রসিকে দুর্নীতি: অভিযুক্তরা বাদ, সাক্ষীই একমাত্র আসামি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
রংপুর সিটি করপোরেশন। ছবি: বার্তা২৪.কম

রংপুর সিটি করপোরেশন। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুর সিটি করপোরেশনের (রসিক) ৩০ কোটি টাকার কাজ ভাগিয়ে নেওয়ার ঘটনায় মূল অভিযুক্তদের আড়াল করার অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘটনায় ঠিকাদারি কাজের জন্য গণমাধ্যমে দরপত্র প্রকাশ না করে ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট প্রকৌশল বিভাগের যোগসাজশে অর্থ আত্মসাতে যাদের নাম আসে অভিযোগপত্রে তাদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। উল্টো ওই ঘটনার সাক্ষী রসিকের সাবেক ক্যামেরাম্যান গোলজার হোসেনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) রংপুর কার্যালয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দুই বছর আগে সাবেক মেয়র প্রয়াত সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টুর মেয়াদকালে গোপনে ৩০ কোটি টাকার ৪৯টি প্যাকেজের দরপত্র ও ১৮টি কোটেশন আহ্বান করা হয়। পছন্দের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিয়ে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে রসিকের সেই সময়ের টেন্ডার কমিটির আহবায়ক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আকতার হোসেন আজাদ ও সদস্য সচিব তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এমদাদ হোসেনের বিরুদ্ধে। সংবাদপত্রে দরপত্র আহ্বান না করে জালিয়াতির এই ঘটনায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হলে বিষয়টি আমলে নেয় দুদক। ঘটনার তদন্তে দুদকের রংপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলমকে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়।

তদন্ত কর্মকর্তা অভিযুক্ত প্রধান নিবার্হী আকতার হোসেন আজাদ ও প্রকৌশলী এমদাদ হোসেনসহ দুই ঠিকাদারের জবানবন্দী দেন। ক্যামেরাম্যান গোলজার হোসেনের জবানবন্দী নেন স্বাক্ষী হিসেবে।

পরে দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তন হলে সে সময়ের অভিযোগের সাক্ষী ক্যামেরাম্যান গোলজার রহমানকেই একমাত্র আসামি করে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রংপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক নূর আলম।

আসামি গোলজার রহমানসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অভিযোগ করেন, চাকরির শর্ত অনুযায়ী, দরপত্র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও অনুমোদনের কোনো ক্ষমতা ক্যামেরাম্যান গোলজারের ছিল না। সংশ্লিষ্ট প্রকৌশল বিভাগের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও নির্বাহী প্রকৌশলী দরপত্রসহ সব কাজে সই করেন। সেই সময়ের রসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আকতার হোসেন আজাদ বর্তমানে দুদকের পরিচালক হিসেবে কর্মরত। নির্বাহী প্রকৌশলী এমদাদ হোসেনও পদোন্নতি পেয়ে রসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হয়েছেন। ঘটনায় তাদের দায় এড়াতে কৌশলে ক্যামেরাম্যানকে আসামি করা হয়েছে। প্রভাবশালী প্রকৌশলীদের আড়াল করতেই তাকে ফাঁসানো হয়েছে।

অভিযোগে জানা যায়, দরপত্র সংবাদপত্রে প্রকাশে ক্যামেরাম্যান-কাম-জনসংযোগ সহকারীর কোনো ক্ষমতা বা প্রমাণ না থাকলেও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আকতার হোসেন আজাদের একটি প্রত্যয়নপত্র আদালতে দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা। সাক্ষীকে আসামি বানানোর মামলার অভিযোগপত্রে সে সময় সংশ্লিষ্টরা স্বাক্ষর করার ক্ষমতা থাকার কারণে অভিযুক্ত হতে পারেন এই শঙ্কায় কর্মকর্তা আজাদ ও এমদাদ হোসেনও হন সাক্ষী। সাক্ষী করা হয়েছে পাঁচ মাস আগে মারা যাওয়া দৈনিক দাবানল সম্পাদক খন্দকার গোলাম মোস্তফা বাটুলকেও।

ঘটনার সময় প্রয়াত সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু দায়িত্বে থাকলেও সাক্ষী করা হয় বর্তমান মেয়র মোস্তাফিজুর রহমানকে। বর্তমান মেয়র দায়িত্ব নেওয়ার পরই ২০১৮ সালের মার্চে রসিকের ১৭৭ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে (অস্থায়ী নিয়োগ) ছাঁটাই করে, সে সময় ছাঁটাই হন সাক্ষী থেকে আসামি বনে যাওয়া ক্যামেরাম্যান গোলজার।

আসামি গোলজারের অভিযোগ, সিটি করপোরেশনের সাবেক কর্মকর্তা আকতার হোসেন আজাদ পরে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত হন। সম্প্রতি তিনি দুদকের তদন্ত শাখার পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পান। তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এমদাদ হোসেনও বর্তমান মেয়রের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। গোলজারকে সে সময় ছাঁটাই করা হলেও অভিযোগপত্রে লেখা হয় ‘বরখাস্ত’। তিনি ক্যামেরাম্যানের দায়িত্বে থাকলেও অভিযোগপত্রে তা এড়িয়ে তাকে সহকারী জনসংযোগ কর্মকর্তা বলা হয়। গোলজারের দাবি, হঠাৎ সাক্ষী থেকে তাকে আসামি বানানোর তথ্য পেয়ে অবাক হন এবং দুদকের চেয়ারম্যান বরাবর পুনঃতদন্তের আবেদন করেন। এরপরও প্রভাবশালীদের চাপে তাকে মামলার একক আসামি করা হয়। সর্বশেষ গত ১৬ ফেব্রুয়ারি গোলজার দুদক চেয়ারম্যানের কাছে পুনঃ তদন্তের আবেদন করেন।

প্রভাবশালীচক্রকে রেহাই দিতে গোলজারকে ফাঁসানো হচ্ছে এমন অভিযোগের ব্যাপারে দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা উপসহকারী পরিচালক নূর আলম বলেন, ‘মামলার অভিযোগে যেমন ছিল, সে অনুযায়ী প্রতিবেদন দিয়েছি। প্রয়াত মেয়র ঝন্টু ওই দুর্নীতি করেছেন এবং গোলজার তার সহযোগী ছিলেন।’

পত্রিকায় দরপত্র আহ্বান না করে গোপন রাখা হলে সংশ্লিষ্ট কমিটি ফের টেন্ডার আহ্বান করতে পারতেন, তারা কেন সেই ব্যবস্থা নেয়নি- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সেগুলো আমাদের তদন্তের বিষয় না।’

তবে যারা সংশ্লিষ্ট তাদের দায় নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনো উত্তর দিতে পারেন নি।

   

বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গঠনেই আজকের এই বীজ বুনন: ইবি উপাচার্য



ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনেই আমাদের আজকের এই বীজ বুনন’ বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের(ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম।

রবিবার (১৯ মে) পরমাণুবিজ্ঞানী ড. এম. এ. ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবনের ১০২ নম্বর কক্ষে ডিজিটাল স্কিলস ফর স্টুডেন্ট ট্রেনিং প্রোগ্রামে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ভাইস চ্যান্সেলর এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি বলেন, এই প্রোগ্রামের উদ্দেশ্য হলো আমাদের স্টুডেন্ট এবং ফ্রেশারদের পাওয়ারফুল করে তোলা। তারা যেনো নিজেরা এমন স্কিল এবং নলেজ অর্জন করে নিজেদেরকে যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। এই প্রোগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হলো নিজেকে কর্মক্ষম করে তোলা। আমরা কিছু শিখে যে তোতাপাখি হবো তা নয়, শিখে সাথে সাথে কর্মক্ষম হবো এবং কোনো প্রফেশনে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করবো। এইজন্য আমাদের অবশ্যই চর্চা করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের যুবকরা যেনো কর্মক্ষম হয় এবং জাতির পিতার সোনার বাংলা গঠনে নিজেদের নিয়োজিত করতে পারে সেই লক্ষ্যেই এই আয়োজন। আমাদের স্বপ্নের বাংলা, সংস্কারের বাংলা, উন্নয়নের বাংলা, ডিজিটাল বাংলা এবং ৪১ এর পারফেক্ট সোনার বাংলা গড়ে তোলা যেখানে প্রতিটা মানুষ হবে প্রোডাক্টিভ। তাছাড়া আমাদের অন্যের উপর নির্ভরশীলতা কমাতে হবে। আর এইটা কমানোর জন্য একাডেমিকের সাথে ইন্ডাস্ট্রি যুক্ত করে দিয়ে উস্কিয়ে দিতে হবে। এতে একজন মানুষ নিজের একটা জায়গা তৈরি করে নিতে পারবে।

এছাড়াও তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনেই আমাদের আজকের এই বীজ বুনন। এখানে এই নলেজ, মোটিভেশান এবং এমন মনোভাব তৈরি করে প্র‍্যাক্টিসে নিয়োজিত করা যাতে করে আমাদের পাশাপাশি আমাদের পরিবার এবং দেশ সমৃদ্ধ হতে পারবে। পড়াশোনা করে আমরা অকেজো, অলস বা বোবা থাকবো না। নিজেকে বাজারের জন্য যোগ্য করে তুলতে হবে। এইজন্য দরকার আমাদের তিনটি জিনিস। টিচিং, ট্রেইনিং এবং টেকনোলজি। এই তিনে মিলে সমন্বয় তৈরি করতে পারলেই কেবল টিকে থেকে নিজেকে যোগ্য হিসেবে গড়ে তোলা যাবে।

সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু এ অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি ডিভিশনের ইডিজিই (এনহেন্সিং ডিজিটাল গাভার্ণমেন্ট এন্ড ইকোনমি) প্রজেক্টের পরিচালক এবং যুগ্ম-সচিব মোঃ সাখাওয়াত হোসেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ মাহবুবুর রহমান, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, ডিজিটাল স্কিলস ফর স্টুডেন্ট ট্রেনিং প্রোগ্রামের সমন্বয়ক প্রফেসর ড. মোঃ ফারুকুজ্জামান খান এবং ইডিজিই প্রজেক্টের স্মার্ট লিডারশীপ একাডেমির স্পেশালিস্ট ড. মোঃ মাজহারুল হক।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ডিজিটাল স্কিলস ফর স্টুডেন্ট ট্রেনিং প্রোগ্রামের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ রবিউল হকের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে সফট বিডি লিমিটেডের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার আতিকুল ইসলাম খান স্পেশালিস্ট হিসেবে বক্তব্য রাখেন। সঞ্চালনায় ছিলেন কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী সোহানুর রহমান সোহান এবং নাবিলা আনজুম নিশু।

;

গাজীপুরে ডুয়েট শিক্ষকদের মৌন মিছিল



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নতুন কাঠামোয় সার্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি প্রত্যাহার ও স্বতন্ত্র বেতন স্কেলের দাবিতে কালো ব্যাজ ধারণ ও মৌন মিছিল করেছেন বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

রোববার (১৯ মে) সকাল ১১টায় গাজীপুরের ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট) এর প্রধানে ফটকে অবস্থান নিয়ে শিক্ষকরা এ কর্মসূচির আয়োজন করে।

এসময় বক্তব্য রাখেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মো. মাজহারুল ইসলাম, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম।

বক্তারা বলেন, সার্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন আমাদের বিরুদ্ধে আমলাদের গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। এখানে প্রধানমন্ত্রী যে কথা বলেছেন, তা না মেনে তারা বেতন স্কেলে হাত দিয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। দাবি মানা না হলে ভবিষ্যতে লাগাতার কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।

;

রংপুর বিভাগের তিন জেলা থেকে ১১ চাঁদাবাজ আটক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
রংপুর বিভাগের তিন জেলা থেকে ১১ চাঁদাবাজ আটক

রংপুর বিভাগের তিন জেলা থেকে ১১ চাঁদাবাজ আটক

  • Font increase
  • Font Decrease

পণ্যবাহী যানবাহন থেকে চাঁদাবাজির সময় র‌্যাব-১৩ রংপুর সদর দপ্তরের সদস্যরা গতকাল শনিবার (১৮ মে) রাতে রংপুর বিভাগের রংপুর, কুড়িগ্রাম ও নীলফামারী জেলায় অভিযান চালিয়ে ১১ চাঁদাবাজকে আটক করা করেছে।

রোববার (১৯ মে ) দুপুরে র‌্যাব-১৩ উপ-পরিচালক (মিডিয়া) স্কোয়াড্রন লীডার মাহমুদ বশির আহমেদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানা গেছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রংপুর বিভাগের বিভিন্ন সড়কে পণ্যবাহী যানবাহন থেকে অবৈধভাবে বিভিন্ন সংগঠনের নামে চাঁদা উত্তোলন করে আসছিল একদল চাঁদাবাজ। তারা লাঠিসোটা দেখিয়ে জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে পণ্যবাহী যানবাহন থামিয়ে ভয়-ভীতি দেখিয়ে চালকদের কাজ থেকে চাঁদা আদায় করতো। এসব সড়ক-মহাসড়কে চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য দিন দিন বেড়ে যাওয়ায় অভিযানে নামে র‌্যাব-১৩।

এরই ধারাবাহিকতায় রংপুর বিভাগের রংপুর, কুড়িগ্রাম ও নীলফামারী জেলায় অভিযান চালিয়ে ১১ জন চাঁদাবাজকে আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন, রংপুরের হারাগাছ এলাকার মাসুদ আহমেদ, রংপুর নগরীর বৈরাগী পাড়ার দিপক সরকার পার্বতীপুর এলাকার জালাল মিয়া, আশরতপুর মাছুয়া পাড়া এলাকার পলাশ চন্দ্র রায়, মিঠাপুকুর উপজেলার চুহুড় এলাকার মিলন মিয়া, কুড়িগ্রাম জেলা শহরের চৌধুরীপাড়া এলাকার জাবেদ, শাহাবুল ইসলাম, বেলাল হোসেন, ইব্রাহিম আলী, নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলা থেকে শাহআলম ও গোলাম মোস্তফাকে আটক করা হয়।

র‌্যাব জানায়, সড়ক ও মহাসড়কে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে তাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

;

আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ, ভিত্তিহীন বললেন মাশরাফি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নড়াইল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নড়াইল সদর উপজেলা নির্বাচনে জাতীয় সংসদের হুইপ ও নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মোর্তুজা বিরুদ্ধে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। তবে অভিযোগটিকে অস্বীকার ও ভিত্তিহীন দাবি করে মাশরাফি বলেন, এটা অনেকটা মিডিয়া অ্যাটেনশন পাওয়ার অসুস্থ প্রতিযোগিতার অংশ ছাড়া কিছুই না।

শনিবার (১৮ মে) বিকেলে নড়াইল সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া চেয়ারম্যান প্রার্থী তোফায়েল মাহমুদ তুফান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।

এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নড়াইলের জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি), উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছে অভিযোগের অনুলিপি দিয়েছেন তোফায়েল মাহমুদ তুফান।

অভিযোগে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকারের কোনো মন্ত্রী, হুইপ বা সংসদ সদস্য তার নির্বাচনী এলাকার কোনো প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালাতে পারবেন না। কিন্তু নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মোর্তুজা নড়াইল সদর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ আজিজুর রহমান ভূঁইয়ার পক্ষে প্রকাশ্যে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন। এটি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনী আচরণবিধির প্রকাশ্য লঙ্ঘনের শামিল।

এদিকে রোববার সকালে অভিযোগের বিষয়ে নাকচ করে জাতীয় সংসদের হুইপ ও নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা বলেন, অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমি নড়াইলে অবস্থান করাকালীন শুধু নিহত আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সিকদার মোস্তফা কামালের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে লোহাগড়ায় গিয়েছিলাম। এছাড়া কোনো কারণেই বাড়ির বাইরে কোথাও কোনো নেতাকর্মী বা লোকজনের সঙ্গে দেখা পর্যন্ত করিনি, কোনো প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাওয়া তো অনেক দূরের ব্যাপার।

তিনি আরও বলেন, আমি নিশ্চিত নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের কোনো প্রমাণ দিতে পারবেন না ওই প্রার্থী। রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। ওই প্রার্থীর অভিযোগের স্বপক্ষে প্রমাণ দিতে বলা হয়েছে। প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হলে নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে সুপারিশ করব। এটা অনেকটা মিডিয়া অ্যাটেনশন পাওয়ার অসুস্থ প্রতিযোগিতার অংশ ছাড়া কিছুই না।

নড়াইল সদর উপজেলা ও লোহাগড়া উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নড়াইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শাশ্বতী শীল বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তবে অভিযোগের স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ অভিযোগকারী দেননি। তাকে প্রমাণ দিতে বলা হয়েছে। প্রমাণ পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, ৬ষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের ২য় ধাপে নড়াইল সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২১ মে। এখানে চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সদর উপজেলায় মোট ভোটার দুই লাখ ৪১ হাজার ৭৬০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ২০ হাজার ১২৯ ও নারী ১ লাখ ২১ হাজার ৬৩০ জন।

;