অনলাইনে সাড়া নেই, হাটে ভিড়

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

অনলাইনে সাড়া নেই, হাটে ভিড়

অনলাইনে সাড়া নেই, হাটে ভিড়

করোনাভাইরাসের উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে অনলাইনে কোরবানির পশু কিনতে উৎসাহ দিচ্ছে প্রশাসন। কিন্তু অনলাইনে তেমন একটা সাড়া পাচ্ছেন না খামারিরা। ক্রেতারা ছুটছেন হাটেই। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি ভুলে তাঁরা পশু কিনছেন। এতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর বলছে, রাজশাহীতে এ বছর কোরবানির জন্য চাহিদা হতে পারে ২ লাখ ৭০ হাজার পশু। তবে জেলার ১৪ হাজার ১৯৯টি খামারে গবাদিপশু প্রস্তুত আছে ৩ লাখ ৮২ হাজার ১১৪টি। গত বছরে এই সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৬৯ হাজার। রাজশাহীর ৯টি উপজেলা মধ্যে মোহনপুরে সবচেয়ে বেশি গবাদিপশু পালিত হয়েছে। সংখ্যায় যা ৫৭ হাজার ১১১টি। এর পরের অবস্থানে রয়েছে জেলার পবা উপজেলা। সেখানে পালিত হয়েছে ৪৩ হাজার ৮৬০টি পশু।

বিজ্ঞাপন

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু আসলাম জানিয়েছেন, ক্রেতাদের এবার অনলাইনে পশু কেনার ব্যাপারে উৎসাহ দেয়া হচ্ছে। তবে এতে খুব একটা সাড়া মিলছে না বলে জানিয়েছেন খামারিরা।

রাজশাহী নগরীর রামচন্দ্রপুর এলাকার খামারি আরাফাত রুবেল জানান, কোরবানি উপলক্ষে তিনি এ পর্যন্ত ছয়টি গরু বিক্রি করতে পেরেছেন। এখনও ২৩টি গরু আছে খামারে। রুবেল বলেন, অনলাইনে পশু কিনতে ক্রেতারা দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছেন। তাঁরা দাম, সাম্ভাব্য ওজন এবং এই সময়ে সময়মত পাঠাতে পারব কিনা তা নিয়ে ভাবছেন। তবে অনলাইনে বিক্রি করা গরু পাঠাতে কোন সমস্যা হচ্ছে না।

বিজ্ঞাপন

এদিকে রাজশাহীতে সবচেয়ে বড় পশুহাট বসে নগরীর উপকণ্ঠ সিটিহাট এলাকায়। এখানে প্রতি সপ্তাহের রোববার ও বুধবার হাট বসে। এখানে ভিড়ের মধ্যে ঠেলাঠেলি করে ক্রেতারা গরু কিনছেন। ক্রেতা-বিক্রেতাদের মুখে থাকছে না মাস্ক। তাঁরা মানছেন না স্বাস্থ্যবিধিও। এদিকে আগামী শুক্রবার থেকে কোরবানির আগের দিন পর্যন্ত প্রতিদিন হাট বসানোর পরিকল্পনা আছে ইজারাদারদের।

হাটের ইজারাদারদের একজন ফারুক হোসেন ডাবলু বলেন, পশুহাটে স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে সরকারি কিছু নির্দেশনা আছে। সেগুলো আমরা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। আমাদের এবং কয়েকটি ব্যাংকের পক্ষ থেকে হাটে জাল টাকা শনাক্তকরণ মেশিনও বসানো হয়েছে।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু আসলাম বলেন, ‘আমরা অনলাইনে কোরবানির পশু কেনার জন্য উৎসাহ দিচ্ছি। তারপরও হাটে ভিড় হচ্ছে। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার ব্যাপারে আমাদের নজর আছে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন জানান, ‘অনলাইনে রাজশাহীর পশু বিক্রি করতে সরকারি উদ্যোগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ১৫টি গ্রুপ ও পেইজ খোলা হয়েছে। এ ছাড়া বেসরকারি উদ্যোগে আরও পাঁচটি গ্রুপ ও পেইজ আছে। এ পর্যন্ত সেখান থেকে ২ হাজার ৪৮৪টি পশু বিক্রি হয়েছে। করোনাকালে আমরা আরও ভাল সাড়া প্রত্যাশা করি।