গৃহহীনদের ঘর নির্মাণে অনিয়ম!



সোহেল মিয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মুজিববর্ষ উপলক্ষে গৃহহীনদের ঘর নির্মাণ প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের উজানচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন ফকিরের বিরুদ্ধে। নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে ঘর নির্মাণ ও সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে নগদ অর্থ নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন অনেকে।

প্রাথমিকভাবে উপকরণের যাতায়াত খরচ নেওয়া হয়েছিল বলে স্বীকার করলেও বিষয়টি নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল বলে দাবি করেন অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন ফকির। তবে নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে কাজ করার বিষয়টি তিনি নাকোচ করে দেন।

অন্যদিকে অভিযোগ উঠার পর বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে কোনো সত্যতা মেলেনি বলে জানান গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার।

সুবিধাভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, গোয়ালন্দ উপজেলাতে মোট ৪৩০টি সরকারি ঘর নির্মাণ হবে। আর উজানচর ইউনিয়ন ৬০টি ঘরের বরাদ্দ পেয়েছে। এরমধ্যে প্রত্যন্ত দুর্গম চর মহিদাপুর এলাকায় গৃহহীন ২৬টি পরিবার রয়েছে।

এসব গৃহ নির্মাণে ব্যবহার করা হচ্ছে পুরাতন ইটের নিম্নমানের খোয়া, পুরাতন রড, কাঠ ও অন্যান্য সামগ্রী। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ঘর তৈরির কথা থাকলেও ইট, বালু, কাঠসহ নির্মাণ সামগ্রী বাড়িতে নিতে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকাও দিতে হচ্ছে তাদের।

১০ জানুয়ারির মধ্যে ঘর নির্মাণ সম্পূর্ণ করে বুঝিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত অনেক বাড়িতেই পৌঁছায়নি গৃহ নির্মাণ সামগ্রী। ফলে অনিশ্চিত নির্দিষ্ট সময়ে গৃহনির্মাণ।

নিম্নমানের ইটের খোয়া

একাধিক সুবিধাভোগী অভিযোগ করেন, ঘরের নির্মাণ সামগ্রী চর মহিদাপুর এলাকায় নিতে তাদেরকে পরিবহন খরচ বাবদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে দিতে হচ্ছে ১৫-২০ হাজার টাকা। যারা টাকা দিয়েছেন তাদের ঘর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। বাকিদের মালামাল এখনো পৌঁছানো হয়নি। মালামাল পরিবহনের টাকা পরিশোধ না করলে তাদের ঘর বাতিল হয়ে যাবে বলেও হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

জানা যায়, ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন ফকির বহু বছরের পুরাতন কয়েকটি স্কুল ঘর নিলামে কিনে সেই ঘরের অতি নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে গৃহহীনদের নতুন ঘর নির্মাণের কাজে ব্যবহৃত করছেন।

চেয়ারম্যানের বাড়িতেই পুরনো ইট ও ইটের খোয়া এবং পুরনো রড দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে গৃহহীনদের ঘরের ভিম ও অন্যান্য গৃহ নির্মাণ সামগ্রী। স্তুপ করে রাখা হয়েছে বহু পুরাতন ও নিম্নমানের ইট এবং রড।

অভিযুক্ত উজানচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন ফকির বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ঘর নির্মাণের জন্য উপকরণ সামগ্রীবহনকৃত যানবাহন যে পর্যন্ত যেতে পারবে সেখানেই উপকরণ নামানো হবে। তারপর সেখান থেকে সুবিধাভোগীদেরকে নিজ খরচে ঘর নির্মাণের কাছে মালামাল নিয়ে যেতে হবে। অনেকেই নিয়েছেন। তবে বিষয়টি মানবিক বলে পরে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে উপকরণগুলো আমরাই নিজ খরচে পৌঁছে দিব। আর যারা এরমধ্যে নিজের খরচে নিয়ে গিয়েছেন আমি তাদের টাকা দিয়ে দিব।

তবে ঘর নির্মাণে নিম্নমানের কোনো উপকরণ ব্যবহার করা হচ্ছে না বলে তিনি দাবি করে বলেন, নিলামে যে পুরাতন স্কুল কেনা হয়েছে সেই স্কুলের মালামাল আমি আমার অন্য ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহার করবো। এগুলো দিয়ে ঘর নির্মাণ করছি না।

গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আমিনুল ইসলাম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, যারা ঘর পেয়েছেন তাদের কাছ থেকে কোনো ধরনের টাকা গ্রহণ করা যাবে না। অভিযোগ উঠার পর রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগমের নির্দেশে বিষয়টি নিয়ে আমরা তদন্ত করেছি। এ ধরনের অভিযোগের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। এছাড়া পুরাতন কোনো মালামাল ব্যবহার না করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নিষেধ করে দেওয়া হয়েছে।

   

কাঠের গুদামে মিলল ৬০০ বস্তা অবৈধ ভারতীয় চিনি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁওয়ে একটি কাঠের গুদাম থেকে ৬০০ বস্তা অবৈধ ভারতীয় চিনি জব্দ করেছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় গুদাম মালিককে তিন লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে দুই মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরাফাত সিদ্দিকীর নেতৃত্বে বহদ্দারহাট এলাকার এই গুদামে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা শাহ মো. মোর্শেদ কাদের এবং চান্দগাঁও থানার পুলিশের একটি দল ও ভূমি অফিসের কর্মচারীরা সহযোগিতা করেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত সিদ্দিকী বার্তা২৪.কমকে বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে বহদ্দারহাট এলাকায় একটা কাঠের গোডাউন ও কারখানায় বেশ কিছু চিনি মজুদ করা হয়েছে। বিষয়টি চাঞ্চল্যকর ছিল- যেহেতু কাঠের গোডাউনে চিনি। এটি একটি নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য। এর প্রেক্ষিতে চান্দগাঁও থানা পুলিশের সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করি এবং ঘটনা সত্যতা পাই।

তিনি বলেন, গোডাউনে এসে দেখি ৬০০ বস্তা চিনি মজুদ করা হয়েছে। পরবর্তীতে কৃষি বিপণন অধিদফতরের সহযোগিতায় আমরা জানতে পারি, চিনিগুলো ফ্রেশ ব্রান্ডের মোড়কে থাকলেও এসব ভারতীয়। কাঠের গোডাউন থেকে তারা সরাসরি বাজারজাত করার পরিকল্পনা নিয়ে মজুত করেছিল। আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে একই তথ্য পেয়েছি। গুদাম মালিক দোষ স্বীকার করেছেন।

তিনি আরও বলেন, মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অপরাধ আমলে নিয়ে নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ এর ৩৭ ধারা অনুযায়ী গুদাম মালিক মো. আব্দুর রব্বানিকে তিন লাখ টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

গুদাম মালিক আব্দুর রব্বানী বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‌গোডাউনটা আমার থেকে পাশের এক দোকানদার ভাড়া নিয়েছি। আমাকে বলেছিলেন কাঠ রাখবে। কিন্তু ঈদের পর থেকেই চিনি রাখছেন, এসব চিনি যে অবৈধ তা তিনি জানতাম না।

;

হিট অফিসারকে নিয়ে ট্রল করতে না করলেন নুর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, তীব্র গরমে দেশের তরুণরা হিট অফিসার বুশরা আফরিনকে নিয়ে ট্রল করছেন। তিনি দায়িত্ব নিয়েছেন মাত্র এক বছর হয়েছে। এক বছরে তিনি কি করবেন? এসব ঠিক করতে অন্তত পাঁচ বছর লাগবে। শুধু শুধু তাকে ট্রল করে কোনো লাভ নেই।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে পেশাজীবী অধিকার পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মৃতিচারণ ও দোয়া মাহফিলে তিনি একথা বলেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না জানিয়ে নুরুল হক নুর বলেন, বাটপাররা দেশের টাকা বাহিরে নিয়ে যাচ্ছে, রিজার্ভ ফাঁকা করে ফেলছে। তাই সাংবাদিকরা যাতে কোনো নিউজ করতে না পারে সেজন্য তাদেরকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।

তিনি বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ঔষধ নীতি করার কারণে বাংলাদেশে ঔষধ শিল্প বিকশিত হয়েছে। এই ঔষধ নীতি করার আগে বাংলাদেশে প্রায় দুই হাজার রকমের ঔষধ আমদানি করা হতো। এখন ৯৭-৯৮ শতাংশ ঔষধ বাংলাদেশে উৎপাদিত হয়। বাংলাদেশ থেকে ঔষধ এখন বিদেশে রফতানি করা হয়।

গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মতো ব্যক্তিদেরকে নিয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে আলোচনা করা উচিত। তার মতো ব্যক্তিত্বপূর্ণ মানুষ আমি আমার ৩২ বছর বয়সে দেখিনি। তিনি অসহায় মানুষ, ভুক্তভোগীর পাশে দাঁড়িয়েছেন। দেশের যেকোনো জায়গায় যখন প্রাকৃতিক সমস্যা হতো তখন তিনি মানুষকে সাহায্য করার জন্য ছুটে গিয়েছেন। তিনি সবসময় বলতেন, আমি তোমাদের মধ্যে ভবিষ্যৎ দেখি।

এসময় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ছেলে বারিশ চৌধুরী বলেন, আমার বাবা একজন দেশপ্রেমিক ছিলেন। তিনি কখনোই চাইতেন না যে সাধারণ মানুষ বিনা চিকিৎসায় মারা যাক। তিনি সবসময় মানুষের কথা চিন্তা করতেন। তিনি প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষকে সাহায্য করতেন।

পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সিনিয়র সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট খালিদ হোসেনের সঞ্চালনায় স্মৃতিচারণ ও দোয়া মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, ছাত্র অধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসেন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক বাবলু বিশ্বাস, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মঞ্জুর মোরশেদ মামুন, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. নিজাম উদ্দিন প্রমুখ।

;

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পানিতে ডুবে প্রতিবন্ধী শিশুর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বড়হরণ এলাকায় ডোবার পানিতে ডুবে রাহিম (১১) নামের এক প্রতিবন্ধী শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকালে সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের বড়হরণ গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। রাহিম একই এলাকার পশ্চিম পাড়ার সবুর মিয়ার ছেলে।

রাহিমের চাচা আলী আজম জানান, রাহিম আজকে বিকালে আব্দুর রউফ মিয়ার বাড়ির সামনের ডোবায় গোসল করতে গিয়ে ডুবে যায়। পরে স্থানীয়রা রাহিমকে ডোবা থেকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাহিমকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন বলেন, বিকেলে ডোবাতে ডুবে একটি প্রতিবন্ধী শিশু মারা গেছে। মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

;

চতুর্থ ধাপের উপজেলা ভোটেও আপিল কর্তৃপক্ষ ডিসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা পরিষদ ভোটের চতুর্থ ধাপেও রিটার্নিং কর্মকর্তাদের বাতিল করা মনোনয়ন ফিরে পেতে জেলা প্রশাসকদের কাছে আবেদন করতে হবে। ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত চিঠি থেকে এ তথ্য জানা যায়।

চতুর্থ ধাপের মত প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপেও রিটার্নিং কর্মকর্তার যাচাই-বাছাইয়ে বাতিল হওয়া প্রার্থিতা ফিরে পেতে ডিসিদের হাতে আপিল শুনানি করার ক্ষমতা দেওয়া হয়।

চতুর্থ ধাপের তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৫ জুন দেশের ৫৪ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলবে। এর সঙ্গে নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলার প্রার্থীর মৃত্যুতে স্থগিত হওয়া ভোটও এ ধাপে অনুষ্ঠিত হবে, ফলে মোট ৫৫ উপজেলায় ভোট।

চতুর্থ ধাপে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৯ মে, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ১২ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৩ থেকে ১৫ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৯ মে। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ২০ মে।

প্রথম ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ও বাছাইয়ের সময় শেষ। বৈধ প্রার্থী এক হাজার ৭৮৬ জন, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ১৫২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন জেলা প্রশাসক।

দ্বিতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ২১ এপ্রিল শেষ সময়, মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ ২৪-২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। ১৬১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি যেখানে সেখানে একাধিক সহকারি রিটার্নিং অফিসার নিয়োজিত থাকবেন।

তৃতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন ফরম জমার শেষ তারিখ ২ মে, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ৫ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ৬ থেকে ৮ মে। আপিল নিষ্পত্তি ৯ থেকে ১১ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে এবং ভোট ২৯ মে। এই ধাপে ১১২ উপজেলায় ভোট হবে।

;