বগুড়ায় কুপিয়ে জখম করা যুবলীগ কর্মীর মৃত্যু
বগুড়ায় ফোরকান (৩৮) নামে এক যুবলীগ কর্মীকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে শহরের ফুলতলা এলাকায় তাকে কুপিয়ে জখম করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে তিনি মারা যান।
নিহত ফোরকান শহরের ফুলতলা এলাকার মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে। তার নামে হত্যাসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।
জানাগেছে, সোমবার বিকেল ৪টার দিকে ফুলতলা কাঁচাবাজারে একদল দুর্বৃত্ত ফোরকানকে ধাওয়া করে। ফোরকান দৌড়ে পালানোর সময় কাঁচাবাজারের অদূরে ইটপাড়া রাস্তায় পড়ে যায়। এসময় দুর্বৃত্তরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় কুপিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সকালে তিনি মারা যান।
এই হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোন কারণ জানা না গেলেও বগুড়া পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ফোরকানকে হত্যা করা হয়েছে বলে নিহতের পরিবার দাবি করেছেন।
এদিকে অনুসন্ধানে জানাগেছে, বগুড়া শহরের এক সময়ের শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহীনের মামাতো ভাই ফোরকান। প্রতিপক্ষের হাতে শাহীন খুন হয়েছেন বেশ কয়েক বছর আগে। এই এলাকার আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহীনের প্রতিপক্ষ মজনুও তার পরিবাবের কয়েকজন খুন হয়েছেন গত ১০ বছরে। এরপর থেকে শাহীনের ছেলে লিখন ও ফোরকানের নেতৃত্বে এলাকায় একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ তৈরি হয়। সেই গ্রুপের সাথে নিহত শাহীনের প্রতিপক্ষ মজনুর পরিবারের বিরোধ চলছিল দীর্ঘ দিন ধরে। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি বগুড়া পৌরসভার নির্বচান। সেই নির্বাচনে নিহত মজনুর ভাতিজা নাদিম ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করছেন। কিন্তু ফোরকান নাদিমের বিপক্ষে মামুন নামের এক প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন। নাদিম এবং ফোরকান যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকলেও তাদের মধ্যে পারিবারিকভাবে বিরোধ দীর্ঘদিনের।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের পরপরই পুলিশ নাদিমকে গ্রেফতারের জন্য তার বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে। কিন্তু নাদিম ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে গেছে।
শাহজাহানপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।