দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলকে দুর্যোগ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণার দাবি



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলকে দুর্যোগ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণার দাবি

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলকে দুর্যোগ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণার দাবি

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলকে দুর্যোগ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করে ওই এলাকার জন্য বিশেষ বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন পরিবেশ আন্দোলন ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। নাগরিক সংগঠন সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন এবং বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা লিডার্স আয়োজিত মানববন্ধন ও সমাবেশে তারা দুর্যোগ মোকাবিলায় ৯ দফা দাবি তুলে ধরে তা বাস্তবায়নে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।

শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র।

সমাবেশে বক্তৃতা করেন, তেল-গ্যাস ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)’র মিহির বিশ্বাস, উন্নয়ন ধারা ট্রাস্টের আমিনুর রসুল বাবুল, নৌ সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে, কেএনএইচ জার্মানির প্রতিনিধি মনিরুজ্জামান মুকুল, স্ক্যান সভাপতি জাহাঙ্গীর নাকির, সচেতন সংস্থার সাকিলা পারভীন, সাংবাদিক মানিক লাল ঘোষ ও পলাশ আহসান, খানির সামিউল ইসলাম শোভন, লিডার্সের পরিতোষ কুমার বৈদ্য, ইঞ্জিনিয়ার তুহীন পারভেজ ও উন্নয়ন কর্মী লোকেশ ঘোষ প্রমুখ।

নাগরিক সংগঠন সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন এবং বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা লিডার্স আয়োজিত মানববন্ধন ও সমাবেশ

সমাবেশে উত্থাপিত ৯ দফায় বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগকে মাথায় রেখে স্থায়ী ও মজবুত বেড়িবাঁধ পুনঃনির্মাণ করতে হবে। পর্যাপ্ত সাইক্লোন সেন্টারসহ প্রতিরোধক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণে জরুরি তহবিল গঠন ও বাঁধ ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় সরকারকে সম্পৃক্ত করতে হবে। উপকূলীয় সকল মানুষের খাবার পানির টেকসই ও স্থায়ী সমাধান করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিশ্ব জলবায়ু তহবিল থেকে প্রাপ্ত অর্থ যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে। দুর্যোগপ্রবণ উপকূল, চর ও দ্বীপাঞ্চলের জানমাল সুরক্ষায় কার্যকর অবকাঠামো তৈরি করতে হবে। গণসচেতনতা বৃদ্ধিতে বছরব্যাপী বিভিন্ন প্রচারণামূলক কার্যক্রম শুরু করতে হবে। ঝড়-ঝঞ্ঝা ও ভূমিক্ষয় রোধে উপকূল, দ্বীপ ও চরাঞ্চলে ব্যাপকহারে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহণ এবং সবুজবেষ্টনি গড়ে তুলতে হবে। একইসঙ্গে বিশ্বঐতিহ্য সুন্দরবন রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবের কারণে দেশের উপকূলীয় এলাকায় জনজীবনে সংকট প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এরপর করোনা পরিস্থিতি ও সুপার সাইক্লোন আম্ফান এই সংকট আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। আম্ফানের পর ৬ মাস পার হলেও জনজীবনে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসেনি। তাই এই সংকট মোকাবিলায় জরুরি কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।

সংবিধান অনুযায়ী প্রতিটি মানুষের জন্য সুপেয় পানি সরবরাহ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, উপকুলীয় এলাকায় লবণ পানিতে উৎপাদিত চিংড়ি রপ্তানী করে সরকার প্রতিবছর প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। কিন্তু ওই সকল এলাকায় চিংড়ি চাষের জন্য লবণপানি উত্তোলনের কারণে যে দীর্ঘমেয়াদী সুপেয় পানির সংকট তৈরী হয়েছে, সেই সংকট উত্তরণে এখনো যথেষ্ট উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। উপকূলীয় অঞ্চলের উন্নয়নে উপকূল উন্নয়ন বোর্ড গঠণের আহ্বান জানান তারা।

   

৪৩ হাজারের ধারণক্ষমতার কারাগারগুলোতে বন্দি ৬৬ হাজার



অভিজিত রায় (কৌশিক), স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
৪৩ হাজারের ধারণক্ষমতার কারাগারগুলোতে বন্দি ৬৬ হাজার

৪৩ হাজারের ধারণক্ষমতার কারাগারগুলোতে বন্দি ৬৬ হাজার

  • Font increase
  • Font Decrease

বিভিন্ন অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত এবং বিভিন্ন অভিযোগে গ্রেফতার হয়ে দেশের কারাগারগুলোতে রয়েছেন ৬৬ হাজারের বেশি বন্দি। এদিকে, কারাগারগুলোর ধারণক্ষমতা রয়েছে প্রায় ৪৩ হাজার। কারা অধিদফতরের দেওয়া তথ্য বলছে, ধারণক্ষমতার চাইতে ২৩ হাজারের বেশি বন্দি রয়েছেন দেশের কারাগারগুলোতে।

কারা অধিদফতরের সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (প্রশাসন) মো. মাইন উদ্দিন ভূঁইয়া বার্তা২৪.কম-কে বলছেন, আমাদের আজকে (১৬ এপ্রিল) পর্যন্ত সারা দেশে মোট কারাবন্দি আছেন ৬৬ হাজার ৩২৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৬৩ হাজার ৬৮৫ জন এবং মহিলা ২ হাজার ৬৪১ জন।

দেশের কারাগারে ধারণক্ষমতার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কারাবন্দিদের হিসাব অনুযায়ী আমাদের ধারণক্ষমতা অনেক কম। আমাদের ধারণক্ষমতা ৪২ হাজার ৮৬৬ জন।

ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত বন্দিরা কীভাবে রয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের ধারণক্ষমতা তো আর হুট করে বাড়ানো যায় না। তাই আমাদের ম্যানেজ করে কারাবন্দিদের রাখতে হয়। ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী যেটা থাকার কথা সেই হিসাবে ৪২ হাজার ৮৬৬ জন থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় কারাবন্দি বেশি হওয়ার কারণে এক রুমে রাখার কথা ৪ জন, আমরা সেখানে ৮ জন রাখছি। ইউনিভার্সিটির হলগুলোর মতন আর কী! যদি বন্দি বেশি হয় তাহলে আমরা সেগুলো ম্যানেজ করে রাখি। আমাদের সক্ষমতা আস্তে আস্তে বাড়ছে। একসময় আমাদেরও এই সক্ষমতা পূরণ হয়ে যাবে।

এর আগে গত শুক্রবার (১২ এপ্রিল) ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুবরণকারী উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আকরাম হোসেনের কবর জিয়ারত ও পরিবারের সঙ্গে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সে সময় তিনি বলেন, শুধু আকরামের ঘটনা নতুন নয়। আমাদের আন্দোলন চলাকালে ৩০ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের বিরুদ্ধে প্রায় ৬০ লাখ মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। ৭০০ থেকে ৮০০ জন নেতা-কর্মীকে গুম করা হয়েছে৷ গত কয়েক দিনের মধ্যে তারা ২৭ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে ৷ তারা সারা দেশকে নির্যাতনের কারখানায় পরিণত করেছ।

তবে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের বক্তব্যে দেওয়া তথ্যকে মিথ্যা বলছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সেই সঙ্গে এই দাবির যথাযথ প্রমাণ না দিতে পারলে মিথ্যাচারের জন্য জাতির কাছে মির্জা ফখরুলকে ক্ষমা চাইতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ডাকা এক সংবাদ সম্মেলনে অধিকাংশ নেতাকর্মী জেলে বিএনপির এমন দাবির বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ৬০ লাখ লোকের তালিকা চাই। ছিল ২০ হাজার এখন সেটা ৬০ লাখ হলো কী করে? ৬০ লাখ বন্দির তালিকা অবিলম্বে প্রকাশ করুক। না হয় মিথ্যাচারের জন্য জাতির কাছে মির্জা ফখরুলকে ক্ষমা চাইতে হবে।

;

সিলেটে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে অটোরিকশার ধাক্কা, শিশুসহ আহত ৬



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে অটোরিকশার ধাক্কায় শিশুসহ ৬ যাত্রী আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।

আহতদের উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসামনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

দুর্ঘটনায় আহতরা হলেন- সিলেটের জালালাবাদ থানার বাদাঘাট এলাকার চামাউরাকান্দি গ্রামের মৃত সোনা মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ মোস্তফা (৩৫), তার স্ত্রী নাজমা আক্তার (৩২), বিমানবন্দর থানার ছালেক আহমদের স্ত্রী (নাজমা বেগমের বোন) আছমা আক্তার (৪০), আছমা আক্তারের নাতি রবিউল (৬), ভাতিজি সাজনা আক্তার (১২), সিএনজিচালিত অটোরিকশার ড্রাইভার মাঝেরগাঁও গ্রামের আজিম মিয়ার পুত্র আজাদুল ইসলাম (২২)।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) গোলাম দস্তগীর আহমদ।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, যাত্রীবাহী একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা অপর একটি অটোরিকশাকে সাইড দিতে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের সাথে ধাক্কা লাগে। এতে অটোরিকশার চালকসহ কয়েকজন যাত্রী ছিটকে পড়েন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস এবং পুলিশ ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহতদের উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান হয়।

;

ঝিনাইদহে ৪০ সোনার বারসহ আটক ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত থেকে ৪০টি সোনার বারসহ ২ জনকে আটক করেছে বিজিবি।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে মহেশপুর উপজেলার পলিয়ানপুর সীমান্ত থেকে তাদের আটক করা হয় বলে মহেশপুর-৫৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সালাহউদ্দিন চৌধুরী জানান।

আটককৃতরা হলেন, মো. জসিম উদ্দিন (৫৩) ও মো. হুমায়ন কবির (৪০)।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সালাহউদ্দিন চৌধুরী জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবির বিশেষ টহলদল ছয়ঘড়িয়ায় অবস্থান নেয়। সেখানে মোটরসাইকেলে চড়ে দুজন ব্যক্তি সীমান্তের দিকে যাওয়ার সময় বিজিবি টহলদল তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করে দেহ তল্লাশি চালায়। এসময় একজনের কোমরের মধ্যে সাদা কাপড়ে মোড়ানো অবস্থায় ৪০টি সোনার বার খুঁজে পায়। উদ্ধারকৃত সোনার আনুমানিক বাজারমুল্য প্রায় ৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা বলে জানায় বিজিবি।

;

বর্ষায় ১ লাখ গাছ লাগাবে ‘ইচ্ছে ফাউন্ডেশন’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
এই বর্ষায় ১ লাখ গাছ লাগাবে ‘ইচ্ছে ফাউন্ডেশন’

এই বর্ষায় ১ লাখ গাছ লাগাবে ‘ইচ্ছে ফাউন্ডেশন’

  • Font increase
  • Font Decrease

‘ঈদের সালামি দাও নগদে, গাছ লাগানোর বাবদে’ শীর্ষক স্লোগানে বৃক্ষ রোপণে তরুণদের উদ্বুদ্ধ করতে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন করছে ইচ্ছে ফাউন্ডেশন। এই ক্যাম্পেইনকে সফল ও বেগবান করতে ইচ্ছে ফাউন্ডেশন এবং টুগেদার উই ক্যানের পক্ষ থেকে বৃক্ষ রোপণের উদ্যোগ নেয়া হয়।

এই বর্ষায় সংগঠনটি ১ লাখ বৃক্ষরোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় সংগঠনটি রায়েরবাজারের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে বিভিন্ন প্রজাতির দেশজ ফলের গাছ দিয়ে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) গ্রিন ফিউচার প্রজেক্টের আওতায় বৃক্ষ রোপণের এই কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন- টুগেদার উই ক্যানের প্রতিষ্ঠাতা অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ, মোহাম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহফুজুল হক ভুঞা, মোহাম্মদপুর পুলিশ ফাঁড়ির আইসি মোহাম্মদ রেজাউল (রেজা) ও রায়ের বাজার পুলিশ ফাঁড়ির আইসি নাজমুল।

অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ বলেন, ‘আগামী প্রজন্মের জন্যে আমাদের দায়িত্ব হলো বসবাস উপযোগী পৃথিবী গড়ে তোলা। তাই দায়বদ্ধতা থেকে আমরা গাছ রোপণ করছি। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যে সবুজ পৃথিবী গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য।

মোহাম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহফুজুল হক ভুঞা বলেন, ‘আমাদের প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষার্থে তরুণ সমাজ উদ্যোগ নিয়েছে। এটা আমাদের জন্যে সুসংবাদ। আমাদের প্রত্যেকের উচিত আমাদের তরুণ প্রজন্মের পাশে দাঁড়ানো। যার যার জায়গা থেকে বাড়ির আঙিনা থেকে বাসার ছাঁদ কিংবা বেলকুনিতে বৃক্ষ রোপণ করা।’

সংগঠনটির কো-ফাউন্ডার আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের বনভূমির পরিমাণ হলো ১৪ ভাগ। আমরা এটা ৩০ ভাগে রুপান্তর করতে চাই। আমরা মনে করি, তরুণ সমাজ চাইলে এটা সম্ভব। তারই বীজ বুনতে আমাদের এই উদ্যোগ। আশা করি সমাজের মানুষকে আমাদের পাশে পাবো।’

সংগঠনটির সভাপতি উজ্জ্বল রায় বলেন, এই বর্ষায় ইচ্ছে ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আমরা সারা দেশে অন্তত ১ লাখ বৃক্ষ রোপণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই কার্যক্রমে প্রাধান্য পাবে মূলত উপকূলীয় অঞ্চলগুলো। ইচ্ছে ফাউন্ডেশন মনে করে, ক্রমবর্ধমান এই তাপমাত্রাকে সহনীয় পর্যায় নিতে হলে সারা দেশে প্রচুর গাছ রোপণ করতে হবে। দেশের অন্তত ৩০ ভাগ বনভূমি করতে হলে প্রতিনিয়ত বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি চলমান রাখতে হবে। এই জন্য প্রয়োজন সরকারি, বেসরকারি সহায়তা। ঢাকাসহ দেশের প্রধান শহরগুলোতে বাণিজ্যিক কারণে ব্যক্তি সচেতন মানুষ চাইলে গাছ রোপণ করতে পারে না। সাধারণ মানুষের গাছ রোপণের ইচ্ছাকে সফল করতে আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি। আপনিও চাইলে আগামী প্রজন্মের জন্যে গাছ রোপণ করতে পারেন ইচ্ছে ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে। ইচ্ছে ফাউন্ডেশন সারাদেশে বিসৃত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এই কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।

;