হাস্যকর প্রকল্পে জলে যাচ্ছে সরকারের অর্ধ কোটি টাকা!



আলমগীর মানিক, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাঙামাটি
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন বা জনসাধারণের মতামতের তোয়াক্কা না করে এক হাস্যকর প্রকল্পে গচ্ছা যাচ্ছে সরকারের অর্ধ কোটি টাকা। সম্প্রতি চালু করা নানিয়ারচর ব্রীজের নীচে জনগণের চলাচলের সুবিধার জন্য যে খাল খনন করা হচ্ছে, ওই খালের নদীপথ এখন পরিত্যাক্ত বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ইতোমধ্যে সেখানে বিশাল ব্রীজ নির্মাণ হওয়ায় এই খাল খননের কোনো যথার্ততা নেই বলে জানান তারা।

এলাকাবাসীর মতে, ব্রীজের নীচে খাল খনন না করে চেঙ্গী খালসহ রাঙামাটির আরো অনেক প্রয়োজনীয় জায়গা রয়েছে যেখানে এখনই খনন বা ড্রেজিং না করলে জনস্বার্থ দারুণভাবে বিঘ্নিত হবে। প্রকল্পের জন্য এমন জায়গা বেছে না নিয়ে কার স্বার্থে সরকারি অর্থ অপচয় করা হচ্ছে তা রহস্যজনক।

কোনো প্রকার সম্ভাব্যতা যাচাই ছাড়াই বছরের ৯ মাস ৪০ ফুট পানির নীচে থাকা ডুবন্ত খালকে খনন করার নামে রাঙামাটি জেলার নানিয়ারচরে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয় সাপেক্ষ এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। যে প্রকল্প নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন খোদ উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের খামখেয়ালি ও অদুরদর্শিতার কারণেই এমন একটি অপরিণামদর্শী প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন নানিয়ারচরের জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় বাসিন্দারা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নানিয়ারচর ব্রীজের নিচে মাটি কাটার একটিমাত্র ডোজার দিয়ে সরু ড্রেনের মতো করে ছড়ার মতো পানি চলাচলের দুইপাশ থেকে মাটি তুলে পাশেই স্তুপ করে রাখা হচ্ছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই এই মাটিগুলো আবারো সেখানেই গড়িয়ে পড়ছে। যেখানে বছরের নয়মাস ৩০-৪০ ফুট পানি থাকে। বালুমাটিগুলো ডোজার দিয়ে তুলে পাশেই রাখা হচ্ছে, আর বলা হচ্ছে এই মাটির উপরই দুই পাশের সৌন্দর্য্য বর্ধন ও টেকশইয়ের জন্য গাছের চারা লাগানো হবে। মজার বিষয় হলো যেখানে মাটি স্তুপ করা হচ্ছে বর্ষা মৌসুমে তা আট-দশফুট পানির নীচে তলিয়ে যায় বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। পানির নীচে এই গাছ কিভাবে টিকবে এমন প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের প্রতিনিধি ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ।

বিষয়টি নিয়ে কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন নানিয়ারচর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শিউলী রহমান তিন্নি। পক্ষান্তরে নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রগতি চাকমা জানিয়েছেন, এই প্রকল্প হয়তো অনেক আগে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে সেখানে সরকার ব্রীজ করে দিয়েছে। তাই এই প্রকল্পের আর কোনো যথার্ততা নেই। এই ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন করার আগে আমাদের সাথে পরামর্শ করার দরকার ছিল। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই খাল খননের নামে এই অর্থ ব্যয় জনসাধারণের কোনো কাজেই আসবে না।

স্থানীয়রা জানায়, নানিয়ারচরের চেঙ্গী খালে বছরের নয় মাসজুড়েই প্রায় ৩০ ফিট পানির উচ্চ থাকে। শুষ্ক মৌসুমে এটি শুকিয়ে যায়। এই খালে বর্তমানে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে খাল খনন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। সামনের বর্ষার পানিতে এই কাজের শিকি ভাগও রক্ষা হবে না। কাজে আসবে না তথাকথিত খাল খননের।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০০৮ সালের দিকে নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকেও একই স্থানে খাল খনন করা হয়েছিল।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুল আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে এই প্রতিবেদককে তিনি তার চট্টগ্রামের কার্যালয়ে যাওয়ার জন্য বলেন। চট্টগ্রাম গেলে নিজ কার্যালয়ে প্রতিবেদকের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থার সুবিধার্থে এই খাল খনন কর্মসূচি প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়েছিল যাতে করে মানুষ তিনটা মাস তাদের যাতায়াতের দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পায়।

লেকের মধ্যেই ডুবন্ত একটি খাল। যেখানে একটি ব্রীজও নির্মাণ করা হয়ে গেছে ইতোমধ্যেই। সেখানে এই ডুবন্ত খাল খনন করে সরকারি প্রায় অর্ধকোটি পানিতে ডুবানোর অর্থটা কি? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আসলে এখানকার বাস্তবতার আলোকে এই প্রকল্পগুলো নেয়া হয়নি। এসব প্রকল্প নেয়া হয়েছে সমতলের সাথে মিল রেখে। তাই হয়তো এমনটা হচ্ছে।

অপর প্রশ্নের জবাবে নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে ৬৪ জেলায় খাল খননের আওতায় পার্বত্য রাঙামাটি জেলার ৬টি উপজেলায় ৬টি খাল খনন কার্যক্রম চলমান আছে। ইতোমধ্যে দুইটি উপজেলা কাপ্তাইয়ের কোদালা খালের ৫ কিলোমিটার(অগ্রগতি ৪৪.৮২ শতাংশ), ও রাজস্থলীর বগাছড়া খালের ৬ কিলোমিটার খনন (অগ্রগতি ৩৭.৪০ শতাংশ) কার্যক্রম সমাপ্ত করে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে প্রয়োজনীয় বিল সমুদয় পরিশোধ করে দেওয়া হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে প্রকৌশলী জানান, জেলায় ডিসি মহোদয়ের নেতৃত্বে একটি কমিটি রয়েছে। যেটি জেলা পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন কমিটি নামে পরিচিত। সেই কমিটিতে উপরোক্ত তথ্যাবলি উপস্থাপন করে সেই কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের বিলগুলো পরিশোধ করা হয়েছে।

এছাড়াও রাঙামাটিতে চলমান কাজগুলোর মধ্যে জুড়াছড়ি উপজেলায় ৭ কিলোমিটার একটি খাল খনন কাজ গত অর্থবছরে ৩০ শতাংশ বাস্তবায়ন করেছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। এবছর সেই ৩০ শতাংশ বাস্তবায়নকৃত অংশে আবারো ভরাট হয়েগেছে। একই ধরনের একটি খাল খনন কাজ হয়েছিলো রাঙামাটি সদর উপজেলাধীন যৌথখামার এলাকায়। গত বছর ৫০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন করা হলেও চলতি বছরে আবারো সেটি ভরাট হয়ে গেছে। 

নানিয়ারচর উপজেলার চেঙ্গী খাল খননের উদ্যোগ নিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। চেঙ্গী খালে প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এই খনন কাজ পরিচালনা করা হচ্ছে। চলতি ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত এই খনন কাজ সম্পন্ন করার মেয়াদ রয়েছে। 

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী, রাঙ্গুনিয়া ও রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলা নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বড় একটি প্রতিরক্ষা প্রকল্প রয়েছে। সেই প্রকল্পের আওতায় প্যাকেজ-১ ও প্যাকেজ-২ প্রকল্প কাপ্তাইয়ে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

কাপ্তাই স্টেডিয়াম, কাপ্তাই স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স সংলগ্ন নদী প্রতিরক্ষা কাজ নিয়ে প্যাকেজ-১ এর জন্য বরাদ্দ রয়েছে ৭ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। প্যাকেজ-২ এর আওতায় ওয়া¹ বিজিবি ক্যাম্পের কাছে ৪৫০ মিটার খাল খনন কাজ চলমান রয়েছে।

তিনি জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের পরিকল্পনানুসারে রাঙামাটিতে কাঠাঁলতলী রিজার্ভ বাজার সংযোগ সড়কের ফিসারী বাঁধে তীর প্রতিরক্ষাসহ সৌন্দর্য্যবর্ধন প্রকল্প যার আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১২০ কোটি টাকা।

এছাড়াও চট্টগ্রামের হালদা নদীসহ রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই হ্রদ নিয়ে একটি বিশেষ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে যেটি রিভার স্ট্যাডি প্রজেক্ট রয়েছে যেটি ঢাকা থেকে করা হয়েছে। এছাড়াও রাঙামাটির কাচালং ও কর্ণফূলী নদীতে ভাঙ্গনরোধে প্রতিরক্ষা দেয়াল নির্মাণ কাজের একটি প্রজেক্টও হাতে নিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ। এই প্রজেক্টটির জন্য আনুমানিক ৩৪৯ কোটি টাকার মতো ব্যয় ধরা হয়েছে বলে প্রতিবেদককে জানিয়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী।

   

জলবায়ুর অভিঘাত মোকাবিলায় ৩০০ মিলিয়ন ইউরো ঋণ দিবে ফ্রান্স



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
জলবায়ুর অভিঘাত মোকাবিলায় ৩০০ মিলিয়ন ইউরো ঋণ দিবে ফ্রান্স

জলবায়ুর অভিঘাত মোকাবিলায় ৩০০ মিলিয়ন ইউরো ঋণ দিবে ফ্রান্স

  • Font increase
  • Font Decrease

ফ্রান্স সরকার বাংলাদেশকে বাজেট সহায়তা হিসেবে ৩০০ মিলিয়ন ইউরো ঋণ প্রদান করবে।

এ লক্ষ্যে সোমবার (২০ মে) বাংলাদেশ সরকার ও ফ্রেঞ্চ ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (এএফডি) ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষর করেছে। এই অর্থ মূলত জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সরকারের গৃহীত কর্মসূচি বাস্তবায়নে ব্যয় করা হবে।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী এবং এএফডির ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর সেসিলিয় কর্টসি সিএফএ চুক্তিতে সই করেন।

ঋণ চুক্তির আওতায় এই অর্থ জলবায়ুর নেতিবাচক প্রভাবের বিরুদ্ধে কার্যকর ও শক্তিশালী ভিত্তি প্রস্তুত করা এবং জলবায়ু-সহিঞ্চু ও স্বল্প কার্বন নিঃসরণ ভিত্তিক অগ্রযাত্রায় ব্যয় করা হবে।

;

সিলেটে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, মোটরসাইকেলে আগুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবিঃ বার্তা২৪.কম

ছবিঃ বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমদ ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজের অনুসারীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার (২০ মে) পৌঁণে ১০টার দিকে শুরু হয়ে ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ হয়। এতে আহত হয়েছেন দুজন। এসময় একটি প্রাইভেটকার ভাঙচুর ও তিনটি মোটরসাইকেল আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।

এঘটনায় আহত দুজন হলেন -রোহান (৩৮), রাজু (২৪)। তারা দুজনেই সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজের অনুসারী সিলেট সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি পিয়াং সোম ও সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমদের অনুসারী রোহানের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে রাত পৌনে ১০টার দিকে হাউজিং স্টেট এলাকায় একটি প্রাইভেট কার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরে সোমবার রাত ১০টার দিকে রোহানসহ তার পক্ষের নেতাকর্মীরা নগরীর দাঁড়িয়াপাড়া এলাকায় মোটরসাইকেল করে পিয়াংয়ের খোঁজ নিতে এলে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে রোহানের পক্ষের তিনটি মোটরসাইকেল আটকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এসময় রোহান ও রাজু নামে দুজন আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তাদেরকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এব্যাপারে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ ও মহানগরের সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমদ জানান, তারা দুজনেই কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার জন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ঢাকায় অবস্থান করছেন। সিলেটে দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলার বিষয়টি শুনেছেন। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেখান থেকে আগুনে দগ্ধ তিনটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে ও দুজন আহত হয়েছেন। এ ব্যাপারে কোনো পক্ষ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পাওয়ার পর পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;

গফরগাঁওয়ে আগুনে পুড়ল ২ ভাইয়ের ঘর



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
গফরগাঁওয়ে আগুনে পুড়ল ২ ভাইয়ের ৪ ঘর

গফরগাঁওয়ে আগুনে পুড়ল ২ ভাইয়ের ৪ ঘর

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগে ২ ভাইয়ের ৪ ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে ১২লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করছেন ভুক্তভোগীরা।

সোমবার (২০ মে) রাত সোয়া ৯টার দিকে উপজেলার নিগুয়ারী ইউনিয়নের পাতলাশি গ্রামের বেপারী বাড়িতে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।

ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বেপারী বাড়ির পাশে বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে আগুন লেগে সালাম বেপারী ও তার ভাই সামাদ বেপারীর বসত ঘরে ছড়িয়ে যায়। স্থানীয়রা বিষয়টি দেখতে পেরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিয়ে নিজেরাই আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে লেগে যায়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌছানোর আগেই স্থানীয়রা এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু ততক্ষণে ৫টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

ভুক্তভোগী সালাম বেপারী বলেন, দুই ভাইয়ের পরিবারের প্রায় ১২ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আসবাবপত্র ও নগদ অর্থ পুড়ে সব শেষ কিছুই উদ্ধার করতে পারিনি।

নিগুয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম মৃধা বলেন, ওই দুটি পরিবার খুব গরিব। এক জন নরসুন্দা ও অন্যজন রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
আগুনে ওদের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেল।

ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রামপ্রসাদ পাল বলেন, স্টেশন থেকে ঘটনাস্থল অনেক দূরে। তাছাড়া রাস্তাঘাটের অবস্থা তেমন ভাল না। তাই, আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে, ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগে থাকতে পারে।

;

প্রান্তিক পর্যায়ে দক্ষ এসএমই উদ্যোক্তা তৈরি করতে হবে: অর্থ প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রান্তিক পর্যায়ে দক্ষ এসএমই উদ্যোক্তা তৈরি করতে হবে: অর্থ প্রতিমন্ত্রী

প্রান্তিক পর্যায়ে দক্ষ এসএমই উদ্যোক্তা তৈরি করতে হবে: অর্থ প্রতিমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান বলেছেন, শুধু নগরকেন্দ্রিক উন্নয়নে আবদ্ধ না থেকে প্রান্তিক পর্যায়ে দক্ষ এসএমই উদ্যোক্তা তৈরি ও তাদের উন্নয়নে এসএমই ফাউন্ডেশনকে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান যখন ঋণ দিবে, তাকে তো কিছুর উপর ভিত্তি করে ঋণ দিতে হবে। সেটা যে অংকের ঋণ হোক। ২০২৪ সালে এসে শুনতে হয় আমি ব্যবসার হিসাব রাখতে পারছি না। কত টাকার মালামাল বিক্রি করছি, কত টাকার কিনছি তার হিসাব রাখতে পারছি না। যে জন্য ব্যাংকে যেতে পারছি না। খাতা বা মোবাইলে বিভিন্ন এ্যাপের মাধ্যমে হিসাব রাখা যায়। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা নিয়ে উদ্যোক্তারা অনলাইন ও ইউটিউব থেকে ব্যবসার অভিজ্ঞতা নিতে পারে।

সোমবার (২০ মে) রাজধানীর শেরেবাংলা নগর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এসএমই মেলায় আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, প্রতি বছর বাজেটে একশ' কোটি টাকা রাখা হয় নারী উদ্যোক্তাদের জন্য, সেটা ব্যবহার হয় না। উদ্যোক্তারা যদি আরও তৎপর হন, তাহলে তাদের ব্যবসার অর্থায়নের যথেষ্ট সুযোগ আছে। আমরা স্মার্ট ফাইন্যান্সিং করছি। পাঁচ বছর পর ব্যবসা কোথায় নিবেন, সে বিষয়ে পরিকল্পনা থাকতে হবে। সরকারের দেওয়া সুযোগগুলো কাজে লাগাতে হবে।

অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রূপান্তরকারী নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার শিল্পনীতি-২০১৬ ও এসএমই নীতিমালা-২০১৯ প্রণয়ন করেছে। এসডিজি-২০৩০, রূপকল্প-২০৪১, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন নীতিমালা ও কৌশলপত্রে এসএমই খাতকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক মো: মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার এবং অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সুলেখা রানী বসু।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্যাংক এশিয়ার সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আরফান আলী।

সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে সিটি ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত এমডি শেখ মোহাম্মদ মারুফ,এসবিকে টেক ভেঞ্চারের প্রতিষ্ঠাতা সোনিয়া বশির কবির, ব্রাক ব্যাংকের হেড অব এসএমই মো: জাকিরুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

সেমিনার শেষে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান এসএমই মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন ও উদ্যোক্তাদের সাথে কথা বলেন।

;