‘কাজী নজরুল ইসলাম উপমহাদেশের স্বাধীনতার প্রথম বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর’

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর/ ফাইল ছবি

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর/ ফাইল ছবি

বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে উপমহাদেশের স্বাধীনতার প্রথম বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর বলে মনে করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার (২৫ মে) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সোমবার (২৪ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ মন্তব্য করেন বিএনপি’র মহাসচিব।

বিজ্ঞাপন

বিবৃতিতে ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন,“২৫শে মে, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২২তম জন্মবার্ষিকী। আজকের এই শুভদিনে আমি মহান কবির প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি এবং তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করি। কাজী নজরুল ইসলাম আমাদের জাতীয় কবি, বাংলা সাহিত্যের এক অবিসংবাদিত কিংবদন্তী। পারিবারিক সীমাহীন দুঃখ দূর্দশার মধ্যেও তিনি নির্বাক হওয়া পর্যন্ত সাহিত্য-চর্চায় ব্রতী ছিলেন। কবি, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, সুরকার, সঙ্গীতজ্ঞ, সাংবাদিক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা কাজী নজরুল ছিলেন বহুমূখী বিস্ময়কর প্রতিভার অধিকারী। তাঁর ক্ষুরধার লেখনিতে অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে বিপ্লবের মন্ত্র উচ্চারিত হয়।

তিনি বলেন, বাংলা সাহিত্য, সমাজ ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব কাজী নজরুল ইসলাম। তিনি দেশের স্বাধীনতা ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য উপনৈবেশিক শাসক গোষ্ঠীর অন্যায়ের বিরুদ্ধে কলমকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে কারাগারে নির্যাতন সহ্য করতেও দ্বিধা করেননি। তাঁর কবিতা ও গানে মানবতা ও সাম্যের বাণী বিধৃত হয়েছে। তাঁর কবিতার মূল বিষয়বস্তু ছিল মানুষের ওপর মানুষের অত্যাচার, সামাজিক অনাচার ও শোষনের বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদ। তাই নজরুল অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী এবং একজন খাঁটি দেশ প্রেমিক। তাঁকে বলা হয় জাগরণের কবি এবং উপমহাদেশের স্বাধীনতার প্রথম বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর। তিনি আমাদের জাতীয় কবি, তাঁর কবিতা ও গান আমাদের মুক্তি সংগ্রামে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বিএনপির মহাসচিব বলেন, তার চল্ চল্ চল্ গানটি আমাদের জাতীয় রণসঙ্গীত হিসাবে পেয়ে আমরা গর্বিত। আমি বিশ্বাস করি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ঔপনিবেশিক শৃঙ্খল ছিন্ন করে দেশ থেকে অন্যায় অবিচার ও অত্যাচার নির্মূল করতে তাঁর লেখনীর আবেদন চিরদিন নির্যাতিত মানুষকে প্রেরণা যোগাবে। পাশাপাশি সঙ্গীতে তাঁর মানবপ্রেম, প্রকৃতিপ্রেম এবং সৃষ্টিকর্তার প্রতি আত্মনিবেদিত ভক্তিমূলক গানের আবেদন চিরকালীন ও চিরস্থায়ী হয়ে থাকবে।

আমি এই মহান কবির বিদেহী আত্মার প্রতি পূণর্বার গভীর শ্রদ্ধা জানাই।”