মাটি খুঁড়তেই বেরিয়ে এলো গণহত্যার শিকার শহীদদের হাড়গোড়

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মাটি খুঁড়তেই বেরিয়ে এলো গণহত্যার শিকার শহীদদের হাড়গোড়

মাটি খুঁড়তেই বেরিয়ে এলো গণহত্যার শিকার শহীদদের হাড়গোড়

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ কাজের জন্য মাটি খুঁড়তেই বেরিয়ে এলো শহীদদের হাড়গোড়, মাথার খুলি ও দাঁতের অংশ বিশেষ। ঘটনাটি রংপুর-হারাগাছ সড়কের সাহেবগঞ্জ বধ্যভূমির।

মঙ্গলবার (০৯ মার্চ) বিকেলে ওই বধ্যভূমিতে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ কাজের জন্য শ্রমিকরা মাটি খুঁড়ছিলেন। এসময় এসব হাড়গোড় বেরিয়ে আসে।

বিজ্ঞাপন

শ্রমিকরা জানান, সকাল থেকেই বধ্যভূমিতে মাটি খোঁড়ার কাজ চলছিল। বধ্যভূমির উপরিভাগ খোঁড়ার পর একটু নিচে খুঁড়তেই মুক্তিযুদ্ধকালীন গণহত্যার শিকার মানুষের হাড়গোড়, পুরাতন কাপড় ও মাথার খুলি বের হতে থাকে।

স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ৫০ বছর আগে এখানে পাক হানাদার বাহিনী ২২ জন ইপিআর সদস্যকে ধরে আনে। এ সময় ভাগ্যক্রমে তিনজন পালিয়ে যায়। পরে ১৯ জন ইপিআর সদস্যকে নৃসংশভাবে হত্যা করে এখানে ফেলে রেখে যায়। সেদিন চাইলেও দেহগুলো কবর বা সৎকার করতে পারেনি গ্রামবাসী। অঝোর ধারার বৃষ্টিতে ধুয়ে যাওয়া মরদেহগুলো একখানে করে মাটিচাপা দেন এলাকার তরুণ-যুবকরা। সেখান থেকেই উঠে আসছে এই হাড়গুলো।

বিজ্ঞাপন

রংপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোছাদ্দেক হোসেন বাবুল বলেন, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনে গণহত্যার সাক্ষী হিসেবে দেশব্যাপী বধ্যভূমিগুলো সংস্কারের কাজ করছে সরকার। তারই অংশ হিসেবে সাহেবগঞ্জের এই বাধ্যভূমির কাজ করতে গিয়ে এসব পাওয়া যায়।