মানুষের খাদ্য অধিকার ও খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি : সেমিনার

ছবি : সেমিনার

  • Font increase
  • Font Decrease

করোনা ভাইরাস মহামারীর প্রথম ধাক্কাটি শেষ না হতেই দ্বিতীয় ঢেউ দেশে ভয়ংকর রূপ নিয়েছে। তাই করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকার দেশে লকডাউন দিয়েছে। এর ফলে আয় কমে যাওয়ায় বিপদে পড়েছে দেশের দরিদ্র ও স্বল্প আয়ের মানুষ। এরসঙ্গে যুক্ত হয়েছে সাম্প্রতিক খাদ্যসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। যা স্বল্প আয়ের মানুষের খাদ্য অধিকার ও খাদ্য নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। সেমিনারটি ছিলো দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি ও খাদ্যগ্রহণে প্রভাব শীর্ষক জরিপের ফলাফল নিয়ে।

সেমিনারে বক্তারা জানান, করোনা পরিস্থিতি সামাল দেয়া যাবে না, যদি না দরিদ্র মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়। এজন্য সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে এখনই পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।

সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এমপি। সম্মানীয় আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন চেয়ারম্যান ড. সায়মা হক বিদিশা, অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। আবুল কালাম আজাদ, কর্মসূচি পরিচালক, দক্ষিণ এশিয়া, ইকো কোঅপারেশন। এটি সঞ্চালনা করেন মহসিন আলী, সাধারণ সম্পাদক, খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ ও নির্বাহী পরিচালক, ওয়েভ ফাউন্ডেশন। জরিপের সার-সংক্ষেপ উপস্থাপন করেন ড. নাজনীন আহমেদ, সিনিয়র রিসার্চ ফেলো, বিআইডিএস।

এছাড়া আয়োজকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন, এস এম নাজের হোসেন, সহ-সভাপতি, কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) বিভাগীয় প্রতিনিধি ও সভাপতি, চট্রগ্রাম জেলা কমিটি। মোসাম্মাৎ সুলতানা রাজিয়া খাতুন, সভাপতি, দিনাজপুর জেলা কমিটি, খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ ও প্রধান নির্বাহী, এমবিএসকে।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি উপস্থাপিত সুপারিশগুলোর সঙ্গে একমত পোষণ করে বলেন, এখন একটি অস্বাভাবিক সময় আমরা অতিক্রম করছি। মানুষের আয় কমে গেছে, পাশাপাশি খাদ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি দরিদ্র মানুষকে বিপদগ্রস্ত করেছে। আমরা টিসিবির মাধ্যমে খোলাবাজারে খাদ্য সামগ্রী বিক্রির একটি উদ্যোগ নিয়েছি। বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারেও তেল, চিনি, পেঁয়াজসহ দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়ে চলেছে, তার একটা প্রভাব দেশের বাজারেও পড়ছে। দাম কমানোর জন্য খাদ্য, কৃষি ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যার যার জায়গা থেকে কাজ করছে। আমরা মনিটরিং করছি। কিন্তু, পর্যাপ্ত লোকবল আমাদের নেই। মাত্র ২৮টি টিম কাজটি করছে।

তিনি আরও বলেন, এ রমজান মাসে টিসিবির মাধ্যমে বিক্রির জন্য ৩৫ হাজার টন সয়াবিন তেল বরাদ্দ করা হয়েছিল। তবে এ মুহূর্তে মানুষের কাজ না থাকাটা আসলেই আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। সরকার এজন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। গত বছরে হঠাৎ বন্যার কারণে চালের উৎপাদন কমে যাওয়ায় বাজারে এর প্রভাব পড়েছিল। তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে না কমলে আমাদের পক্ষে বেশিকিছু করার থাকে না। তবে টিসিবির মাধ্যমে খোলাবাজারে বিক্রির পরিমাণ আমরা বৃদ্ধির চেষ্টা করছি।

ড. সায়মা হক বিদিশা বলেন, যেসব মানুষ দারিদ্র্য ঝুঁকিতে রয়েছে, বর্তমান করোনা পরিস্থিতি ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে তারাও খাদ্য নিরাপত্তার ঝুঁকিতে পতিত হচ্ছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের সদিচ্ছা থাকলেও দীর্ঘমেয়াদি কার্যক্রম দেখা যায় না। সেজন্য দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কমিশন গঠন করা দরকার। এ কমিশন গবেষণার আলোকে সুপারিশ তুলে ধরবে এবং বাজার মনিটরিংয়ে ভূমিকা রাখবে। খাদ্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে সমন্বয় জোরদার করা দরকার। পুষ্টি নিশ্চিত করতে বৈচিত্রপূর্ণ খাদ্যগ্রহণে মানুষকে উৎসাহিত করার পাশাপাশি ন্যায্যমূল্যে যোগান নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে শিশুদের পুষ্টির বিষয়টির উপর বিশেষভাবে নজর দিতে হবে। দ্রব্যমূল্য সম্পর্কিত সঠিক তথ্যও জনগণকে জানাতে হবে, যাতে মানুষের মধ্যে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি না হয়।

আবুল কালাম আজাদ বলেন, বাংলাদেশ সরকার একটি কৃষিবান্ধব সরকার এবং কৃষকদের নানারকম সহযোগিতা করে থাকেন। কিন্তু খাদ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি ঘটলেও কৃষকরা সেখান থেকে লাভবান হয় না। লাভবান হয় মজুতদাররা। তাদের সিন্ডিকেটই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। লকডাউনের সময় আবারও খাদ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি সে পরিস্থিতিরই ইঙ্গিত দিচ্ছে। কৃষক যেন কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য পায় সেদিকে সরকারকে নজর দিতে হবে। বাজার মনিটরিংয়ের উপর জোর দিতে হবে।

মহসিন আলী জানান, খোলা বাজারে বিক্রি বৃদ্ধির পাশাপাশি দরিদ্র মানুষ যেন তাদের হাতের কাছে খাদ্যসামগ্রী পায় সে ব্যবস্থা করতে হবে।

জরিপের ফলাফল উপস্থাপনকালে ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে দেশের অর্থনীতি গত বছর থেকেই বিরাট চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ায় অর্থনীতি যখন ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে, তখনই শুরু হয়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। ইতিমধ্যে সরকার লকডাউন ঘোষণা করেছে করোনার বিস্তার ঠেকানোর জন্য। এর ফলে নিম্নআয়ের মানুষ বিশেষত দিনমজুর, রিক্সাওয়ালা, রাস্তার ধারের হকাররা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ ইতিমধ্যে যে তাৎক্ষণিক জরিপ চালিয়েছে তাতে আমাদের বেশিরভাগ মানুষের এ মুহূর্তের যে পর্যবেক্ষণ তারই প্রতিফলন দেখতে পাওয়া যায়। জরিপে অংশগ্রহণকারী বেশিরভাগ ব্যক্তির পরিবার তিনবেলা খাবার যোগাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। প্রায় ৬৫.৭১ শতাংশ মানুষের আয় কমে গেছে। ৩৭.১৪ শতাংশ মানুষ বিভিন্ন উৎস থেকে ঋণ নিয়ে খাদ্যসহ দৈনিন্দিন চাহিদা মেটাচ্ছেন। স্বল্প আয়ের এসব মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকারি সহায়তা দরকার।

সেমিনারে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য যেসব করণীয় তিনি তুলে ধরেন সেগুলো হলো- খাদ্য নিরাপত্তাকে সকল নাগরিকের অধিকার হিসেবে নিশ্চিত করতে হবে, খোলাবাজারে চাল বিক্রি বৃদ্ধি করতে হবে, আগামী এক বছরের জন্য এলাকাভিত্তিক কয়েকটি স্থায়ী খোলা বাজারে বিক্রির জন্য দোকান তৈরি করা যেতে পারে, টিসিবির বিক্রির সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে, সমাজের ধনী ব্যক্তিদের বিভিন্ন পরিস্থিতিতে ভীত হয়ে দ্রব্যসামগ্রী কিনে মজুত করার প্রবণতা পরিহার করতে হবে এবং স্থানীয় পর্যায়ে মুদি দোকানগুলোর মজুত ব্যবস্থা নিয়মিত মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।

   

ঝড়ে ভেঙ্গে পড়া গাছ একাই সরালেন ট্রাফিক সার্জেন্ট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর জুড়ে বৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে ছিল বেশ ভারী বাতাস।

ঝড় বৃষ্টির মধ্যে কাকরাইল মসজিদ থেকে মৎস্য ভবন যাওয়ার পথে একটি গাছ ভেঙে পড়ে যায়।

ভেঙ্গে যাওয়া গাছ ও ডালপালা একাই সরালেন এই সড়কে দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট জাফর ইমাম।

রবিবার (৫ মে ) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে এই ঘটনাটি ঘটে।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের গাছটি পড়ে যাওয়ার কারণে ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে যান চলাচলের প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় আশপাশ এলাকা জুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়।

পরে ঘটনাস্থলে ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট জাফর ইমাম মৎস্য ভবন থেকে এসে ডালপালা সরিয়ে রাস্তা চলাচল স্বাভাবিক করেন।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট জাফর ইমাম বলেন, ‘ঝড় বৃষ্টির মধ্যে মানুষ পাগলের মত তাদের গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এর মধ্যে রাস্তায় যানজট সৃষ্টি হয় পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি একটি গাছ পড়ে আছে। ঝড় বৃষ্টির মধ্যে আমি একা ডালপালা ও গাছটি সরানোর চেষ্টা করি।’

;

৭২ ঘণ্টার জন্য ১৪৮ উপজেলায় বাইক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপের ভোট উপলক্ষ্যে ৭২ ঘণ্টার জন্য ১৪৮ উপজেলায় মটর সাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইতিমধ্যে সংস্থাটির নির্দেশনায় প্রজ্ঞাপনও জারি করেছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।

রবিবার (৫ মে) সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সহকারি সচিব মো. জসিম উদ্দিন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনটি সংশ্লিষ্ট সকলকে পাঠানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, আগামী ৮ মে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ এর ৩২ ধারা অনুযায়ী, নির্বাচন উপলক্ষে ভোটগ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিবসের পূর্ববর্তী মধ্যরাত অর্থাৎ ৭ মে দিবাগত মধ্যরাত ১২টা থেকে ৮ মে দিবাগত মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত ট্যাক্সি ক্যাব, পিক আপ, মাইক্রোবাস ও ট্রাক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকবে।

এদিকে ৬ মে দিবাগত মধ্যরাত ১২টা থেকে ৯ মে মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত মোটর সাইকেল চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকবে।

প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়েছে, নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, যানজট নিরসন ইত্যাদি প্রয়োজনে বাস্তবতার নিরীখে ও স্থানীয় বিবেচনায় উল্লিখিত যানবাহন ছাড়াও উক্তরূপে যেকোনো যানবাহন চলাচলের উপর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারবে।

এ নিষেধাজ্ঞা রিটার্নিং অফিসারের অনুমতি সাপেক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী/তাদের নির্বাচনী এজেন্ট, দেশি/বিদেশি পর্যবেক্ষকদের (পরিচয়পত্র থাকতে হবে) ক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য।

এছাড়া, নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত দেশি/বিদেশি সাংবাদিক (পরিচয়পত্র থাকতে হবে) নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, নির্বাচনের বৈধ পরিদর্শক এবং কতিপয় জরুরি কাজ যেমন-এ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক ও টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি কার্যক্রমে ব্যবহারের জন্য উল্লিখিত যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে উক্ত নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।

জাতীয় মহাসড়ক (Highways), বন্দর ও জরুরি পণ্য সরবরাহসহ অন্যান্য জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এরূপ নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে পারবেন।

যানবাহনসমূহ চলাচলের উপর বর্ণিত সময়সূচি অনুযায়ী নিষেধাজ্ঞা আরোপের জনসংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসককে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

;

রাজধানীতে শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
রাজধানীতে শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাত

রাজধানীতে শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর ঢাকায় প্রায় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ঠান্ডা বাতাস বয়ে যাচ্ছিলো। এরপরেই ব্যাপক শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হয়।

রোববার (৫ মে) রাত সাড়ে ৯টার পর থেকেই নগরীর বিভিন্ন জায়গায় বাতাস বইতে থাকে। ফলে নগরবাসী তাপমাত্রা থেকে কিছুটা প্রশমিত হন। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী ঝড়ো বাতাস বয়ে যাওয়ার পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে নামে স্বস্তির বৃষ্টি। বৃষ্টির সঙ্গে শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাতও শুরু হয়।

সেগুনবাগিচা, তেজগাঁও, কারওয়ান বাজার, মিরপুর ও বাড্ডাসহ রাজধানীর বেশ কিছু এলাকায় একসঙ্গে শীলাবৃষ্টি ও বজ্রপাত হতে দেখা গেছে। 

;

নাইক্ষ‍্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণ: ৫ বাংলাদেশি আহত 



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবান
নাইক্ষ‍্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণ: ৫ বাংলাদেশি আহত 

নাইক্ষ‍্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণ: ৫ বাংলাদেশি আহত 

  • Font increase
  • Font Decrease

মিয়ানমার সীমান্তের অভ্যন্তরে আবারও ৩ বাংলাদেশি নাগরিক স্থলমাইন বিস্ফোরণে মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে। আহতরা চোরাই পথে গরু ও ইয়াবা আনতে গিয়ে এ দুর্ঘটনার স্বীকার হন বলে জানা গেছে।

রোববার (০৫ মে) সকাল সাড়ে ৭টার সময় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবির অধীন ফুলতলী‌ বিওপি এলাকার সীমান্ত পিলার ৪৭ এর শূন্য লাইন থেকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড দক্ষিণ মৌলভীরকাটা গ্রামের রশিদ আহমদের পুত্র মফিজ (৩৫)। একই এলাকার দক্ষিণ মৌলভীরকাটা গ্রামের মো: জাফর চকিদারের পুত্র মো: আব্দুল্লাহ (৩০) ও অপর জন ওই গ্রামের মফিজ এর পুত্র মো. রহিম। উভয়ে তিন পায়ে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। 

উল্লেখ্য আব্দুল্লাহর দুই পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়াতে তাকে উদ্ধার করতে একটু বিলম্ব হয়, পরে থাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। আহত ৩ জন মিয়ানমার থেকে চোরাই পথে গরু এবং মহিষ টানার কাজে নিয়োজিত ছিল।

উল্লেখ্য গত ৪ মে ৪৬ ও ৪৭ সীমান্ত পিলার দিয়ে গরু ও মহিষ আনতে গিয়ে মিয়ানমারের ভিতরে স্থলমাইন বিস্ফোরণে মারাত্মকভাবে আহত হন নাইক্ষ‍্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের কম্বনিয়া গ্রামের মৃত মোহাম্মদের পুত্র মো. আবছার (১৯) ও একই গ্রামের আলি আহমদের পুত্র মো. বাবুল (১৭) । আহত উক্ত দুই ব্যক্তি কক্সবাজারে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

নাইক্ষ‍্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার দু’দিনে দুই দুর্ঘটনায় ৫ জন আহতের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

;