ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে আইন পাস

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় সংসদ ভবন

জাতীয় সংসদ ভবন

ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) বিল-২০২০’ পাস করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) রাতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বেগম ফজিলাতুন নেসা। 

বিজ্ঞাপন

এর আগে গত ৮ নভেম্বর বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন প্রতিমন্ত্রী। এরপর বিলটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে এক সপ্তাহের মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। সংসদীয় কমিটি বিলটি চূড়ান্ত করে সোমবার (১৬ নভেম্বর) সংসদে উত্থাপন করেন।

গত ৮ নভেম্বর বিলটি সংসদে উত্থাপনের আগে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২০’ সংসদে উত্থাপন করেন। ওই অধ্যাদেশের আলোকে সংসদে সংশোধনী বিলটি আনা হয়। চলতি অধিবেশনেই বিলটি পাসের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

২০০০ সালের ৮নং আইন (নারী ও শিশু নির্যাতন দমন) সংশোধনে জারি করা অধ্যাদেশের আলোকে সংসদে উত্থাপিত বিলে বলা হয়েছে, ‘যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে’ শব্দগুলোর পরিবর্তে ‘মৃত্যুদণ্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে’ শব্দগুলো প্রতিস্থাপিত হবে।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নারী ও শিশু ধর্ষণ একটি জঘন্য অপরাধ। নারী ও শিশু নির্যাতনমূলক অপরাধসমূহ কঠোরভাবে দমনের উদ্দেশ্যে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন- ২০০০ প্রণয়ন করা হয়। কিন্তু বিদামান আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নের মধ্যে দেশে নারী ও শিশু ধর্ষণের মত জঘন্য অপরাধ সংঘটন সামাজিক গতিশীলতায় নেতিবাচক প্রভাব ও সার্বিক সামাজিক উন্নয়নের ধারাকে বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করছে। তাই এমন অপরাধ দমনে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। এমতাবস্থায় আইনে সর্বোচ্চ দণ্ডের বিধান যুক্ত করতে এই বিলটি আনা হয়েছে।

বিদ্যমান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন অনুযায়ী, ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি ছিল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি আলোচিত ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনায় দেশজুড়ে ধর্ষণ-নির্যাতন বিরোধী আন্দোলন গড়ে ওঠে। আন্দোলনকারীরা ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করার দাবি জানান। তারই ধারাবাহিকতায় সরকার আইনটি সংশোধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো। গত ১৩ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি সংশোধিত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ জারি করেন। এরআগে ১২ অক্টোবর অধ্যাদেশটি মন্ত্রীসভায় অনুমোদন হয়। নতুন বিধান কার্যকরের মাধ্যমে দেশে ধর্ষন ও নারী নির্যাতনের ঘটনা কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।