মাদক ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন রাজশাহীর ২৫ নারী-পুরুষ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানা এলাকার ২৫ জন নারী-পুরুষ মাদক ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকালে বোয়ালিয়া থানা আয়োজিত বিট পুলিশিং সমাবেশে তারা রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিককে এই প্রতিশ্রুতি দেন।

এ সময় পুলিশ কমিশনার তাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এই ২৫ জনের মধ্যে পাঁচজন নারী। যারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তারা এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবী। প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই একাধিক মাদকের মামলা চলমান। মামলাগুলোতে তারা এখন জামিনে রয়েছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, যারা মাদক ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন তাদের পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যবেক্ষণ করা হবে। তারা সত্যিই মাদক থেকে দূরে থাকলে আরএমপির পক্ষ থেকে তাদের পুনর্বাসন করা হবে।

নগরীর শাহ শখদুম কলেজ মাঠে ওই বিট পুলিশিং সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আরএমপি কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক। তিনি বলেন, মাদক সকল অপরাধের মা। তাই সকলকে মাদক থেকে দূরে থাকতে হবে। মানুষকে নিরাপদ রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, রাজশাহী মহানগরী প্রায় ১৭ লাখ মানুষ দরজা খোলা রেখে ঘুমাতে পারবে। এখানে কোন চোর থাকবে না, মাদক থাকবে না, কোন সন্ত্রাস থাকবে না, কোন জঙ্গী থাকবে না। রাজশাহী মহানগর হবে নিরাপত্তার নগরী। এ শহর হবে দেশের এক শান্তির নগরী।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আরএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন) সুজায়েত ইসলাম, অতিরিক্তি পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) মজিদ আলী, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশানর (বোয়ালিয়া বিভাগ) তৌহিদুল আরিফ, সহকারী পুলিশ কমিশনার (বোয়ালিয়া মডেল থানা) ফারজিনা নাসরিন, শাহ মখদুম কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউল ইসলাম, বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারন চন্দ্র বর্মন, নগরীর ২২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল হামিদ সরকার টেকন, ২৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহাতাব হোসেন চৌধুরী প্রমুখ। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উপ-পুলিশ কমিশনার (বোয়ালিয়া বিভাগ) সাজিদ হোসেন।

   

দিবস মানতে গেলে পেট মানবে না ভাই!



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ ১ মে মহান মে দিবস, শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাঠমিস্ত্রি হাফিজ বলেন, দিবস মানতে গেলে পেট মানবে না ভাই!

রাজধানী আগারগাঁও সংলগ্ন একটি বস্তিতে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন তিনি। চার সদস্যের পরিবার চালাতে নিত্যদিন বের হতে হয় কাজের সন্ধানে। কাজ যেদিন থাকে সেদিন খাবার জোটে, না থাকলে অনাহারে থাকতে হয় বলে দিনমজুর হাফিজ।

হাফিজ বলেন, দৈনিক মজুরিতে দোকানে কাঠ মিস্ত্রির কাজ করি। একটা খাট তৈরি করে বিক্রি করলে ১১০ থেকে ১২০ টাকা পাই। আমাদের কাজ বুঝে টাকা দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, সারাদিন কাজ করলে ৬০০-৭০০ টাকা, আবার কোন দিন ১০০০ টাকাও আয় হয়। কাজ না করলে তো এক টাকাও আয় হবে না। তখন না খেয়ে থাকতে হয়। দিবস পালন করে ঘরে বসে থাকলে পেট মানবে না ভাই।

ইলিয়াস নামের আরেক শ্রমিক বলেন, কোনদিন কোন দিবস এটা পালন করার সময় আমাদের নেই। প্রতিদিনই আমাদের কাজের দিবস। কাজ না করে ঘরে বসে থাকলে আমাদের জন্য কেউ এক বেলার খাবার নিয়ে আসবে না। নিজেদের পেটের চিন্তা নিজেদেরই করতে হয়।

;

নিঃসঙ্গ নারীদের টার্গেট, আমেরিকায় নেওয়ার স্বপ্ন দেখিয়ে প্রতারণা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
গ্রেফতার রিয়াজুল ইসলাম

গ্রেফতার রিয়াজুল ইসলাম

  • Font increase
  • Font Decrease

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভুয়া জৌলুসপূর্ণ প্রোফাইল তৈরি করে নিঃসঙ্গ নারীদের টার্গেট করে প্রথমে প্রেমের ফাঁদ, পরে বিয়ের প্রলোভন ও সপরিবারে আমেরিকায় নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগে রিয়াজুল ইসলাম নামের এক রোমান্স স্ক্যামারকে গ্রেফতার করেছে সিটিটিসির সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ।

সিটিটিসি সূত্রে জানানো হয়, একজন সিঙ্গেল মাদার রিয়াজুলের প্রতারণা ও ব্লাকমেইলের স্বীকার হয়ে ৭০ হাজার টাকা হারিয়ে গত ২৫ এপ্রিল মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা করেন। সেই মামলার ছায়া তদন্ত করে প্রযুক্তিগত অ্যানালাইসিসের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ থেকে রিয়াজুলকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারের সময় রিয়াজুলের কাছ থেকে একটি স্মার্টফোন এবং ক্যাশ আউটের কাজে ব্যবহৃত একটি বাটন ফোন, ৪টি নগদ ও বিকাশ অ্যাকাউন্ট সম্বলিত সিম জব্দ করা হয়। জব্দ করা স্মার্টফোনে ৫০ এরও বেশি ভুক্তভোগীর তথ্য পাওয়া গেছে।

বুধবার (১ মে) ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন জানান, গ্রেফতার রিয়াজুল ইসলাম নিলয় চৌধুরী নিল নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট তৈরি করে সিঙ্গাপুরের একটি প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিং ম্যানেজার পরিচয়ে প্রতারণা করতেন।

তিনি বলেন, ফেসবুক প্রোফাইলটিকে বিশ্বাসযোগ্য করার জন্য রিয়াজুল নিয়মিত অন্য একজন সিঙ্গাপুর প্রবাসীর ফেসবুক প্রোফাইল থেকে ছবি ও ভিডিও পোস্ট করতেন। প্রতারক রিয়াজুল ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ এবং পেজে নিঃসঙ্গ নারীদের টার্গেট করে মেসেঞ্জারে যোগাযোগ করে প্রথমে প্রেমের ফাঁদ, পরে বিয়ের প্রলোভন ও সপরিবারে সিঙ্গাপুরের নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখাতেন। সে অডিও-ভিডিও কলে অনলাইন প্রণয়ের এক পর্যায়ে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে অন্তরঙ্গ ছবি ও ভিডিও নিয়ে পরবর্তীতে সেগুলো ভাইরাল করে দেবে বলে ব্ল্যাকমেইল করে ভুয়া এনআইডি নিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা বিকাশ নম্বরে অর্থ গ্রহণ করতো।

গ্রেফতার রিয়াজুল আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।

;

শ্রমিকদের বিনোদন আবদ্ধ স্মার্টফোনে



মো. কামরুজ্জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জাহাঙ্গীর-আনোয়ারা দম্পতি। দুজনেরই গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জে। প্রায় ১০ বছর আগে দুই সন্তানকে গ্রামের বাড়িতে রেখে পেটের দায়ে আসেন শিল্পাঞ্চল সাভারে। এখন দুজনেই আশুলিয়ার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। ছোট একটি ঘর ভাড়া নিয়ে চলছে তাদের সংসার। দুজন মিলে যা আয় করেন তার অর্ধেক চলে যায় নিজেদের থাকা-খাওয়ার খরচে। আর বাকিটা দিয়ে সন্তানদের পড়াশোনা ও তাদের দৈনন্দিন চাহিদা পূরণ। দুই একদিনের ছুটি পেলেও খরচের ভয়ে সন্তানদের দেখতে যাওয়ার সাহস করে উঠতে পারেন না। আর সাধারণ ছুটিতে বিনোদন বলতে হাতে থাকা স্মার্টফোন।

জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, জিনিসপত্রের যে দাম, যা কামাই করি খুব হিসেব করে খরচ করতে হয়। প্রায় প্রতিদিনই বাড়িতে থাকা ছেলে-মেয়ের সাথে ভিডিও কলে কথা বলি। দিনের কাজ শেষে ঘুমানোর আগে এই আমাদের বিনোদন। অফিস দেরি করে ছুটি দিলে অনেক সময় তাও হয় না। ছেলেমেয়েরা ঘুমিয়ে যায়। সকালে ঘুম থেকে উঠে আবার দৌড়। এভাবেই চলছে জীবন। ঈদ গেল বেশ কিছু বাড়তি খরচও হয়েছে। আবার টাকা জমাচ্ছি সামনের ঈদের জন্য।

জাহাঙ্গীরের স্ত্রী আনোয়ারা বলেন, সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা ডিউটি। রাতে এসে রান্না-বান্না করতেই তো সময় চলে যায়। ছুটির দিনে কাপড়-চোপড় ধোয়া, বাজার সদাই। এর বাইরে অন্য কিছু তো ভাবতেও পারি না। মাঝে মাঝে আগে ছুটি হলে একটু টিভি দেখি আর নাহলে প্রতিবেশীদের সাথে গল্প-গুজব। এভাবেই কেটে গেল এতগুলো বছর।

সাভার-আশুলিয়ায় জাহাঙ্গীর-আনোয়ারা দম্পতির মত এমন হাজারও শ্রমিক দম্পতির অবস্থা একই রকম। শিল্পাঞ্চল সাভার-আশুলিয়ায় প্রায় ১০ লাখ শ্রমিকের বসবাস, যার বেশিরভাগই পোশাক শ্রমিক। অর্থ উপার্জনের আশায় যারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পাড়ি জমিয়েছেন। সাভারের ক্রমবর্ধমান শিল্পব্যবস্থা তাদের রুটি-রুজির ব্যবস্থা করে দিলেও বঞ্চিত করেছে বিনোদন থেকে। কর্মসংস্থান হলেও মানসিক বিকাশ বা অবকাশের যেখানে নেই কোন সুযোগ। লাখ লাখ শ্রমিকের কাছে এখন বিনোদন বলতে বোঝায় হাতে থাকা স্মার্টফোন। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিকে ঘিরে শ্রমিকদের দৈনন্দিন জটিলতা, আর এক ঘেয়েমি জীবনকে অবসাদ গ্রাস করতে পারে শ্রমিকদের বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ বস্ত্র ও পোশাক শিল্প শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি লায়ন মো. ইমাম হোসেন বলেন, শ্রমিকদের তো ঘুরতে যাওয়ার জায়গাও নেই। ছুটি পেলে যে বাড়িতে যাবে সেখানেও খরচের ঝক্কি। একটা শ্রমিক বাড়িতে যাওয়ার আগে বেশ কিছুদিন সময় নিয়ে টাকা জমায় তারপরে বাড়িতে যায়। আবার বাড়ি থেকে ঘুরে এসে ধারদেনা করে চলতে হয়। এছাড়া অফিস ছুটির পর বা ছুটির দিনে তাদের তো আর করার কিছু নেই। অল্প বয়সী যারা তারা হয়ত সাভারের স্মৃতিসৌধসহ এদিক সেদিকে যায়। কিন্তু সেটাও খুবই অল্প অংশ। এর বাইরে শ্রমিকদের বিনোদনের কথা তো কেউ ভাবে না। শ্রমিকদের মানসিক চাপ যে দিন দিন বাড়ছে তা তো দেখার কেউ নেই।

ইউনাইটেড ফেডারেশন অব গার্মেন্টস ওয়ার্কার্সের সাভার-আশুলিয়া আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি ইমন শিকদার বলেন, শ্রমিকরা ঘুরতে যাবে টাকা পাবে কোথায়? যা বেতন তা দিয়ে পরিবার নিয়ে টিকে থাকাই তো কষ্ট। আর কম খরচে বিনোদনের তেমন কোন ব্যবস্থা নেই সাভারে। ফ্যান্টাসি কিংডম বা নন্দন পার্কের মত বিনোদন কেন্দ্র সাভারে আছে, কিন্তু সেখানে যেতে যে খরচ একজন সাধারণ শ্রমিকের পক্ষে তা বহন করা সম্ভব না। যাদের হাতে স্মার্টফোন আছে, অবসর সময়ে তারা সেটা নিয়েই পরে থাকে।

গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্যলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. সরোয়ার হোসেন বলেন, অবৈধ ছাঁটাই বন্ধ, শ্রমিকদের জন্য পেনশন স্কিম চালু, গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য রেশনিং সুবিধা চালুসহ আমাদের বেশ কিছু দাবি নিয়ে আমরা সারা বছর কাজ করি। এত বছরেও শ্রমিকরা এসকল সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এর বাইরে বাড়তি কিছু তো আমরা ভাবতেই পারি না। তবে শ্রমিকরা যাতে মানসিকভাবে সুস্থ থাকে, তাদের যেন মানসিক উন্নয়ন হয় এই কাজ তো কেউ করছে না। আমরা মাঝে মাঝে বিভিন্ন দিবসে কিছু কিছু আয়োজন করি। মাঝে মাঝে তাদের ট্রেনিং সেশনের আয়োজন করি। কিন্তু তাতে অংশ নেওয়ারও সুযোগ পায় না সব শ্রমিকরা।

;

‘শ্রমিকদের পাওনা বঞ্চিত করলে খ্যাতিসম্পন্ন হলেও ছাড় নয়’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করলে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তি হলেও তাকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মহান মে দিবস উপলক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

মালিকদের বিলাসিতা না দেখিয়ে শ্রমিকদের স্বার্থ দেখার আহ্বান জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, কেউ শ্রমিকদের বঞ্চিত করলে, সে যেই হোক না কেন, আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন হলেও তাকে আমরা ছাড়ি না, ছাড়ব না। শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করতে হবে, তাদের দেখতে হবে।

আওয়ামী লীগ যতবারই ক্ষমতায় এসেছে শ্রমিকের মজুরি বাড়িয়েছে উল্লেখ্য করে শেখ হাসিনা বলেন, খেটে খাওয়া মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনই আওয়ামী লীগের লক্ষ্য। সরকার চায় দক্ষ জনশক্তি গড়ে উঠুক। শ্রমিকদের কল্যাণ দেখা আওয়ামী লীগের দায়িত্ব।

তিনি বলেন, শিল্প কারখানা যাতে বন্ধ না হয় তার জন্য ব্যবস্থা নিয়েছি আমরা। পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশের মতো আমাদের দেশের নারীরা সমমজুরি পায়। আমাদের সময় নারী শ্রমিকদের সংখ্যা ৪৩.১ ভাগে বৃদ্ধি পেয়েছে। মেয়েরা সব জায়গায় কাজ করতে পারে। আমরা সেই সুযোগ তৈরি করে দিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, কোভিড মহামারির সময় মালিকদের প্রণোদনা দেওয়ার পাশাপাশি শ্রমিকদের মোবাইল ফোনে সরাসরি বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠিয়েছি।

শেখ হাসিনা বলেন, আন্দোলনের নামে বাসে ট্রাকে-আগুন দিয়ে শ্রমিকসহ সাধারণ মানুষ হত্যা করেছে বিএনপি। প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক-মালিককে আমরা সহায়তা দিয়েছি। শ্রমিকদের কল্যাণ দেখা আওয়ামী লীগের দায়িত্ব বলে মনে করি। মানুষের কল্যাণ করাই আমাদের প্রচেষ্টা।

;