বিপণিবিতান গুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানায় অনীহা ক্রেতা-বিক্রেতাদের
সর্বাত্মক লকডাউনের মধ্যেই খুলে দেওয়া হয়েছে বিপণিবিতানগুলো। খুলে দেওয়ার প্রথম দিনের সকালটা এসব দোকানদারদের সাফ-সাফাইয়ের কাজেই সময় পার করতে দেখা গেছে। ক্রেতা সমাগম খুব একটা দেখা যায়নি বেলা ১২ টা পর্যন্ত। এ সময় দোকানদার ও ক্রেতাদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে অনীহা দেখা গেছে।
রোববার (২৫ এপ্রিল) সকালে নিউ মার্কেট, সুপার মার্কেট, চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট, চাঁদনিচক ও গাউসিয়ার মতো বিপণিবিতানগুলো সরেজমিন ঘুরে একই চিত্র দেখা গেছে।
সকাল ১১ টার দিকে নিউ সুপার মার্কেটের দ্বীতীয় ও তৃতীয় তলার ফটকগুলোতে মার্কেটের নিরাপত্তা রক্ষীদের হাতে স্যানিটাইজের নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। তবে আগত ক্রেতাদের এসব স্যানিটাইজার ব্যবহারে অনিহা পরিলক্ষিত হয়েছে। অধিকাংশ দোকান কর্মচারীদের মাস্ক ব্যাবহার করতে দেখা যায়নি।
নিউ মার্কেট, নিউ সুপার মার্কেট ও চন্দ্রিমা সুপার মার্কেটের ফটকগুলোতে কোন জীবাণুনাশক টানেল দেখা যায়নি। দুই, তিনটি পুরনো জীবাণুনাশক টানেল অকার্যকর ও অব্যবহৃত অবস্থায় পরে থাকতে দেখা গেছে।
নিউ সুপার মার্কেটের জেএ্যান্ডজে ফ্যাশনের মালিক মাহাতী আহমেদ বলেন, আমরা চেষ্ঠা করছি স্বাস্থ্যবিধি মেনে বেচা বিক্রি করতে। সকাল থেকে এখন পর্যন্ত এক টাকাও বিক্রি করিনি। ক্রেতারা আসে কাপড় চোপর দেখে চলে যাচ্ছেন। কেনায় তাদের আগ্রহ কম।
হাসান গার্মেন্টসের মালিক তওহিদ বলেন, এটা মানতে হবে যে মার্কেটে প্রপার স্বাস্থ্যবিধি মানা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা নিজেরা যতটুকু পারি মেনে চলার চেষ্টা করছি। হ্যান্ড স্যানিটাইজেরের মতো সুরক্ষা সামগ্রী রেখেছি দোকানে। তবে এক্ষেত্রে ক্রেতাদেরো সচেতন হতে হবে। অনেক ক্রেতাই দেখি স্বাস্থ্যবিধির ব্যাপারে সচেতন না।
এবার কি বিগত সময়ের ব্যবসায়ী ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব এমন প্রশ্নের জবাবে নগর গার্মেন্টসের মালিক বলেন, দশটা-পাঁচটা সময়ে আসলে কোন ব্যবসা হবে না। বিকেলে যখন ক্রেতা সমাগম বাড়তে শুরু করবে তখনি মার্কেট বন্ধ করে ফেলতে হবে।এটা আসলে মন্দের ভালো হয়েছে।
এদিকে মার্কেটগুলোতে স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে কর্তৃপক্ষের অনিহা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে ক্রেতারা। পরিবার নিয়ে শপিং করতে আসা আসলাম হোসেন বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে মার্কেট পরিচালনা করার কথা থাকলেও মার্কেট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেয়নি।মার্কেটের কোন গেটেই জীবাণুনাশক টানেল দেখিনি।অথচ এবিষয়ে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ ছিলো। এতটা অসচেতন হলে আমাদের চরম মূল্য দিতে হবে।