সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করার আহ্বান ফখরুলের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার (০২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বিএনপির সহ-দফতর মুহম্মদ মুনির হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ আহ্বান জানান।

গত ২৮ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বার ভবনে প্রবেশ করে আইনজীবী ও সাংবাদিকদের ওপর সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের কাপুরুষোচিত ও ন্যাক্কারজনক হামলা ও তাদেরকে আহত করার ঘটনায় এ বিবৃতি দেন তিনি।

বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমান অবৈধ সরকারের শাসনামলে দেশব্যাপী চলছে অন্যায়, অবিচার ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের নারকীয় উৎসব। দেশে আইন-কানুনের নূন্যতম চিহ্ন নেই বলেই শুধু বিএনপি ও বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীরাই আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দ্বারা হামলার শিকার হচ্ছে না, আইনজীবী ও সাংবাদিকদেরও এই পৈশাচিক হামলা থেকে রেহাই দেয়া হচ্ছে না। আর এক্ষেত্রে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সবকিছু দেখেও না দেখার কৌশল অবলম্বন করছে এবং সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। ফলে সন্ত্রাসীরা আরও বীরদর্পে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে দেশে এক ভয়ানক ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে।’

বিবৃতিতে গত ২৮ জানুয়ারি আইনজীবী ও সাংবাদিকদের ওপর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বর্বরোচিত হামলা ও তাদেরকে আহত করার ঘটনায় ধিক্কার জানান ফখরুল ইসলাম।

ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমান সরকারের ছত্রছায়ায় এটি একটি ন্যাক্কারজনক ও জঘন্য ঘটনা হিসেবে ইতিহাসের পাতায় সাক্ষী হয়ে থাকবে। বিরোধী দল ও মতের মানুষসহ সাধারণ মানুষের আজ কোথাও যে কোনও নিরাপত্তা নেই তা আবারও প্রমাণ করলো বর্তমান গণবিরোধী ও জনবিচ্ছিন্ন সরকার। তাই আওয়ামী ভয়াবহ দুঃশাসন থেকে নিস্তার লাভে দল-মত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।’

   

গ্রামাঞ্চলে পাকা সড়ক ৭২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
গ্রামাঞ্চলে পাকা সড়ক ৭২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

গ্রামাঞ্চলে পাকা সড়ক ৭২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের গ্রামাঞ্চলে পাকা সড়ক ১২ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে এখন ৭২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো.তাজুল ইসলাম। 

রোববার (৫ মে) বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজার সংলগ্ন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (বিএফডিসি) ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত গণতন্ত্র সুসংহত করতে 'নির্দলীয় স্থানীয় সরকার নির্বাচন' নিয়ে অনুষ্ঠিত ছায়া সংসদে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

মো. তাজুল ইসলাম বলেন, দেশে গ্রামীণ অঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। আগে যেখানে গ্রামীন সড়ক ১২ শতাংশ ছিল এখন তা বেড়ে হয়েছে ৭২ শতাংশ।

মন্ত্রী সরকারের প্রশংসা করে বলেন, দেশে একসময় ৭২ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্য সীমার নীচে ছিল। এখন মাত্র ১৮ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্য সীমার নীচে।

নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বিষয়ে তিনি বলেন, বিরোধী দলকে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে। ব্রিটেনের লেবার পার্টি ৩০-৪০ বছর ধরে ক্ষমতায় নেই। তারপরও নির্বাচন করছে। পাকিস্তানে ইমরান খানের দলকে বাতিল করে দিয়েছে, তার সাথে সম্পৃক্তদের গ্রেফতার করেছে। জাতির জনক শেখ মুজিব ৭০ সালের নির্বাচন করেছে। আমার দল আওয়ামীলীগ ১৯৮৬ সালে নির্বাচন করে নাই, আর সবসময় নির্বাচনে অংশ নিয়েছে।

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ছায়া সংসদ বা বিতর্ক প্রতিযোগিতায় সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ঘর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। ছায়া সংসদে প্রস্তাবের পক্ষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ এবং বিপক্ষে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকরা অংশগ্রহণ করে।

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি'র আয়োজনে 'নির্দলীয় স্থানীয় সরকার নির্বাচন তৃণমুল পর্যায়ে গণতন্ত্রকে সুসংহত করবে' শীর্ষক ছায়া সংসদে বিপক্ষে অংশ নেওয়া মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকদের পরাজিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ বিতার্কিকরা বিজয়ী হয়।

প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ রইস, সাংবাদিক মাঈনুল আলম, সাংবাদিক মশিউর রহমান খান, সাংবাদিক মো. হুমায়ুন কবীর ও সাংবাদিক সাদিয়া আফরোজ।

প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ী দলকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।

;

খরায় ঝরে পড়ছে লিচু, লোকসানের শঙ্কায় চাষিরা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি মৌসুমে অনাবৃষ্টি ও তীব্র খরায় বিপাকে পড়েছেন বরেন্দ্র অঞ্চলের লিচু চাষিরা। পরিপক্ব হওয়ার আগেই লিচু ঝরে পড়ায় লোকসানের শঙ্কায় চাষিদের কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ।

জানা যায়, তীব্র তাপদাহে লিচু পাকার মাত্র এক সপ্তাহ আগে ফলগুলো কালো হয়ে ফেটে ঝরে পড়ছে।

এক সময় লিচু উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত দিনাজপুরের পাশাপাশি ঈশ্বরদী ও রাজশাহী এখন লিচু চাষে অগ্রগামী। অত্যধিক গরম ও বৃষ্টির অভাবে লিচুর গুণগত মান এবং উৎপাদনে বড় ধরনের প্রভাব পড়ছে। চাষিদের মধ্যে হতাশা ও উদ্বেগ বিরাজ করছে, কেননা লিচু বিক্রি থেকে প্রাপ্ত আয় তাদের বছরের অনেক খরচ মেটায়। এই অঞ্চলের অনেক চাষি লিচু বিক্রি করে সংসারের খরচ চালানোর পাশাপাশি শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ করে থাকেন।

চাষিদের এই বিপর্যয় মোকাবিলায় কৃষি বিভাগ ও সরকারি সহায়তা অত্যন্ত প্রয়োজন। কৃষি বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, পরিবর্তনশীল আবহাওয়া পরিস্থিতি ও বাজারের চাহিদা বুঝে চাষাবাদের পদ্ধতি উন্নত করতে হবে। চাষিদের ওপর এই বোঝাপড়া ও অবহেলা দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা তৈরি করতে পারে, তাই অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানিয়েছে, রাজশাহীতে এবার ৫৩০ হেক্টর জমিতে ৩ হাজার ৮৬৫ মেট্রিক টন লিচু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে চাষিরা বলছেন, আমের মতো এবার লিচুতেও ব্যাপক লোকসান হবে।

মহানগরীর কাশিয়াডাঙ্গা এলাকার লিচু চাষি সাব্বির হোসেন বলেন, গাছের গোড়ায় সকাল-বিকেল পানি ঢালছি। তবুও লিচু রক্ষা করা যাচ্ছে না। গাছের চেয়ে মনে হচ্ছে মাটিতেই বেশি লিচু পড়ে আছে। লিচু দেখতে কালচে হয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও আকারে অনেক ছোট হচ্ছে।

রাজশাহী নগরীর মেহেরচণ্ডির এলাকার লিচুচাষি মুক্তার ভাণ্ডারি বলেন, তীব্র খরার কারণে গাছে ফেটে নষ্ট হচ্ছে লিচু। এমন ক্ষতি থেকে রক্ষার জন্য আগাম গাছ থেকে লিচু নামিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। লিচুগুলো পরিপূর্ণভাবে পাকতে এখনও পাঁচ থেকে ছয়দিন সময় লাগবে। কিন্তু খরার কারণে গাছের গোড়ায় পানি দিয়েও কাজ হচ্ছে না।

রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা উম্মে ছালমা বলেন, তীব্র খরায় খাল-বিল শুকিয়ে গেছে। এমতাবস্থায় লিচু রক্ষা করার জন্য সকাল-বিকেল গাছের গোড়ায় পানি দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে চাষিদের। বিকেলের পানিটা গোড়ার পাশাপাশি গাছের ওপরেও স্প্রে করে দিতে হবে। তাহলে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।

রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, আম-লিচু প্রতিকূল আবহাওয়ারই ফল। খরা হবে, ঝড়-বৃষ্টি, শিলা হবে, এর মধ্যে দিয়ে এগুলো বড় হবে। তবে এখন বৃষ্টি প্রয়োজন। বৃষ্টি হলে পরিবেশটা ঠাণ্ডা হবে। তখন আর ঝরে পড়বে না।

;

সেপটিক ট্যাংক খননের সময় মাটিচাপায় শ্রমিকের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, জামালপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় সেপটিক ট্যাংক খননের সময় মাটিচাপা পড়ে আজিম উদ্দিন (৪৫) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ মে) দুপুরে উপজেলা সদর ইউনিয়নের নাওভাঙা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আজিম উদ্দিন উপজেলার পার্থশী ইউনিয়নের রৌহার কান্দা গ্রামের মৃত গেদু সেখের ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন তালুকদার।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, সদর ইউনিয়নের নাওভাঙা এলাকায় রফিকুল ইসলামপুরের বাড়িতে সেপটিক ট্যাংকের গর্ত খুঁড়তে চারজন শ্রমিক কাজ করছিলেন। প্রায় ৩০ ফিট খননের পর আকস্মিক বালু ধসে আজিম উদ্দিন নিচে চাপা পড়েন। বিষয়টি ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হলে তারা এসে দীর্ঘসময় চেষ্টা করে আজিম উদ্দিনের মরদেহ উদ্ধার করে।

ইসলামপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, বালু ভরাট করা একটি জায়গায় সেপটিক ট্যাংক খনন করার সময় ধসে যায়। এতে চাপা পড়ে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়।

;

নোঙর করা ট্রলারে আরেকটির ধাক্কা, জেলে নিখোঁজ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরগুনা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বরগুনার পাথরঘাটা লঞ্চঘাটের খালে নোঙর করা এফবি সাফওয়ান-১ ট্রলারে এফবি তূর্ণা ট্রলারের ধাক্কা লেগে মনির হোসেন (৩০) নামের এক জেলে নিখোঁজ হয়েছেন। এ ঘটনার পর থেকেই ফায়ার সার্ভিস স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।

রোববার (৫ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পাথরঘাটা পৌর শহরের লঞ্চঘাটের খালে এ ঘটনা ঘটে।

নিখোঁজ জেলে লক্ষ্মীপুর জেলার হাফিজুল্লাহ ওরফে হাফেজের ছেলে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জেলে মনির হোসেনকে পাওয়া যায়নি।

প্রত্যক্ষ্যদর্শী জেলে কামাল হোসেন জানান, এফবি তূর্ণা ও এফবি সাফওয়ান ট্রলার দুটি পাথরঘাটা লঞ্চঘাটে নোঙর করা ছিলো। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এফবি তূর্ণা ট্রলারটি সেখান থেকে বের হওয়ার সময় পাশে থাকা এফবি সাফওয়ান ১ ট্রলারের চুকানের ধাক্কা লেগে খালের পানিতে পড়ে নিখোঁজ হন মনির হোসেন। এরপর থেকেই স্থানীয় লোকজন খালে জাল ফেলে তাকে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে উদ্ধারে কাজে অংশ নেন।

ফায়ার সার্ভিসের পাথরঘাটা স্টেশন লিডার মো: রুহুল কুদ্দুস বলেন, আমরা স্থানীয়দের মাধ্যমে উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। গতকাল একজন শিশু নিখোঁজ থাকার পর আমাদের ডুবুরিদল এসে উদ্ধার করে সকালে চলে গিয়েছিল। তারা পটুয়াখালী পৌঁছালে এ ঘটনা ঘটে। তখন আবারো ফোন দিয়ে তাদেরকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

;