নিউমার্কেটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মুখে মাস্ক নেই!
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকারের দেওয়া লকডাউনে বন্ধ রাখা হয়েছিল দেশের সকল প্রকার দোকান এবং শপিংমলগুলো। পরে ঈদকে সামনে রেখে স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্তে সময় বেঁধে খুলে দেওয়া হয় দোকান এবং শপিংমলগুলো। আর ঠিক ঈদের আগ মুহূর্তে বেচাকেনার ধুম লেগেছে রাজধানীর নিউমার্কেটে। তবে এখানকার প্রায় প্রতিটি দোকানেই দেখা গেছে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে মাস্ক ছাড়াই ক্রেতা বিক্রেতার উপস্থিতি।
বুধবার ( ১২ মে ) সকালে সরেজমিনে রাজধানী ঢাকার নিউমার্কেট এবং আশেপাশের দোকান- বিপণিবিতানগুলোতে ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
ঈদের আর মাত্র দুই দিন বাকি, নিজের জন্য এবং পরিবারের জন্য ঈদের কেনাকাটা করতে ক্রেতারা ভিড় করেছে দোকান বা বিপণিবিতানগুলোতে। কিন্তু মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। যেখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলতে বলা হচ্ছে, সেখানে মানুষের গায়ে গা লাগিয়েও জায়গা হচ্ছে না মার্কেট গুলোতে। দূরত্ব মানা সম্ভব না হলেও মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্তু রাজধানীর নিউমার্কেটের প্রতিটি দোকানে এবং রাস্তার পাশে ভ্রাম্যমাণ দোকান গুলোর বেশির ভাগই বিক্রেতা ও ক্রেতাকে মাস্ক পড়তে দেখা যায়নি। অনেকে পরলেও থুতনির নিচে নামিয়ে রেখেছে।
নিউমার্কেটের টপ লাইন ফ্যাশন হাউজের বিক্রেতা সাদ্দাম হোসেন বলেন, মাস্ক আছে, এতোক্ষণ পোরেই ছিলাম একটু আগেই খুলে রাখছি। বিশেষ করে মার্কেটের ভিতরে প্রচুর গরম, তাই বেশিক্ষণ মাস্ক পড়ে থাকা যায়না। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ব্যবসা করার চেষ্টা করি।
ক্রেতা ইলিয়াস হোসাইন বলেন, অতিরিক্ত গরমে মুখ ঘেমে আসছিল তাই মাস্ক একটুর জন্য খুলে রাখছি। তাছাড়া সব সময়ই মাস্ক পরি।
বিক্রেতা শাওন বলেন, মাস্ক তো মুখে সাথেই আছে। গরম আর আমাদের কাস্টমার ডাকতে হয়, কথা বলতে হয় এইজন্য এখন মাস্ক থুতনির নিচে নামিয়ে রাখছি। সবসময়ই তো আর মাস্ক পরে থাকা যায়না।
নিউমার্কেট এলাকায় দায়িত্ব থাকা পুলিশ কর্মকর্তা ময়েন বলেন, আমরা সবাইকে সচেতন করছি। এখানে সবারই মাস্ক আছে হয়তো সাময়িকের জন্য খুলে রেখেছে। আমরা সবাইকেই মাস্ক পড়তে বাধ্য করছি। এছাড়া নিউমার্কেট এলাকায় নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে স্বাস্থ্যবিধি না মানা এবং মাস্ক না পরলে জরিমানা করা হয়।