ত্রণালয় ও মৎস্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অভিযানে অংশ নেন। এছাড়াও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা নিয়মিত বিভিন্ন জেলায় মাঠ পর্যায়ের অভিযানে অংশ নিয়েছেন।
অভিযান সফল করতে মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য অধিদপ্তর গঠিত একাধিক তদারকি টিম মাঠে কাজ করেছে।

এ বছর মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় মা ইলিশ রক্ষায় আকাশপথে হেলিকপ্টার দিয়ে ব্যতিক্রমধর্মী অভিযান পরিচালনা করে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী। তাছাড়া নৌপুলিশ, পুলিশ, বিমান বাহিনী, নৌ বাহিনী ও কোস্টগার্ড এর সমন্বয়ে একাধিক যৌথ সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হয়।

বিজ্ঞাপন

মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২০ বাস্তবায়ন উপলক্ষে মৎস্য অধিদপ্তরে স্থাপিত কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ বছর অভিযান বাস্তবায়নের ২২ দিন দেশের ৮ বিভাগে ২ হাজার ৬৪০টি মোবাইল কোর্ট ও ১৯ হাজার ৮১৮টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানে ২৪৩ কোটি ৩৬ লাখ ৪ হাজার টাকা মূল্যের ১২ কোটি ৯১ লাখ ৪৪ হাজার ৬০০ মিটার দৈর্ঘ্যের কারেন্ট জালসহ ২ হাজার ৬৮৫ টি অন্যান্য অবৈধ জাল জব্দ করা হয়েছে।

এ সময়ে অবৈধভাবে মৎস্য আহরণের কারণে মৎস্য আইনের আওতায় ৫ হাজার ৫৩৩ জন জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে জেল প্রদান করা হয়েছে এবং ৯০ লাখ ৮৩ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মামলা করা হয়েছে ৬ হাজার ৯০৪টি। এ সময়ে অবৈধভাবে আহরিত ৪৫ দশমিক ৪১ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়েছে। নৌকা ও জাল নিলামে সরকারের আয় হয়েছে ১৯ লাখ ৮৭ হাজার টাকা।

উল্লেখ্য, ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ২২ দিন দেশব্যাপী ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয়, মজুদ ও বিনিময় নিষিদ্ধ করেছিল সরকার। এই ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয়, মজুদ ও বিনিময় ছিল আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।