কঠোর লকডাউনেও কমছে না অলি গলির মানুষের জটলা
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকারের দেয়া কঠোর লকডাউনের আজ পঞ্চম দিন। রাজধানীর মূল সড়ক এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার জায়গা গুলোতে সাধারণ মানুষের জটলা এবং যানবাহন চলাচল অনেকটা কম থাকলেও কমছে না রাজধানীর প্রতিটি অলি গলি বা পাড়া মহল্লায় মানুষের জটলা।
মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, সায়দাবাদ এবং রায়েরবাগ এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
সরকারের দেয়া কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে র্যাব, পুলিশ, সেনাবাহিনীসহ আনসার সদস্যরা। প্রতিনিয়তই তারা গাড়িতে করে টহল দিচ্ছে রাজধানীর মূল সড়কসহ অলি গলির রাস্তায়। মূল সড়কের মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট বসানোয় জবাব দিহিতার মধ্যে পড়তে হচ্ছে সকল যানবাহনকেই। কিন্তু অলিগলিতে স্থায়ী ভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী না থাকায় সকাল থেকে রাত অবধি লেগে থাকে মানুষের জটলা। স্বাভাবিক সময়ের মতোই ভিড় জমে চায়ের দোকানগুলোতে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল গাড়ি আসলেই লুকিয়ে পড়ে ব্যবসায়ীরা। আবার চলে গেলে জমে ওঠে আগের মতোই। অনেকটা চোর পুলিশ খেলার মতো করেই চলে সারাদিন। অনেক চায়ের দোকানে সার্টার অর্ধেক বন্ধ রেখে পেছনের দরজা দিয়ে চা বিক্রি করতে দেখা গেছে। অনেক জায়গায় আবার পুরোটাই খুলে। পুলিশের গাড়ি আসতেই বন্ধ করে দেয় সার্টার। আবার গাড়ি চলে গেলেই দোকানে চলে হৈ হুল্লোড় করে বেচাকিনা আর আড্ডা।
বাইরে আসা কয়েক জনের সাথে কথা হলে তারা বলেন, আমরা বাজার করতে বের হয়েছি। কাজ ছাড়া বের হইনি, আর মাস্ক তো পরেছি।
কদমতলী থানা এলাকায় দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তা পারভেজ বলেন, আমরা সরকারের দেওয়া কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি। মূল সড়কে ট্রাফিক পুলিশ, র্যাব, আনসার এবং সেনাবাহিনী সবসময় আছে। আর আমরা একটু পর পরই পিকআপ বা সিএনজি নিয়ে ভেতরের গলিগুলোতে টহল দিচ্ছি। বিনা প্রয়োজনে কেউ বের হলে তাকে গ্রেফতার করছি।