যত দোষ, সাংবাদিক ঘোষ!



প্রভাষ আমিন
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

অনেকের কাছে মনে হতে পারে, সাংবাদিকদের বুঝি অনেক ক্ষমতা। তারা ক্ষমতার কাছাকাছি থাকেন। সেই উত্তাপে বুঝি তারাও ক্ষমতাবান হন। সাধারণ মানুষের কাছে যারা দূর আকাশের তারা, সাংবাদিকদের কাছে তারাই নিত্যদিনের খবরের উৎস। যারা ক্রীড়া সাংবাদিকতা করেন, তাদের কাছে সাকিব-তামিম-মাশরাফি প্রতিদিনের সোর্স। যারা সিনে সাংবাদিক শাকিব-মাহির সাথে তাদের নিত্যদিনের আড্ডা। রাজনৈতিক রিপোর্টারদের কাছে মন্ত্রী-এমপি ডালভাত। ক্রাইম রিপোর্টারদের কাজই পুলিশের সাথে। সাংবাদিকতাকে যারা ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার করে, তারা অবশ্যই ক্ষমতার কাছাকাছি থাকার সুবাদে নিজেরাও ক্ষমতার অপব্যবহার করে। বাংলাদেশের অনেক সাংবাদিক আছেন, যারা ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। তবে এটাও সত্যি বেশিরভাগ সাংবাদিকই সততার সাথে তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করেন। তবে গত কয়েকবছরে আমার মনে হয়েছে, দেশের যা কিছু খারাপ কাজ হচ্ছে, সব দায় বুঝি সাংবাদিকদেরই। যত দোষ, সাংবাদিক ঘোষ। আমার আরেকটা উপলব্ধি হলো, সাংবাদিকরাই সবচেয়ে নিরীহ। তাদের ইচ্ছামত গালি দেয়া যায়। রাজনীতিবিদদের গালি দিলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ভয় আছে। পুলিশকে গালি দিলে কোন মামলায় আপনাকে ফাঁসাবে ঠিক নেই। ডাক্তারদের গালি দিলে সব ডাক্তার মিলে আপনার চৌদ্দগোষ্ঠি উদ্ধার করবে। কিন্তু সাংবাদিকদের মনের সুখে গালি দিন, কেউ আপনাদের কিছু বলবে না। নিজের যত অপ্রাপ্তি, অক্ষমতা, রাগ, ক্ষোভ, ঝাল- সব মিটিয়ে সাংবাদিকদের গালি দিন। তারা কিচ্ছুটি বলবে না। ঝিনুক নীরবে সহো, ঝিনুক নীরবে সহে যাও ভিতরে বিষের বালি, মুখ বুঁজে মুক্তা ফলাও!

বাংলাদেশে সাংবাদিকতা সব ঠিকঠাক হচ্ছে, এমন অলীক দাবি আমি করবো না। কর্পোরেট পূঁজি সাংবাদিকদের স্বতস্ফুর্ততা, নীতি-নৈতিকতার অনেকটুকুই কেড়ে নিয়েছে। এই পতনটা হঠাৎ করে আজকে হয়নি। গত তিনদশক ধরেই গণমাধ্যমে পূঁজির নিয়ন্ত্রণ বেড়েছে। সাংবাদিকদের স্বচ্ছলতা যত বেড়েছে, সাংবাদিকতার মান তত কমেছে। এখন হঠাৎ করে চাইলেই সেই মান আবার আকাশে তুলে ফেলা যাবে না। পতনটা যত সহজ, টেনে তোলাটা ততটাই কঠিন। গণমাধ্যমকে পূঁজির বিষমুক্ত করবেন তেমন ওঝা কই? গরল ফেলে যে আপনি অমৃত নেবেন, সেটা পাবেন কই? লাগিয়েছেন মাকাল গাছ, দিনের পর দিন পরিচর্যা করেছেন; এখন সেই গাছে সুমিষ্ট আম চাইলে তো হবে না। তবে চারদিকে যেমন গেল গেল রব উঠেছে, আমি ততটা হতাশ নই। গোটা দেশ যেভাবে চলছে, সেই তুলনায় সাংবাদিকতা অনেক ভালোভাবেই চলছে। আপনি ঘুষ, খাবেন, দুর্নীতি করবেন, টাকা পাচার করবেন, লুট করবেন, রডের বদলে বাঁশ দিয়ে বিল্ডিং বানাবেন, ঋণ নিয়ে ফেরত দেবেন না আর আশা করবেন সাংবাদিকরা চটি পায়ে ঝোলা কাঁধে নিয়ে ঘুরবে? ভাই সাংবাদিকরা তো এলিয়েন নয়, তারা তো এই সমাজেরই অংশ। সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি আর অনৈতিকতা বাসা বেধে থাকলে সাংবাদিকদের উচ্চ নৈতিকতা আসবে কোত্থেকে? এত কিছুর মধ্যেও সাংবাদিকরা তাদের দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করে যাচ্ছে। আমি এমন অনেক অনেক সাংবাদিকদের চিনি, বেতনের টাকায় সংসার চালাতে যাদের হিমশিম খেতে হয়। অনেক গণমাধ্যমে আবার নিয়মিত বেতন হয় না। তখন হিমশিম খেয়েও পেট ভরে না।  তবে আমি বুঝি সাংবাদিকদের প্রতি মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেশি। তাই পান থেকে চুন খসলেই সবাই সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হন। নির্বাচন দিনে না হয়ে রাতে হয় কেন? সাংবাদিকদের দোষ। ব্যাংক থেকে হাজার কোটি টাকা লুট হয় কেন? সাংবাদিকদের দোষ। নারীরা ধর্ষিত হয় কেন? সাংবাদিকদের দোষ? পুলিশ আসামি ধরে না কেন? সাংবাদিকদের দোষ। কলেজ ছাত্রী আত্মহত্যা করে কেন? সাংবাদিকদের দোষ। আসলে সাংবাদিকদের দোষের কোনো শেষ নেই। সবার কথা শুনে মনে হয়, সাংবাদিকরা প্রতিবাদ করে না বলেই সমাজের এই অবস্থা। বিপ্লবী ভাইয়েরা, সাংবাদিকদের কাজ প্রতিবাদ করা নয়। সাংবাদিকদের কাজ বস্তুনিষ্ঠভাবে সত্য তথ্য তুলে ধরা। সমাজের অসঙ্গতি, দুর্নীতি প্রকাশ করা। প্রতিবাদ করার কাজ রাজনীতিবিদদের, অ্যাক্টিভিস্টদের। গণমাধ্যম আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন এক নয়, জার্নালিজম আর অ্যাক্টিভিজমও এক নয়। ফেসবুক স্ট্যাটাস আর রিপোর্ট এক নয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব দিয়েও তোলপাড় তোলা যায়। গণমাধ্যমে সাংবাদিকদের তথ্য প্রকাশের আগে যাচাই-বাছাই করতে হয়, দায়িত্বশীল হতে হয়।

একটু ঠান্ডা মাথায় ভেবে দেখুন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যা যা ইস্যু নিয়ে আপনি তোলপাড় করছেন, তার সবগুলোর উৎস কিন্তু গণমাধ্যম। সকল দুর্নীতি, লুটপাট, ব্যাংক কেলেঙ্কারি, শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারি- সবকিছু সাংবাদিকরাই ফাঁস করেছে। আপনি কিন্তু কোনো না কোনো গণমাধ্যমের লিঙ্ক শেয়ার করেই বিপ্লব করছেন। সব ইস্যুতে সব গণমাধ্যম একভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে না; এটা গণমাধ্যমের সীমাবদ্ধতা। কিন্তু কেউ না কেউ তো দায়িত্বের বাতিটা জ্বালিয়েই রাখে।

গুলশানে এক কলেজছাত্রীর আত্মহত্যার পর সাংবাদিকদের ওপর আরেকদফা ঢালাও আক্রমণ হয়েছে। কদিন ধরে মনে হচ্ছে, ফেসবুক হলো সাংবাদিকতার ক্লাশরুম, নৈতিকতার বিশ্ববিদ্যালয়। ফেসবুক দেখে মনে হচ্ছে, বাংলাদেশের সবার মেরুদণ্ড স্টিলের তৈরি, কেবল সাংবাদিকদেরই কোনো মেরুদন্ড নেই। গুলশানে কলেজছাত্রীর আত্মহত্যার পর তার বোন বসুন্ধরার এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনায় মামলা করেছেন। এই তথ্যটি আপনি কোথায় পেয়েছেন? নিশ্চয়ই কোনো না কোনো গণমাধ্যমেই পেয়েছেন। আপনি নিজে তো সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। সাংবাদিকরা রাতভর গুলশান থানায় বসে ছিলেন আপডেট পেতে। আপনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যা ইচ্ছা তাই লিখে দিতে পারেন। সাংবাদিকদের কিন্তু মামলা হওয়া পর্যন্ত, পুলিশের বক্তব্য পা্ওয়া পর্যন্ত, বাদীর বক্তব্য পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। বসুন্ধরার মালিকানাধীন গণমাধ্যমগুলো ছাড়া আগে আর পরে এই ঘটনায় অধিকাংশ গণমাধ্যমেই কিন্তু আসামির নাম পরিচয় ছাপা হয়েছে। আদালত যে আসামীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, আদালত যে তার আগাম জামিন আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে; এই তথ্য আপনি কোথায় পেয়েছেন? নিশ্চয়ই কোনো না কোনো গণমাধ্যমই আপনাকে দিয়েছে। আপনি তো আর থানায় বা আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। সাংবাদিককতা শেখাতে গিয়ে আপনারা এও বলেছেন, মামুনুল হক আর আনভীরের অপরাধের ধরন তো একই। তাহলে গণমাধ্যম দুটি ঘটনায় একই রকম প্রতিক্রিয়া দেখালো না কেন? অপরাধের ধরন একই হলেও দুটির প্রভাব কিন্তু এক নয়। মামুনুল একটি উগ্রবাদী সংগঠনের অন্যতম শীর্ষ নেতা ছিলেন। তার কথায় দেশের বিপুলসংখ্যক মানুষ প্রভাবিত হয়, উত্তেজিত হয়, তান্ডব চালায়। তাই তার যে কোনো কাজের সামাজিক প্রভাব ব্যাপক। কিন্তু একজন ব্যক্তি আনভীরের অপরাধ সমাজে তেমন প্রভাব ফেলবে না। তবুও অপরাধ অপরাধই। আইন-আদালত ব্যবস্থা নেবে। সায়েম সোবহান আনভীর যত প্রভাবশালীই হোন না কেন, এখন পর্যন্ত আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি- মামলা হয়েছে, দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা বহাল আছে, জামিন আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। এখন পুলিশ তদন্ত করবে, প্রয়োজনে আসামীকে গ্রেপ্তার করবে। কেন এখনও আসামীকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না, এরজন্যও সাংবাদিকদের গালি খেতে হচ্ছে। যেন আসামী গ্রেপ্তারও সাংবাদিকদের দায়িত্ব।

কলেজছাত্রীর আত্মহত্যার পর থেকে অনেকে ইনবক্সে, কমেন্টে বলছেন, এই ঘটনা নিয়ে লিখতে। অনেকে ইশরায় বলেছেন, শিল্পপতির ঘটনা নিয়ে লিখবেন না। নিজে নামটি লেখার সাহস দেখাতে পারছেন না। আর আশা করছেন, সাংবাদিকরা আসামী ধরে থানায় নিয়ে যাবে। আমি তাদের অনেককে বলেছি, দেখি আপনি কী লিখেছেন, আপনার স্ট্যাটাসটি আমি শেয়ার করবেো। তাদের অনেকের ফেসবুক আইডি লক করা। বেশিরভাগের আইডিকে ফুল-ফল, লতা-পাতা ছাড়া আর কিছু নেই। নিজের ওয়াল পরিষ্কার রেখে ওনারা আসেন সাংবাদিকদের উসকানি দিতে। জবাবে অনেকে বলেন, আমাদের কাজ তো লেখা নয়, আমরা তো লিখতে পারি না। সাংবাদিকদের গালি দেয়ার জন্য তারা কী-বোর্ডে ঝড় তোলেন। কিন্তু কোনো প্রতিবাদের প্রসঙ্গ এলেই, তারা বলেন, আমি তো লিখতে পারি না। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন যে আগের রাতে হয়ে গেছে, এই অভিযোগর পক্ষে যতটুকু তথ্য-প্রমাণ সেটুকু সাংবাদিকরাই তুলে ধরেছেন। হোক সেটা বিবিসি, ডয়েচে ভেলে বা প্রথম আলো। আপনি ধারণার ভিত্তিতে ফেসবুকে ঝড় তুলতে পারবেন। সাংবাদিকদের কিন্তু তথ্য-প্রমাণ নিয়ে কথা বলতে হবে। আচ্ছা এবার বলুন তো, আপনি বা আপনার সংগঠন মধ্যরাতের নির্বাচনের প্রতিবাদে কয়দিন রাস্তায় নেমেছেন, কয়বার প্রতিবাদ করেছেন। আপনারা প্রতিবাদ করুন। সাংবাদিকরা অবশ্যই তা তুলে ধরবে। নিজে শামুকের মত গুটিয়ে থাকবেন, আর সাংবাদিকদের সিংহ হতে বলবেন কেন? আগে নিজে প্রতিবাদী সিংহ হন, তারপর আরেকজনের বিরুদ্ধে আঙ্গুল তুলবেন। বালিশকান্ডের খবর আপনাকে কে দিয়েছে, পি কে হালদারকে আপনি কোত্থেকে চিনেছেন, বেসিক ব্যাংকের বাচ্চুর নাম আপনাকে কে বলেছে? নিজে আগে এই প্রশ্নের জবাব খুজুন। তারপর সাংবাদিকদের নৈতিকতা, সততা নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন।

মানছি, বাংলাদেশের সাংবাদিকতা একটা কঠিন সময় পার করছে। কিন্তু এই সময়ের দায় তো সাংবাদিকদের নয়। সিনিয়র সাংবাদিক আফসান চৌধুরী ফেসবুকে লিখেছেন, ‘মিডিয়া বলে একক কিছু নাই। তিন গোষ্ঠী মিলে এটা ১. মালিক. ২. ঊর্ধ্বতন কর্মী/সাংবাদিক/সম্পাদক ৩. সাধারণ সাংবাদিক।  প্রথমটা সকল ক্ষমতা রাখে, ঠিক করে কী যাবে কী যাবে না। তার উদ্দেশ্য ক্ষমতাবানদের খুশি করা, নিজের সম্পদ বাড়ানো। ২. এরা মিডিয়া চালায়, মালিককে তেল দেয়, কর্মীদের ওপর ছড়ি ঘোরায়, লাইন করে, একদিন পত্রিকার সম্পাদক হবার আশা রাখে। রাজনীতি করে কিন্তু এদের ওপর বাপ্ আছে।৩ নম্বর হচ্ছে চাকা ভাঙা সাইকেল, সংসার চালাতে ব্যস্ত, ক্ষমতাহীন অসহায় মানুষগণ। বেশির ভাগ ঢাকার বাইরে থেকে আশা, বিসিএস হতে পারবে না বা অন্য ভালো চাকরির সুযোগ কম বলেই সাংবাদিক। মিডিয়াকে গালি দিয়ে লাভ নেই কারণ মালিক, নেতা আর কর্মী তিন আলাদা দুনিয়ার প্রাণী। (কিছু ব্যতিক্রম তো আছেই কিন্তু তাতে মিডিয়ার চরিত্র বা কাঠামো পাল্টায় না)।‘ মোটা দাগে আমি আফসান ভাইয়ের সাথে আমি একমত। দেশে তিন নাম্বার গোত্রের সাংবাদিকই বেশি। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার যে কোনো অব্যবস্থাপনার জন্য মানুষ ডাক্তারদের গালি দেয়। এমনকি হাসপাতালের বাথরুম ময়লা থাকলেও দোষ হয় ডাক্তারের। কারণ তারাই স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সামনে থাকেন। মানুষ তাদেরই দেখতে পায়। তেমনি গণমাধ্যমে কোনো বিচ্যুতি হলে আফসান ভাইয়ের তালিকার তিন নম্বরে থাকা অসহায় সাংবাদিকদেরই সবাই গালি দেয়। কারণ তারাই মাঠে ময়দানে থাকে। তারা তো সংবাদ সংগ্রহ করে। কিন্তু ট্রিটমেন্ট দেয়া না দেয়ার সিদ্ধান্ত বা ক্ষমতা কিন্তু তার নয়। বরং একটি সত্য ঘটনা লেখার পরও সেটি ছাপা না হলে তার যে বেদনা, সেটা আমরা কেউ দেখতে পাই না, বোঝা তো অনেক পরের কথা।

গুলশানে কলেজছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় ভালো সাংবাদিকতা হয়নি, সেটা মানছি। ভালো সাংবাদিকতা তো অনেক পরে কোখাও কোথাও অপসাংবাদিকতাও হয়েছে। এ ঘটনায় চার ধরনের প্রতিক্রিয়া হয়েছে গণমাধ্যমে। কিছু গণমাধ্যম ঘটনাটিকে সাধারণভাবে দেখে নির্মোহভাবে ট্রিটমেন্ট দিয়েছে। কিছু মিডিয়া, যাদের সাথে বসুন্ধরার সম্পর্ক খারাপ, তারা অতি উৎসাহ দেখিয়েছে। কিছু মিডিয়া, যাদের সাথে বসুন্ধরার সম্পর্ক ভালো, তারা উল্টো মরে যাওয়া মেয়েটির চরিত্র হননে নেমেছে নোংরাভাবে। আর বসুন্ধরার মালিকানাধীন মিডিয়াগুলো এ ব্যাপারে স্পিক টি নট। এখন এই চার ধরনের প্রতিক্রিয়ার কোনো সিদ্ধান্তই কিন্তু আফসান ভাইয়ের তিন নাম্বার তো বটেই, তালিকার দুই নাম্বারে থাকা সাংবাদিকরাও নেননি। এখানে পুরোটাই পূঁজির ব্যাপার। এখানে সাংবাদিকদের কিছু করার নেই। অনেকে বলছেন, কিছু করার না থাকলে চাকরি ছেড়ে দেন, তরমুজের ব্যবসা করেন। ভালো পরামর্শ। ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাজ করার প্রতিবাদে পদত্যাগ করাটাই সবচেয়ে ভালো সমাধান। কিন্তু বিপ্লবী ভাইয়েরা, সাংবাদিকদেরও কিন্তু সংসার আছে। তাদেরও বাসা ভাড়া দিতে হয়, বাজার করতে হয়। বসুন্ধরার মালিকানাধীন ৭টি গণমাধ্যমের হাজার তিনেক কর্মী যদি আজ পদত্যাগ করে, আপনি তাদের বাহবা দিতে পারবেন, ফেসবুকে ঝড় তুলতে পারবেন। কিন্তু এই করোনাকালে কয়জনকে চাকরি দিতে পারবেন? তরমুজের ব্যবসা করার মত পূঁজি বা বুদ্ধি তো সবার নাও থাকতে পারে। আর অভিযোগ বসুন্ধরার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধে। পুলিশ তদন্ত করবে, আদালত বিচার করবে। কিন্তু একজন ব্যক্তির দায় পুরো প্রতিষ্ঠানের সবাইকে নিতে হবে কেন?

আপনারা যে সাংবাদিকদের গাল দিচ্ছেন, এটাকে আমি প্রাপ্তি বলেই মানি। সাংবাদিকদের কাছে আপনাদের উচ্চ প্রত্যাশার কারণেই আপনাদের হতাশাও প্রবল। তবে খালি একটা অনুরোধ, আমাদের অসহায়ত্ব, সীমাবদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন করুন; ঢালাওভাবে আমাদের সততা, নৈতিকতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবেন না। সাংবাদিকরা কিন্তু আত্মসমালোচনা করতে জানে, নিজেদের ভুলগুলো শুধরে নিতে চেষ্টা করে, প্রয়োজনে ক্ষমা চাওয়ার সৎসাহসও সাংবাদিকদের আছে। এই ঘটনায় অপসাংবাদিকতা করা প্রতিষ্ঠান কিন্তু হাতে গোনা। আপনারা আমাদের ভুল ধরিয়ে দিন, গণমাধ্যমের পাশে থাকুন। গণমাধ্যম কিন্তু শেষ পর্যন্ত জনগণেরই মাধ্যম। এখনও কিন্তু মানুষ কোথাও বিচার না পেলে শেষ পর্যন্ত গণমাধ্যমের কাছেই আসে।

লেখা শেষ করছি সুমন চট্টোপাধ্যায়ের একটি গানে তোলা প্রশ্ন দিয়ে-

যদি ভাবো কিনছো আমায়, ভুল ভেবেছো

কেনা যায় কণ্ঠ আমার দফা দফা

রুজি-রোজগারের জন্য করছি রফা

দু’হাতের আঙুলগুলো কিনতে পারো

আপসেও নেই আপত্তি, নেই আমারও

আমাকে না, আমার আপস কিনছো তুমি

বলো কে জিতলো তবে জন্মভূমি, জন্মভূমি?

লেখক: প্রভাষ আমিন,হেড অব নিউজ, এটিএন নিউজ

   

চট্টগ্রামে পোশাক কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের বায়েজিদের একটি পোশাক কারখানায় আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট কাজ করছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে এ আগুনের সূত্রপাত হয়। তবে কিভাবে এই আগুন লেগেছে তা জানা যায়নি।

ফায়ার সার্ভিস চট্টগ্রাম অঞ্চলে কন্ট্রোল রুম থেকে বার্তা২৪.কমকে জানায়, ৪টা ১০মিনিটে বায়েজিদে একটি কুরিয়ান পোশাক কারখানায় আগুন লাগার খবর পায়। প্রথমে দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে আরও তিনটিসহ বর্তমানে ৫টি ইউনিট কাজ করছে। তবে আগুন লাগার কারণ এখনো জানা যায়নি এবং এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবরও পায়নি।

;

বগুড়ায় মহাসড়কে চলছে উন্নয়ন কাজ, ঈদে দুর্ভোগের আশঙ্কা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা- রংপুর মহাসড়কের বগুড়া অংশে চলছে উন্নয়ন কাজ। এতে ঈদে কমপক্ষে ১০ থেকে ১২টি পয়েন্টে যানজটের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন একাধিক বাসচালক। আর যানজটে তীব্র ভোগান্তিতে পড়বে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষেরা। তবে বগুড়া জেলা পুলিশ মহাসড়কে যানজট হতে পারে এমন ৮টি পয়েন্ট চিহ্নিত করেছেন।

বগুড়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান বলেন, ঢাকা- রংপুর মহাসড়কে বগুড়া অংশে ৬৫ কিলোমিটার মহাসড়ক রয়েছে। মহাসড়ক উন্নয়ন কাজ চলমান থাকলেও এবার কোন যানজট হবে না। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, যানজট হয় এমন স্থান গুলোতে ফ্লাইওভার এবং আন্ডারপাস চালু হয়েছে। সর্বশেষ গত ২৭ মার্চ মাঝিড়া ক্যান্টনমেন্ট সংলগ্ন বিব্লক আন্ডার পাস, বগুড়া শহর সংলগ্ন ফুলতলা আন্ডার পাস এবং বগুড়া তিনমাথা রেলগেট ফ্লাই ওভার যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, মহাসড়কে যে সকল পয়েন্টে উন্নয়ন কাজ চলছে সেই স্থান গুলোতে যানবাহন চলাচলের জন্য বিকল্প সড়ক করা হয়েছে। এছাড়াও বগুড়া শহরতলীর বনানী এবং মাটিডালী মোড়ে দ্রুত গতিতে সড়ক উন্নয়ন কাজ চলছে। এক সপ্তাহের মধ্যে এই দুই স্থানে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হবে।

রংপুর -ঢাকা রুটে চলাচলকারী টি আর পরিবহনের চালক সিকদার, শ্যামলী পরিবহনের চালক করিম, একতা পরিবহনের চালক সাব্বির বলেন, মহাসড়কের দক্ষিণে চান্দাইকোনা থেকে উত্তরে রহবল পর্যন্ত মহাসড়কে কমপক্ষে ১০ থেকে ১২টি স্থানে এবার যানজট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

তারা বলেন, মহাসড়কে সিএনজি চালিত অটোরিকশা স্ট্যান্ড, ভটভটি চলাচল এবং মালবাহী ট্রাক চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষদেরকে যানজটে পড়ে দুর্ভোগ পোহাতে হবে।

এছাড়াও মহাসড়ক উন্নয়ন কাজের জন্য বিভিন্ন স্থানে সড়কের মাঝে বালুর ঢিবি করে রাখার কারণে দুর্ঘটনা ছাড়াও যানবাহনের গতি স্বাভাবিক রাখা যাবে না। ফলে ওই সকল স্থান গুলোতে যানবাহনের জট লেগে থাকতে পারে।

এদিকে বগুড়া জেলা পুলিশ মহাসড়কের বগুড়া অংশে যানজট হতে পারে এমন ৮টি পয়েন্ট চিহ্নিত করেছেন। সেগুলো হচ্ছে, শেরপুরের চান্দাইকোনা বগুড়া বাজার, শেরপুরের ধুনট মোড়, শাজাহানপুরের লিচুতলা বাইপাস ও বনানী মোড়, বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে, বগুড়া শহরতলীর চারমাথা বাস টার্মিনাল, মাটিডালী এবং শিবগঞ্জের মোকামতলা বন্দর।

বগুড়া পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, ঈদে ঘরে ফেরা মানুষদেরকে যেন মহাসড়কে দুর্ভোগ পোহাতে না হয় সেজন্য ৮টি পয়েন্ট চিহ্নিত করা হয়েছে। এই পয়েন্ট গুলোতে ঈদের এক সপ্তাহ আগে থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে যানবাহন চলাচল স্বভাবিক রাখতে কাজ করবে।

তিনি বলেন, ঈদ উপলক্ষে মহাসড়কে যাত্রী এবং যানবাহনের চাপ বেড়ে যায়। এ কারণে হাইওয়ে পুলিশ ও জেলা পুলিশ সমন্বয় করে মহাসড়ক মানুষের দুর্ভোগ কমাতে কাজ করে যাবে। আশা করি এবার যানজট সহনীয় পর্যায়ে থাকবে।

;

বঙ্গবন্ধুর আদর্শে শিশুদের গড়ে তুলতে হবে: গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বঙ্গবন্ধুর আদর্শে শিশুদের গড়ে তুলতে হবে: গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধুর আদর্শে শিশুদের গড়ে তুলতে হবে: গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে শিশুদের গড়ে তোলার আহবান জানিয়েছেন।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক গবেষণা পরিষদ আয়োজিত ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪’ উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনাসভা এবং সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান।

মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন এবং একটি মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলেন। তিনি শিশুদের অত্যাধিক ভালবাসতেন বলে তাঁর জন্মদিনকে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তাঁর আদর্শ ধারণ করে প্রত্যেকটি শিশুকে দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করার মনোভাব নিয়ে বড় হতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দু’জনেই আজীবন মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। তাই সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ এবং তাদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করার উদ্যোগের জন্য তিনি শেরে বাংলা একে ফজলুল হক গবেষণা পরিষদের প্রশংসা করেন।

অনুষ্ঠানে প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ নিজামুল হক নাসিম প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া, ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য চিত্রনায়ক ফেরদৌস হাসান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. সাজ্জাদ হায়দার, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের দৌহিত্র ও সাবেক সচিব সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ, চিত্রনায়িকা মেহজাবিনসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনাসভার শেষে মন্ত্রী শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক গবেষণা পরিষদের পক্ষে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে ঈদ উপহার তুলে দেন।

;

প্রাথমিক নিয়োগ পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার, ভাই-বোন আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার সময় কানে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে নকল করার দায়ে এক পরীক্ষার্থীসহ দুইজনকে আটক করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ডিগ্রি কলেজের পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে তাদের আটক করা হয়। আটকৃতরা হলেন- পরীক্ষার্থী রিনা আক্তার ও তার ভাই আব্দুল জলিল। তারা জেলার বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের টুকচানপুর এলাকার আব্দুল মালেক মিয়ার সন্তান।

কলেজ সূত্রে জানা যায়, সারা দেশের মত ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে সকাল ১০টায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হয়। এ সময় কেন্দ্রের ১০১ নম্বর কক্ষে পরীক্ষার্থী ছিলেন রিনা আক্তার। পরীক্ষা শুরু হওয়ার প্রায় আধা ঘণ্টা পেরোলেও প্রশ্নের উত্তরপত্রে কোনো কিছু না লিখে বসে ছিলেন তিনি। তখন পরীক্ষাকেন্দ্রে ডিউটিরত কেন্দ্র পরিদর্শকের সন্দেহ হলে রিনার দেহ তল্লাশি চালায়। এতে কানের ভেতরে লুকিয়ে রাখা খুব ছোট একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস উদ্ধার করা হয়। পরে কলেজ কর্তৃপক্ষ খবর দিলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম শেখ ঘটনাস্থলে এসে শিক্ষার্থীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ও তার ভাই আব্দুল আজিজকে আটক করেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম শেখ জানান, পরীক্ষার্থী রিনা আক্তার তার কানে ডিভাইস লুকিয়ে রেখেছিলেন। সেই ডিভাইসের মাধ্যমে পরীক্ষার্থী হয়তো পরীক্ষার শেষ সময়ের দশ মিনিট পূর্বে উত্তর লেখার চেষ্টা করতেন। এটি করতে তার ভাই সাহায্য করেছেন। পরে তার ভাইকেও আটক করা হয়। এ ঘটনায় একটি মামলা করা হয়েছে। মামলার মাধ্যমে এই চক্রের সঙ্গে জড়িত আর কেউ থাকলে সবাইকে গ্রেফতার করা হবে।

;