মেঘনায় দখলের মহোৎসব, হুমকিতে তিন সেতু



আল মামুন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে মেঘনা নদীতে প্রতিনিয়ত চলছে দখলের মহোৎসব। আশুগঞ্জ বন্দরের পাশে নদী তীরের অনেক জায়গা এখন ইজারাদার মো. জিতু মিয়া ও প্রভাবশালীদের দখলে। নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে সেসব জায়গায় গড়ে উঠছে বাঁশের জেটি। আর সেখানেই জাহাজ ভিড়িয়ে নামানো হচ্ছে সারসহ নানা পণ্য। আবার কেউ সরাসরি বালু ফেলে দখলে নিচ্ছেন নদীর তীর।

জাহাজ থেকে পণ্য ওঠানামা
নদী তীরে নির্মাণ করা হয়েছে অবৈধ বাঁশের জেটি

অভিযোগ আছে, টাকার বিনিময়ে ইজারাদার জিতু মিয়াকে নদী দখলে সহায়তা করছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরিন নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কিছু অসাধু কর্মকর্তা। লোক দেখানো উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হলেও টাকার বিনিময়ে উচ্ছেদ হয়নি ইজারাদারের অবৈধ জেটি ও বালুর স্তুপ। সাধারণত সেতু এলাকায় কোনও স্থাপনা তৈরির নিয়ম নেই। কিন্তু ইজারাদার বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে সেতুর পিলারের সাথে জাহাজ নোঙর করান। এতে হুমকির মুখে পড়েছে মেঘনা নদীর উপরে নির্মিত গুরুত্বপূর্ণ তিনটি সেতু।

সরেজমিনে দেখা গেছে, জেলার আশুগঞ্জ অংশের মেঘনা নদীতে চলছে দখলের মহোৎসব। মেঘনা নদীর আশুগঞ্জ লঞ্চঘাট থেকে আশুগঞ্জ সারকারখানার দক্ষিণে লঞ্চঘাট পর্যন্ত এক বছরের জন্য ৭৮ লাখ টাকায় ইজারা নিয়েছেন মো. জিতু মিয়া। এরপর থেকেই বন্দর এলাকা ও ব্রিজের পাশে চলছে অবৈধ ও অপরিকল্পিত বাশেঁর জেটি নির্মাণ। পাশাপাশি বালু দিয়েও ভরাট করা হচ্ছে নদী তীরবর্তী এলাকা। কয়েকদিনের ব্যবধানে কয়েকটি বাশেঁর জেটি নির্মাণ করা হয়েছে এবং বালু ভরাট করা হয়েছে ৪ জায়গায়। আর সারের পয়েন্ট রয়েছে একটি।

জাহাজ থেকে পণ্য ওঠানামা করছেন শ্রমিকরা
জাহাজ থেকে পণ্য ওঠানামা করছেন শ্রমিকরা

এছাড়া জেটিগুলো দিয়ে প্রতিদিন জাহাজ থেকে নামানো হচ্ছে সিমেন্ট, বালু, ধান, গম, ভুট্টা ও সারসহ বিভিন্ন পণ্য। তিনটি সেতুর পিলারের সাথে অবৈধ জেটি নির্মাণ করায় পিলারেই বাধাঁ হচ্ছে বলগেট জাহাজ। এতে যেকোনও সময় ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা।

অভিযোগ আছে, নদী এলাকার দেখভাল করার দায়িত্বে বিআইডব্লিউটিএ থাকলেও আশুগঞ্জ অফিস থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরে নির্মাণ করা হয়েছে এসব অবৈধ জেটি। অবৈধ বাঁশের জেটি থেকে প্রতিদিন চাঁদা আদায় করেন জিতু মিয়ার লোক জাহিদ ও কামাল। যার ভাগ পান বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তারা। তবে প্রভাবশালীদের ভয়ে এসব বিষয়ে মুখ খুলেন না এলাকাবাসী।

জানা গেছে, জাহাজ থেকে যেকোনও পণ্য উঠা নামায় বস্তাপ্রতি এক টাকা ১৫ পয়সা করে আদায় করে জেটি মাটিলকরা। সে হিসেবে প্রতি জাহাজ থেকে ২৫-৫০ হাজার টাকা পান তারা। পরে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেওয়ায় সরকারি কোষাগারে কোনও অর্থ জমা হয় না।

গত ২৪ জানুয়ারি বিআইডব্লিউটিএ’র নিবার্হী ম্যাজিস্টেট মাহবুব জামিলের উপস্থিতে আশুগঞ্জের মেঘনা নদী তীরবর্তী এলাকায় অবৈধ স্থাপনায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় নদীর তীরবর্তী কয়েকটি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। তবে অজানা কারণে ব্রিজের নিচে দখল হওয়া অবৈধ জেটি, বালু, ও ডক অপসারণ বা উচ্ছেদ করা হয়নি।

নদী তীরে নির্মাণ করা হয়েছে অবৈধ বাঁশের জেটি
অবৈধ বাঁশের জেটি দিয়ে পণ্য খালাস করছেন শ্রমিকরা

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ইজারাদার জিতু মিয়া এবং বিআইডব্লিউটিএ’র উপ-পরিচালক ও আশুগঞ্জ নদী বন্দরের কর্মকতা শহিদ উল্লাহর মধ্যে ১০ লাখ টাকার লেনদেন হয়। ফলে ব্রিজের নিচের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করেই চলে যায় ভ্রাম্যমাণ আদালত।

ইজারাদার মো. জিতু মিয়া বলেন, ‘ভ্রাম্যমাণ আদালত বেশ কয়েকটি অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়েছে।’

এ সময় বাঁশ দিয়ে জেটি নির্মাণের অনুমতির পাওয়ার কাগজ দেখতে চাইলে তিনি তা দেখাতে পারেন নি। তিনি জানান, এসব জেটি থেকে তার লোকজনই টাকা তোলে। তবে অন্য লেনদেনের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।

বিআইডব্লিউটিএ’র উপ-পরিচালক ও আশুগঞ্জ নদী বন্দরের কর্মকতা শহিদ উল্লাহ বলেন, ‘অনুরোধ করায় সার মজুদ রাখার স্থানে উচ্ছেদ করা হয়নি। ভ্রাম্যমাণ তাদের সময় দিয়েছেন। আর ব্রিজের গোড়ায় রাখা বালুর মালিককে খুঁজে না পাওয়ায় কিছু করা সম্ভব হয়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘শিগগিরই আবারও অভিযান চালানো হবে।’

ইজাদারের কাছ থেকে টাকা লেনদেনের বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘যাদের অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে তারাই মূলত এমন অভিযোগ করছেন।’

   

ইউনিয়ন ভিত্তিক প্রতিবন্ধী স্কুল বাস্তবসম্মত নয়: দীপু মনি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুড়িগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, ইউনিয়ন ভিত্তিক প্রতিবন্ধী স্কুল করা বাস্তবসম্মত নয়। প্রতিবন্ধীদের জন্য আমাদের চেষ্টা হলো মূলধারার বিদ্যালয় গুলো সবার জন্য উন্মুক্ত করা। যারা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী বা অটিজম বা যাদের এই ধরনের সমস্যা আছে তাদের মধ্যে যাদের সাধারণ স্কুলে যাওয়ার নুন্যতম সক্ষমতা আছে, তাদেরকে সেখানেই দিয়ে দেওয়া। সেই স্কুলের শিক্ষকদেরকে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যেন তারা একসাথে পড়াতে পারেন। এতে সাধারণ শিশুরাও সহমর্মী মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে। আর যাদের পক্ষে কোনভাবেই সাধারণ স্কুলে যাওয়া সম্ভব না, প্রতিবন্ধী বা বিশেষ স্কুল শুধুমাত্র তাদের জন্য। সেজন্য শিক্ষক তৈরি করা বা কেয়ারগিভার তৈরি করা কিন্তু খুব সহজ কাজ নয়। কাজেই প্রতি ইউনিয়নে এরকম একটি করে স্কুল তৈরি করা খুব দুঃসাধ্য একটি ব্যাপার হবে।

শনিবার(১৮ মে) বিকেলে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনি কুড়িগ্রাম সদরের উত্তরবঙ্গ জাদুঘর পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

দীপু মনি এব্যাপারে আরও বলেন, ইতিমধ্যে আমাদের কিছু বিশেষ স্কুল আছে। আমরা হুজুকে জাতি। একটা কিছু করা শুরু হলে আমরা সবাই মিলে সেটা করা শুরু করি। সারাদেশে এমন অনেক স্কুল গজিয়ে যাচ্ছে। সেগুলোর মধ্যে যে সবগুলোই খুব ভালো বা শিশুদের জন্য বিশেষ স্কুল তা নয়। আমরা সেটারও একটা যাচাই বাছাই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। যেগুলো প্রকৃত অর্থেই বিশেষ স্কুল সেগুলোকে স্বীকৃতি দিয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা আমরা নিশ্চয়ই দেব। কিন্তু আমাদের চেষ্টা থাকতে হবে সাধারণ বিদ্যালয়ে যতদূর সম্ভব বিশেষ শিশুদেরকে আমরা যেন নিয়ে যেতে পারি।

সামনের অর্থবছরের জন্য আসন্ন বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় থাকা নাগরিকদের ভাতার অর্থ বৃদ্ধি করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘এই মুহূর্তে ভাতার পরিমাণ বাড়ানো সম্ভব হবে না। ভাতার পরিমাণটা আসলে কোনও ভাতাভোগীর জন্য একমাত্র অবলম্বন নয়। অনেকগুলো কারণে ভাতা দেওয়া হয়। তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো তিনি (সুবিধাভোগী) যেন নিজেকে অসহায় মনে না করেন। যেন ভাবেন, সরকার তার পাশে আছে।’ অবশ্যই দেশ ও সরকারের সক্ষমতা বাড়ার সাপেক্ষে ভবিষ্যতে ভাতার পরিমাণ বাড়ানো হবে বলে জানান তিনি।

জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের তথ্য নিয়ে লুকোচুরি ও বিভিন্ন অনিয়মের ব্যাপারে সাংবাদিকদের অভিযোগের বিষয়ে দীপু মনি বলেন, ‘অবশ্যই এ ধরনের অভিযোগ গুরুতর। বিষয়টি নিয়ে আমি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলবো।’ তবে ভাতাভোগীদের তালিকা প্রকাশ কিংবা তথ্যের সহজলভ্যতার বিষয়ে অধস্তন কার্যালয়কে তাৎক্ষণিক স্পষ্ট কোনও নির্দেশনা দেননি মন্ত্রী।

উত্তরবঙ্গ জাদুঘর পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী জাদুঘরে রক্ষিত ১৯৭৩ সালে কুড়িগ্রামে দেওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণের লিখিত প্রতিলিপি দর্শনার্থীদের জন্য আনুষ্ঠানিক উন্মোচন করেন। এরপর তিনি শেখ রাসেল পৌর অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত কুড়িগ্রামের কৃতিসন্তান অ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকনকে দেওয়া নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। পরে রাত ৯ টার দিকে মন্ত্রী কুড়িগ্রাম সরকারি শিশু পরিবার পরিদর্শন করেন।

;

কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজতির মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চিকিৎসাধীন অবস্থায় গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের এক হাজতি মারা গেছেন। মারা যাওয়া হাজতি নীলফামারীর ডোমার থানার মটুকপুর গ্রামের রুমেল হোসেনের মেয়ে আমিনা বেগম (৪০)। কারাগারে তার হাজতি নং- ৩৯৪/২৪।

শনিবার (১৮ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

কারাগার সূত্রে জানা গেছে, মহিলা কারাগারে বন্দি আমিনা বেগমের হঠাৎ বুকে ব্যথা হয়। পরে তাৎক্ষণিক কারাগার থেকে তাকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার শাহজাহান মিয়া বলেন, বুকে ব্যথা উঠলে আমিনাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। কারাবিধি মেনে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

;

শিশু জায়েদ হাসানের দায়িত্ব নিচ্ছেন না মামা, দেওয়া হচ্ছে দত্তক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ভালুকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে দুর্ঘটনায় নিহত মা ও বেঁচে যাওয়া দেড় বছরের শিশু জায়েদ হাসান ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসা এখন পুরাপুরি সুস্থ। উচ্চ আদালত শিশুটিকে তার মামার জিম্মায় দেওয়ার নির্দেশ দিলেও জায়েদের সুন্দর ভবিষ্যত ও নিজের পরিবারের অবস্থার কথা চিন্তা করে দায়িত্ব নিচ্ছেনা মামা রবিন মিয়া। এ কারণেই দেওয়া হবে দত্তক।

আগামীকাল রবিবার(১৯ মে) শিশু কল্যাণ বোর্ডের সভার আগ পর্যন্ত দত্তক দেওয়ার জন্য আবেদন গ্রহণ করা হবে ও সব আবেদন বোর্ড সভায় পেশ করা হবে এবং আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করে একটি পরিবারের কাছে শিশুটিকে হস্তান্তর করা হবে।

শিশু জায়েদের মামা রবিন মিয়া বলেন আমি পেশায় একজন পিকআপ চালক। মা, বাবা পরিবার ও তিন সন্তান নিয়ে অনেক কষ্ট করে দিন চলে। তাই আমি চাই না আমার কাছে এসে ভাগিনার সুন্দর জীবনটা নষ্ট না হয়। আমি চাই সে একজন ভালো মানুষের ঘরে গিয়ে মানুষের মত মানুষ হোক আমি শান্তি পাবো। সেজন্যই শিশু কল্যাণ বোর্ডের কাছে একটি অনাপত্তি পত্র দিয়েছি।

ময়মনসিংহ জেলা সমাজসেবা বিভাগের উপপরিচালক ও শিশু কল্যাণ বোর্ডের সদস্য সচিব আব্দুল মজিদ বলেন জায়েদের মামা চান ভাগ্নের সুন্দর ভবিষ্যত। এজন্য শিশু কল্যাণ বোর্ডের প্রতি আস্থা রেখে একটি অনাপত্তিপত্র দিয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি পরিবার জায়েদকে পেতে আবেদন করছে। তাদের মধ্যে থেকে যাচাই-বাছাই করে আগামীকালের বোর্ড সভা সিদ্ধান্ত হবে জায়েদকে কোন পরিবারে দেওয়া হবে ।

উল্লেখ্য, গত ১০ মে রাত তিনটার দিকে ভালুকা উপজেলার স্বয়ার মাস্টারবাড়ি এলাকায় শিশু জায়েদ ও তার মা জায়েদা সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ভোররাতেই সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে করে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। শিশুটিকে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ও শিশুর মা'কে হাসপাতালের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়। পরদিন সকালে শিশুটির মা মারা যায়। তবে,আহত শিশুটি হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডেই চিকিৎসাধীন থাকে।

;

যশোরে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবারকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করায় যশোর সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের আহবায়ক ও যশোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা আনোয়ারকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে) বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সভাপতি ডেইজি সারোয়ার ও সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

জানাযায়, গত বৃহস্পতিবার ১৬ মে প্রেসক্লাব যশোরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জামাতাও বিএনপি করেন। তার এমন একটি বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যে বক্তব্য দেওয়ায় প্রতিবাদ জানিয়েছিলো যশোর জেলা আওয়ামী লীগ। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে দলীয় পদ থেকে বাতিল ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য লিখিত সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

শুক্রবার রাতে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম তরফদারের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

যশোর জেলা আওয়ামী লীগের উপ দপ্তর সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম তরফদারের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, যশোর সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের আহবায়ক ও আসন্ন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা আনোয়ার বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করেন। এই সাংবাদিক সম্মেলনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

তার বক্তব্যের বিষয়টি যশোর জেলা আওয়ামী লীগের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন এবং সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে তাকে যুব মহিলা লীগের আহবায়ক পদ ও প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিলসহ কেন্দ্রের কাছে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর সুপারিশও করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ফাতেমা আনোয়ারের স্বামী আনিসুর রহমান লিটন ওরফে ফিঙ্গে লিটন পুলিশের মোস্ট ওয়ান্টেডভুক্ত আসামি। তিনি খুন-গুম, মাদক, সোনা, অস্ত্র চোরাচালানসহ একাধিক অপরাধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে দেশের বাইরে পলাতক অবস্থায় আছেন। দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসীদের তালিকায় তার নাম রয়েছে। তিনি ইন্টারপোলেরও ওয়ান্টেড আসামি।

এই বিষয়ে ফাতেমা আনোয়ার সাংবাদিকদের বলেন, একজন রাষ্ট্রনায়ককে নিয়ে কেউ কথা বা মন্তব্য করবে এটা রাষ্ট্রের নাগরিকের অধিকার। আমার বিরুদ্ধে জেলা আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এটা আমাকে অবিচার করছে বলে মনে করছি।

;