দুই স্ত্রীর ঝগড়া থামাতে গিয়ে লাথিতে প্রাণ গেল গ্রাম পুলিশের
ঢাকার ধামরাইয়ে দুই স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া থামাতে গিয়ে প্রাণ গেল গৌরাঙ্গ মণ্ডল (৫০) নামের এক গ্রাম পুলিশের। ছোট স্ত্রীর লাথি বিশেষ অঙ্গে (অণ্ডকোষ) লাগলে ওই গ্রাম পুলিশের মৃত্যু হয় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
পুলিশ গৌরাঙ্গ মণ্ডলের মরদেহ উদ্ধার ও ছোট স্ত্রী লক্ষীরাণী মণ্ডলকে আটক করেছে। শনিবার (১০ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বাইশাকান্দা ইউনিয়নের তেরদানা গ্রামে।
এলাকাবাসী জানায়, গ্রামপুলিশ গৌরাঙ্গ মণ্ডলের দুই সতীনের সংসার। ঝগড়া-বিবাদ যেন নিত্যদিনের সঙ্গী। ওই সংসারে মোটেও মুহূর্তের জন্য কোনো শান্তি ছিল না। কথায় কথায় হতো অস্বাভাবিক ঝগড়া-বিবাদ। গ্রামপুলিশ গৌরাঙ্গ মণ্ডলের বড় স্ত্রী কমলারাণী মণ্ডল ও ছোট স্ত্রী লক্ষীরাণী মণ্ডলের মধ্যে এ ঝগড়া-বিবাদকে কেন্দ্র করে হাইপার টেনশনে সময় কাটত ওই গ্রামপুলিশের। দুই স্ত্রীর চরম ঝগড়া-বিবাদের কারণে অধিকাংশ সময়ই বাড়ির বাইরে ও অভুক্ত থাকতেন তিনি।
পূর্বের ঝগড়া-বিবাদের জের ধরে শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে গৌরাঙ্গ মণ্ডলের দুই স্ত্রীর মধ্যে তুমুল ঝগড়া ও একপর্যায়ে হাতহাতি হয়। পরে গৌরাঙ্গ দুই স্ত্রীর ঝগড়া থামানোর চেষ্টা করেন। এ সময় ছোট স্ত্রী লক্ষীরাণী মণ্ডল তার বিশেষ অঙ্গে সজোরে কয়েকটি লাথি মারে। এতে তার ওই বিশেষ অঙ্গটি গলে গিয়ে সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে ঢলে পড়েন। এরপরও ক্ষান্ত হয়নি গৌরাঙ্গ মণ্ডলের ছোট স্ত্রী। মাটিতে লুটিয়ে পড়ার পরও তার শরীরে আরও কয়েকটি লাথি মারে।
গ্রামপুলিশের বড় স্ত্রী কমলারাণী মণ্ডল কান্নায় ভেঙে পড়লে প্রতিবেশীরা দ্রুত এগিয়ে এসে গৌরাঙ্গ মণ্ডলের মাথায় পানি ঢালেন এবং হাতে-পায়ে রসুন তেল মালিশ করতে থাকেন, কিন্তু তার শেষ রক্ষা হয়নি।
ধামরাই থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ওয়াহিদ পারভেজ বলেন, ঘটনাস্থল থেকে গ্রামপুলিশ গৌরাঙ্গ মণ্ডলের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই গ্রামপুলিশের ছোট স্ত্রী লক্ষীরাণী মণ্ডলকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ধামরাই থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।