সিরাজগঞ্জে যমুনার প্রান্তর এখন মরুভূমি

  • সুজন সরকার, বার্তা২৪.কম, সিরাজগঞ্জ
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

শুষ্ক মৌসুমে যমুনায় এখন আর পালতোলা নৌকা অথবা যান্ত্রিক নৌকা চলাচল করে না। যমুনার প্রান্তর যেনো এখন মরুভূমি। ধু-ধু বালুচর। পালতোলা নৌকার বদলে এখন যমুনার বুকে চলাচল করে গরুর গাড়ি ও ঘোড়ার গাড়ি। যান্ত্রিক নৌকার বদলে চলে নছিমন, করিমন অথবা ভটভটি। এসবই হলো বিশ্বের উন্নত দেশগুলো থেকে মাত্রাতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণের ফল।

অতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণের ফলে বাংলাদেশের ঋতুবৈচিত্র্যের পরিবর্তন ঘটেছে। বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। গ্রীষ্মে অস্বাভাবিক গরমে তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের মাটি। এরপর গ্রিন হাউজ গ্যাস বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের উত্তরাঞ্চলে এখন মরু প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, গ্রিন হাউজের প্রতিক্রিয়ায় গ্যাস বৃদ্ধি পাওয়ায় যমুনায় শুষ্ক মৌসুমে পানি থাকছে না। প্রতিবছর যমুনা নদীর মধ্য দিয়ে প্রায় ১০০ কোটি মেট্রিকটন পানি প্রবাহিত হয়। আর এর ৩০ শতাংশ যমুনার ২২০ কিলোমিটারের মধ্য থেকে যায়। যমুনা কখনো ড্রেজিং না হওয়ায় পলির স্তর বাড়তে বাড়তে এমন একপর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে যে, ভূখণ্ডের কাছাকাছি চলে এসেছে যমুনার তলদেশ। রিভার বেড বা নদীর তলদেশ উঁচু হয়ে গেছে। নদী নব্যতা হারিয়ে ফেলায় সামান্য বৃষ্টিতে দু’কূল ছাপিয়ে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।

এদিকে যমুনার নাব্যতা ফিরিয়ে এনে পানিপ্রবাহ সচল রাখা এবং শুষ্ক মৌসুমে নদীতে পানি ধরে রাখার জন্য বঙ্গবন্ধু সেতুর উজানে ড্রেজিংয়ের একটি পাইলট প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে বলে জানান পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী।