অবিলম্বে বান্দরবানের রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকের লুট হওয়া ১৪টি অস্ত্র ফেরত ও সন্ত্রাসী তৎপরতা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে না এলে পাহাড়ের কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) বিরুদ্ধে গ্রামে গ্রামে জন প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে বলে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে বম সম্প্রদায়ের সংগঠন বম সোশ্যাল কাউন্সিলের নেতৃবৃন্দ।
শুক্রবার (১০ মে) বান্দরবানে শহরের নিউ গুলশান এলাকার বাংলাদেশ খ্রিস্টান চার্চ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভার পর ভিডিও বার্তায় বম সোশ্যাল কাউন্সিলের নেতৃবৃন্দ কেএনএফের প্রতি এই হুঁশিয়ারি বার্তা দিয়েছেন।
সংগঠনের সভাপতি লালজারলম জানিয়েছেন কেএনএফের সন্ত্রাসী তৎপরতার কারণে বম সম্প্রদায় অধ্যুষিত পাড়াগুলোতে এখন খাদ্য সঙ্কটসহ মানবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সেখানকার লোকজন এখন জুম চাষ করতে পারছে না বাগানে উৎপাদিত ফল বিক্রি করতে পারছে না। অনেকে টিকতে না পেরে ২০০-এর বেশি বম সম্প্রদায়ের নারী পুরুষ পার্শ্ববর্তী ভারতের মিজোরামে আশ্রয় নিয়েছে।
এ অবস্থায় আমরা কেএনএফের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি তারা যাতে অবিলম্বে ব্যাংকের লুট হওয়া ১৪টি অস্ত্র ফেরত দেয়। এছাড়া সন্ত্রাসী তৎপরতা ছেড়ে তারা যাতে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে। আর যদি তারা তাদের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যায় তবে তাদের বিরুদ্ধে গ্রামে গ্রামে সাধারণ বম সম্প্রদায় প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। ইতোমধ্যে ২০০ যুবক প্রতিরোধে অংশ নেয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
বম সোশ্যাল কাউন্সিলের নেতৃবৃন্দ আরো জানিয়েছে কেএনএফ অস্ত্র ফেরত দিয়ে আলোচনায় বসতে চাইলে বম সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ সহায়তা করবে এবং আলোচনার জন্য সরকারের দোয়ার সব সময় খোলা রয়েছে।
ওই সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বম সোশ্যাল কাউন্সিলের সভাপতি লাল জারলম বম, সাধারণ সম্পাদক লাল থান জেল বম, বান্দরবান জেলা পরিষদের সদস্য জুয়েল বমসহ বম সম্প্রদায় ও ইয়ং বম অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ। বম সম্প্রদায়ের নিজস্ব ভাষায় ভিডিও বার্তাটি দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, বান্দরবানে গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুটের ঘটনায় মামলায় অভিযুক্ত ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)’র সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে সমগ্র বান্দরবান জুড়ে যৌথ বাহিনীর চিরুনি অভিযান চলমান রয়েছে।