বর্তমান যুগে সবাইকে নিয়েই চলতে হয়: প্রধানমন্ত্রী



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নিজের দেশকে নিয়ে ভাবতে হবে। সব সময় খালি পরমুখাপেক্ষী থাকলে হবে না। বর্তমান যুগে কেউ একা চলতে পারে না। বর্তমান যুগে সবাইকে নিয়েই চলতে হয়।

মঙ্গলবার (১৮ মে) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ একনেক সভায় সরকার প্রধান একথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এই সভায় যুক্ত হন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহামারির প্রথম থেকেই আমি এ কথাটিই বার বার বলছিলাম যে করেই হোক আমাদের খাদ্য উৎপাদনটা অব্যাহত রাখতে হবে। যেন কোন মতেই আমাদের খাবারের অভাবটা না হয়। এই দিকটাতে সবাইকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে হবে।

মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের নতুন প্রজন্মকে উৎসাহিত করেন, ট্রেনিং দেন। তাদের বলেন নিজের বাড়িতে অনেক জমি-জমা পড়ে থাকে। সেগুলো পড়ে থাকবে কেন? সেগুলো চাষবাষের আওতায় নিয়ে এসে খামার করে অনেক টাকা বানাতে পারে। এমনকি ইন্ডাস্ট্রিজের মালিকও হতে পারে। প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রিজ সব থেকে বেশি ভালো চলবে। দেশেও তো মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়ছে আবার বিদেশেও রফতানি করতে পারি। দেশের বাজার তৈরিটা সব থেকে আগে।

তিনি বলেন, মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি করে দিয়ে আবার দেশের বাজারেও সেটা সম্প্রসারিত করতে পারব। তাতে আমার উৎপাদন ব্যবসা বাণিজ্য সবই বাড়বে। নিজের দেশকে নিয়ে ভাবতে হবে। সব সময় খালি পরমুখাপেক্ষী থাকলে হবে না। বর্তমান যুগে কেউ একা চলতে পারে না। বর্তমান যুগে সবাইকে নিয়েই চলতে হয়। এখন পৃথিবীটা হচ্ছে গ্লোবাল ভিলেজ অর্থাৎ পুরো বাংলাদেশ আধুনিক প্রযুক্তির যুগে সারাবিশ্বটাই এখন সবার সঙ্গে সবার যোগাযোগের একটা সুযোগ। কাজেই এই প্রযুক্তির ব্যবহার এবং সেটার যেন কাজে লাগতে পারি, প্রযুক্তি আবার সমস্যাও সৃষ্টি করে, সব মিলে মিশে এর থেকে ভালোটা বেছে নিতে হবে এবং সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা সেটা পারব। জাতির পিতা ৭ মার্চের ভাষণে বলেছিলেন কেউ দাবায় রাখতে পারবে না। বাংলাদেশের মানুষকে কেউ দাবায় রাখতে পারবে না।

   

চট্টগ্রামে পরিবহন ধর্মঘট স্থগিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম চট্টগ্রাম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রশাসনের আশ্বাসে বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার চলমান ধর্মঘট স্থগিত করা হয়েছে।

দীর্ঘ দুই ঘণ্টা আলোচনা শেষে রবিবার (২৮ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টায় এ ঘোষণা দেন সংগঠনের আহ্বায়ক মঞ্জুর আলম চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের অনুরোধে জনস্বার্থের কথা বিবেচনা করে ৪৮ ঘণ্টার চলমান ধর্মঘট আমরা স্থগিত করেছি। জেলা প্রশাসক আমাদের দাবিগুলো মেনে নিয়েছেন, সেজন্য তাকে আমরা ধন্যবাদ জানাই। পরবর্তীতে এরকম কোন পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে পুনরায় ধর্মঘট দেব।’

তিনি আরও বলেন, ‘চট্টগ্রামের ৪৮ ঘন্টার পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়েছিল। তা চলমান রয়েছে। এ অবস্থায় জেলা প্রসাসক প্রসাশনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ আমাদেরকে ডেকেছেন। আমরা উনার ডাকে সাড়া দিয়ে এসেছি এখানে। আমরা তার প্রতি সম্মান রেখে বলবো, চুয়েটে যে দুইজন ছাত্র নির্মমভাবে মৃত্যুবরণ করেছেন এবং একজন আহত হয়েছেন তার জন্য আমরা মর্মাহত। ওই ছেলেদের আমাদের পক্ষ থেকে কিছু সহযোগিতা দিয়েছি। এরপর আমাদের তিনটা গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। আমাদের তিনটা গাড়ির বিষয়ে প্রশাসন আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন বিআরটিএর মাধ্যমে গাড়িগুলোর ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। আমরা উনার আশ্বাসকে সাধুবাদ জানাই।’

তিনি‌ আরও বলেন, 'আমরা গাড়ি চালানোর জন্য ব্যবসা করি। আমাদের কাপ্তাই সড়কের চুয়েটের সামনে বর্তমানে যে বিবাদমান আন্দোলন, এই আন্দোলনে আমরা ভীত-সন্ত্রস্ত। জানি না আবার গাড়ি চালাতে গিয়ে কোনো ক্ষতিগ্রস্ত হবো কিনা। তারপরও ডিসি মহোদয় আমাদেরকে বলেছেন, উনার কথায় আস্থা রেখে আমরা গাড়ি ছাড়ব। আমাদেরকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেবে, যদি আমাদের কোন গাড়ি যদি সেই দুর্ঘটনা বা আক্রমণের শিকার হয় অথবা আমাদের এবি ট্রাভেলস বা শাহ আমানতের কোন গাড়ি যদি ইচ্ছাকৃত কোন আক্রমণের শিকার হয়, উদ্ভূত কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে আমরা পুনরায় ধর্মঘট শুরু করব। জেলা প্রশাসকের আহবানে আমরা জনস্বার্থের কথা চিন্তা করে ধর্মঘট স্থগিত করলাম।'

বৈঠকে মনজুর আলম বলেন, ‘কাপ্তাই সড়কে গাড়ি চললে চট্টগ্রামের সব সড়কে গাড়ি চলবে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে উদ্যোগ নিয়েছেন সেটি অন্তত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সরকারকে বিব্রত করতে চাইনা। আমরা সবমসময় সরকারকে সহযোগিতা করেছি। আমরা গাড়ি চালাবো। আপনাতত আমাদের দাবিগুলো আপনি পূরণ করার আশ্বাস দিয়েছেন আমরা আপনার আশ্বাসের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।’

এর আগে সভায় জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মো. ফখরুজ্জামান বলেন, ‘আপনারা যে দাবিগুলো বলেছেন তার মধ্যে প্রথমটি হচ্ছে নিরাপত্তা। নিরাপত্তার বিষয়ে আমি আপনাদেরকে আশ্বস্ত করতে চাই, আপনারা গাড়িগুলো চালান আমরা নিরাপত্তা দেব। প্রয়োজনে পুলিশ স্কোয়ার্ড ও আমাদের দুইজন ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে। আর হামলায় গাড়িগুলো কতটুকু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেটি বিআরটিএ দেখবে। এরপর আমরা সেটির ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা যায় কিনা দেখবো। ক্ষতিপূরণের জন্য মাননীয় মন্ত্রী ও সচিব মহোদয়ের সঙ্গে আমরা কথা বলব। যাতে আপনাদের তিন গাড়ির ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা যায়।’

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ কে এম গোলাম মোর্শেদ খান বলেন, দুইজন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনার পর থেকে দায়িত্ব পালন করছেন। নিরাপত্তার বিষয়টি সেখানে খুব গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। গাড়িগুলো যাওয়া আসার সময় সামনে পেছনে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ স্কোয়াড থাকবে।

এ সময় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার নোবেল চাকমা বলেন, ‘সড়কের মধ্যে দাড়িয়ে যে চাদাঁবাজি করা হচ্ছে সেটি বন্ধ করুন। না হয় আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো। সড়কে যত্রযত্র গাড়ি থামানো যাবে না। মামলা প্রত্যাহারের যে দাবি তোলা হয়েছে সেটি আসলে তদন্তের আগে জানানো সম্ভব নয়। আর গাড়ি পোড়ানোর বিষয়ে মামলা কেউ করতে চাইলে করতে পারবে।’

বিআরটিএ চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক রায়হানা আক্তার বলেন, ‘দুর্ঘটনায় নিহত দুই শিক্ষার্থীর মাথায় হেলমেট ছিল না। মোটরসাইকেলেরও নিবন্ধন ছিল না বলে আমরা জানতে পেরেছি। এ ছাড়া যে বাসটি মোটরসাইকেলটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দিয়েছে, সেটা ছিল ফিটনেসবিহীন। চালকের লাইসেন্স ছিল না।’

সভায় পূর্বাঞ্চলীয় সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মৃণাল চৌধুরী, রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অংগ্যজাই মারমা ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রায়হান মেহেবুবসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা ও পরিবহন মালিক শ্রমিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রামের পাঁচ জেলায় ৪ দফা দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটের এই ঘোষণা দেয় বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্যপরিষদ। পরে অবশ্য তিনটি পরিবহন সংগঠন ধর্মঘট প্রত্যাখানের ঘোষণা দেয়। কিন্তু, এই সংগঠগুলো টেম্পো জাতীয় পরিবহন সংশ্লিষ্ট। ফলে তাদের প্রত্যাখানে তেমন একটা প্রভাব পড়ছে না।

প্রসঙ্গত, গত সোমবার (২২ এপ্রিল) চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই চুয়েট শিক্ষার্থী নিহত হয়। এর জের ধরে ওইদিন থেকেই শিক্ষার্থীরা ১০ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করে আসছিলেন।

গত ২৪ এপ্রিল ঘাতক বাসের চালককে পুলিশ গ্রেফতার করে। এরপরও ছাত্র আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থামাতে ২৫ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করলে ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা গণপরিবহনে আগুন ধরিয়ে দেয়। এর প্রতিবাদে পরিবহন ধর্মঘটের ঘোষণা দেওয়া হয়।

;

ঢাকায় রাত ১১টার পর চা দোকান বন্ধের নির্দেশ ডিএমপির



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানী ঢাকায় রাত ১১টার পর মহল্লার সব চায়ের দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এ সিদ্ধান্ত দ্রুত কার্যকর করতে থানা পুলিশকে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।

এ ছাড়া সম্প্রতি ফরিদপুরের মধুখালীতে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা নিয়ে কোনো মহল যাতে রাজধানীতে ষড়যন্ত্র ও বিশৃঙ্খলা ঘটাতে না পারে সেজন্য মাঠপর্যায়ের পুলিশকে সতর্ক থাকতে বলেছেন তিনি।

রবিবার (২৮ এপ্রিল) রাজারবাগ পুলিশ অডিটরিয়ামে মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় তিনি এই নিদের্শনা দেন।

৫০টি থানা এলাকার মার্চ মাসের অপরাধ নিয়ে পর্যালোচনা সভায় ডিএমপির সাবেক পুলিশ কমিশনার মোঃ আসাদুজ্জামান মিয়া সম্মনিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

সভায় ঢাকা মহানগরের আইনশঙ্খৃলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা বিধানসহ উত্তম কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ডিএমপির বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ সদস্যকে পুরস্কৃত করা হয়।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘রাজধানীর বিভিন্ন মহল্লার অলিগলিতে মধ্যরাত পর্যন্ত ও কোনো কোনো এলাকায় সারারাত চায়ের দোকান খোলা থাকে। এসব দোকানে চা খাওয়ার পাশাপাশি লোকজন আড্ডা দেয়। অনেক অপরাধীও সাধারণ মানুষের মঙ্গে মিশে থাকে। সুযোগ বুঝে তারা চুরি-ছিনতাই করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ছিনতাই ও অপরাধ প্রতিরোধে রাতে রাস্তার মোড়ের দোকানগুলো বন্ধ করে দিতে হবে। রাস্তার পাশের বিড়ি, পান ও চায়ের দোকান রাত ১১টার পর বন্ধ থাকবে।’

সমাজে অপরাধের কারণ অনুসন্ধান করে প্রতিরোধে কমিউনিটি পুলিশিং ও বিট পুলিশিং ব্যবস্থা আরো জোরদার করার নির্দেশনাও দেন তিনি।

;

নোয়াখালীতে রোদে খেলার সময় দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় রোদে খেলার সময় মো. কামরুল হাসান ফাহিম (৭) নামে এক স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।

নিহত কামরুল হাসান ফাহিম উপজেলার চরক্লার্ক ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের কেরামতপুর গ্রামের জাকার মাস্টারের বাড়ির ওমর ফারুকের ছেলে। সে স্থানীয় মধ্য কেরামতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল।

রোববার (২৮ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার চরক্লার্ক ইউনিয়নের কেরামতপুর গ্রামে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এর আগে, একই দিন দুপুর সোয়া ১টার দিকে উপজেলার চরক্লার্ক ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের কেরামতপুর গ্রামের জাকার মাস্টারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

মধ্য কেরামতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মো. সেকান্তর আলম বলেন, ফাহিম সকালে বিদ্যালয়ে আসে। আমাদের বিদ্যালয়ে আজ উপজেলা নির্বাচনের সংক্রান্ত ট্রেনিং থাকায় স্কুলে কোনো ক্লাস হয়নি। পরে সে বাড়িতে চলে যায়। বাড়িতে গিয়ে বাড়ির অন্য শিশুদের সাথে রোদের মধ্যে বাহিরে খেলাধুলা করার সময় সে অচেতন হয়ে পড়ে যায়। পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, প্রচণ্ড গরমে হিট স্ট্রোকে তার মৃত্যু হয়েছে।

চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে এ বিষয়ে থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।

;

স্বামীর পাঠানো টাকা তোলা হলো না সাবিনার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরের পীরগাছায় পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় সাবিনা ইয়াসমিন (২৮) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এসময় তার পাঁচ বছরের মেয়ে মাওয়া আক্তারসহ দুজন আহত হয়। আহতের উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পীরগাছা থানা এসআই আনিছুর রহমান। এর আগে বেলা আড়াইটার দিকে উপজেলার কৈকুড়ী ইউনিয়নের বকশিবাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত সাবিনা ইয়াসমিন ওই ইউনিয়নের আটষট্টিপাড়ার আখলাছুর রহমানের স্ত্রী।

নিহতের খালাতো ভাই জাহাঙ্গীর আলম খাঁন জানান, চাকরিজীবী স্বামীর পাঠানো টাকা তুলতে ভ্যানযোগে বকশিবাজারে যাচ্ছিলেন সাবিনা ইয়াসমিন। ভ্যানটি বকশিবাজার পৌঁছামাত্র চৌধুরাণী বাজার থেকে আসা একটি পিকআপ অটোভ্যানটিকে ধাক্কা দিয়ে রংপুর অভিমুখে চলে যায়। এতে অটোভ্যানে থাকা সাবিনাসহ তিনজন ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে সাবিনা ইয়াসমিনকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এবং তার মেয়ে ও ফুফাতো বোনকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল ৪টার দিকে সাবিনা ইয়াসমিনেরর মৃত্যু হয়।

পীরগাছা থানা উপপরিদর্শক (এসআই) আনিছুর রহমান বলেন, দুর্ঘটনায় এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। ঘাতক পিকআপ ভ্যানটিকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে।

;