ইট তৈরিতে কারচুপির অভিযোগে ৫ লাখ টাকা জরিমানা
ঢাকার ধামরাইয়ে পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র না থাকায় ও ইট তৈরিতে কারচুপির অভিযোগে ৬টি ইটভাটাকে জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
বুধবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ধামরাইয়ের কালামপুর ও বাথুলি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব ইটভাটায় জরিমানা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক বিকাশ চন্দ্র দাশ।
বিকাশ চন্দ্র দাশ বলেন, আমরা ভোক্তা অধিকার তদারকির জন্য ধামরাইয়ের কিছু ইটভাটা পরিদর্শন করি। পরিদর্শন করা ইটভাটাগুলোর মধ্যে ছয়টি ইটভাটা বিএসটিআইয়ের নির্ধারিত স্ট্যান্ডার্ডের চেয়ে কিছু কম পেয়েছি। এর মধ্যে একটি ইটভাটার পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র ও ডিসি অফিস থেকে যে লাইসেন্স নিতে হয় তার কিছুই ছিল না। এসব অপরাধে কেবি কর্ণফুলি ব্রিকসকে ১ লাখ, এসকেবি কর্ণফুলি ব্রিকসকে ৫০ হাজার, কেএজেড ব্রিকসকে ১ লাখ, এএইচকে ব্রিকসকে ৫০ হাজার, রনি ব্রিকসকে ১ লাখ ও কেবিসিকো ব্রিকসকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। একই সাথে যাদের লাইসেন্স নাই ও পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র নেই তাদের এসব সনদ দ্রুত সংগ্রহের জন্য বলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিএসটিআই নির্ধারিত পরিমাপ অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে। ইটের যে ব্লক রয়েছে সেটারও নির্ধারিত পরিমাপ রয়েছে, এই পরিমাপ কম বেশি হলে সিমেন্ট ও বালুর কমবেশি প্রয়োজন হয়। এটা এক ধরনের প্রতারণা। এজন্যই ভোক্তা অধিকার থেকে আমরা ইটভাটা পরিদর্শন করেছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের ঢাকা জেলা সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডলসহ ধামরাই থানার পুলিশ কর্মকর্তারা।