প্রযোজক রাজকে সুন্দরী মডেল সরবরাহ করতেন নীলা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চিত্রনায়িকা পরীমনিকাণ্ড ও আলোচিত প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজের ঘটনায় এবার বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গেছে, রাজের রংমহল কিংবা যৌন বিছানায় সুন্দরী মডেল, এয়ার হোস্টেস ও অভিনেত্রী সরবরাহ করতেন নীলা আক্তার রুমা ওরফে রামিসা নামের এক মডেল। কেননা এই তরুণীর ইচ্ছে ছিল সে নায়িকা হবে। নজরুল রাজ তাকে নায়িকা বানাতে চেয়েছিলেন।

গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, প্রযোজক রাজও টোপ দিয়ে উঠতি বয়সি এই তরুণীকে দিয়ে আড়ালে রমরমা যৌন ব্যবসা করতেন। বিনিময়ে অল্প সময়ে তার কোটি কোটি টাকা বনে যায়। ওদিকে, সরল বিশ্বাসে রামিসা নায়িকা হবার স্বপ্নে অপর শুভা, রুবাইয়া, মানসি, পার্শা, মৌরি ও আঁচল, মৃদুলা ও অহনাদের মতো একাধিক নারীদের বিভিন্ন প্রলোভনে আভিজাত ক্লাব ঘুরিয়ে তুলে দিতেন রাজের ‘রাজ মাল্টিমিডিয়া’র অফিসেই। যেখানে র‌্যাবের অভিযানে মিলে মাদক এবং পর্নোগ্রাফি তৈরির সরঞ্জাম।

এমনকি দেশীয় শোবিজের ডজনখানেক মডেল-অভিনেত্রী এয়ার হোস্টেস এই নিষিদ্ধ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার খবর মিলেছে। এমন দেশি-বিদেশি অর্ধশত মডেল-অভিনেত্রীর নাম এসেছে র‍্যাবের হাতে। সেই তালিকায় নাম রয়েছে সমালোচিত রামিসা ও চিত্রনায়িকা শিরিন শিলাও। তালিকায় ছয়জন বিমানবালার নাম এসেছে। যাদের মধ্যে নীলিমা, রুবাইয়া, হুমায়রা, নাদিরা উল্লেখযোগ্য।

র‍্যাব জানায়, পর্নোচক্রে নাম আছে এমন কথিত মডেলদের সবাই র‍্যাবের নজরদারিতে আছেন। তারা যে কোনো সময় গ্রেপ্তার হতে পারেন। শুধু নায়িকা বা মডেল নন, বেশ কয়েকজন চিত্রনায়কও মাদক এবং অবৈধ পর্নোগ্রাফি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।

সূত্র আরও জানায়, রাজধানীর গুলশান, উত্তরাসহ অভিজাত শ্রেণির একাধিক ক্লাবে নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে সদস্য হন এই নীলা আক্তার রুমা ওরফে রামিসা। উদ্দেশ্য হলো একটাই বিত্তশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলা। এটা ছিলো রাজের চক্রে রামিসার গোপন মিশন। এক পর্যায়ে তাদের সঙ্গে খুব ভালো সম্পর্ক তৈরি হলে রাজের হাত ঘুরিয়ে এসব মডেল, শিক্ষার্থী, অভিনেত্রীসহ বিভিন্ন নারী সরবরাহ করতেন যৌন বিছানায়।

গোয়েন্দারা জানান, নীলা আক্তার রুমা নিজেও মাদকাসক্ত। সে বর্তমানে সিলেট অঞ্চলে আছেন। ঢাকায় তার বাসা ও সম্ভাব‍্য ঠিকানায় খোঁজ নেয়ার পর সিলেটে অবস্থানের বিষয়টি জানা যায়। নীলা একজন পেশাদার মডেল এবং সুন্দরী সরবরাহকারী। আলপনা নামের একটি ফ‍্যাশনবিষয়ক ম‍্যাগাজিনের মাধ্যমে সে তরুণী সংগ্রহের নতুন ফাঁদ তৈরি করছে বলেও খবর রয়েছে গোয়েন্দাদের কাছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এক উপ-পুলিশ কমশিনার বলেন, রাজকে আরও কে কে সুন্দরী নারী সরবরাহ করতো এবং তাদের পেছনে আর কে কে আছে সেসব বিষয়ে খতিয়ে দেখা হবে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক লে. কর্নেল খায়রুল ইসলাম জানান, পরীমনি ছাড়াও বেশ কয়েকজন মডেল-অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ পর্নোগ্রাফির অভিযোগ পাওয়া গেছে। হয়তো খুব কম সময়ের মধ্যে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে।

 

প্রসঙ্গত, গত বুধবার রাত সাড়ে আটটার দিকে প্রযোজক ও অভিনেতা নজরুল ইসলাম রাজের বাসায় অভিযান শুরু করে র‌্যাব। পরীমনিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে পাওয়া তথ্যে র‌্যাব ওই অভিযানে যায় বলে জানায়।

প্রায় দুই ঘণ্টার অভিযান শেষে তাকে বনানীর বাসা থেকে আটক করে রাত ১০টা ১৫ মিনিটের দিকে নিয়ে যান র‌্যাব সদস্যরা। রাজের বাসা থেকেও মাদক এবং পর্নোগ্রাফি তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধারের কথা জানায় র‌্যাব।

প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ ও তার সহযোগী সবুজ মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রাজধানীর বনানী থানায় দায়ের করা মাদক মামলায় তাদের এ রিমান্ড মঞ্জুর হয়।

   

তীব্র তাপদাহে সড়কের বিটুমিন গলে যাওয়া, উত্তর খুঁজতে ঘটনাস্থলে দুদক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
তীব্র তাপদাহে যশোরে বিটুমিন গলে যাওয়া, উত্তর খুঁজতে ঘটনাস্থলে দুদক

তীব্র তাপদাহে যশোরে বিটুমিন গলে যাওয়া, উত্তর খুঁজতে ঘটনাস্থলে দুদক

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি মৌসুমে এপ্রিল মাসে দেশজুড়ে ছিল তীব্র তাপপ্রবাহ। এর ফলে যশোরে সড়কের বিটুমিন (পিচ) গলে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। কী কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে তা অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তারই ধারাবাহিকতায় যশোর-নড়াইল মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে গলা বিটুমিন (পিচ) পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে দেখেন দুদকের কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২ মে) দুদকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও জনপদ বিভাগের (সওজ) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে দুদকের উপপরিচালক আল আমিন বলেন, বিটুমিন (পিচ) গলার ঘটনা পরিদর্শনে আমাদেরকে কেন্দ্র থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখানে এসে সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে গলা পিচ পরীক্ষা করেছি। বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত লিপিবদ্ধ করে আমরা প্রধান কার্যালয়ে পাঠাবো।

এসময় উপস্থিত ছিলেন দুদক যশোরের সহকারী পরিচালক চিরঞ্জন নিয়োগী, সহকারী পরিদর্শক সাফিউল্লাহসহ সড়ক বিভাগের দুইজন সহকারী প্রকৌশলী উপস্থিত ছিলেন।

 

;

প্রতীকী মূল্যে বে-টার্মিনালের জন্য ৫০০ একর জমি পেল চট্টগ্রাম বন্দর



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রতীকী মূল্যে বে-টার্মিনাল প্রকল্পের জন্য ৫০০ একর সরকারি খাস জমি বরাদ্দ পেল চট্টগ্রাম বন্দর। বঙ্গোপসাগরের পাড়ে আউটার রিং রোড ঘেঁসে বাস্তবায়নাধীন প্রধানমন্ত্রীর এই অগ্রাধিকারভিত্তিক প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ পাওয়া জমির দাম রাখা হয়েছে মাত্র তিন কোটি তিন টাকা। সরকার নির্ধারিত এই ফি জমা দেওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার (২ মে) বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।

জেলা প্রশাসনের রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর (আরডিসি) পান্না আকতারের সই করা চিঠিতে তিন মৌজায় ৫০০ দশমিক ৭০৬৩ একর জমির বিপরীতে পৃথক তিন চালানে এক কোটি এক টাকা করে তিন কোটি ৩ টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসন থেকে বন্দোবস্ত পাওয়া ৫০০ দশমিক ৭০৬৩ এর জমির মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রাম জেলার দক্ষিণ কাট্টলী মৌজার ৬২ দশমিক ২২৫২ একর, উত্তর হালিশহর মৌজার ৩৩৯ দশমিক ২৬৭৫ একর এবং হালিশহর মৌজায় ৯৯ দশমিক ২১৩৬ একর খাস জমি। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে হালিশহর এলাকার সাগর উপকূলে মোট আড়াই হাজার একর জমিতে গড়ে উঠছে বে টার্মিানাল প্রকল্প।

চিঠি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসনের রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর (আরডিসি) পান্না আকতার। তিনি বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী তিন মৌজায় ৫০০ একর জমির জন্য নির্ধারিত এক কোটি এক টাকা করে তিন কোটি তিন টাকা পৃথক তিন চালানে বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেওয়ার জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

চিঠি পাওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ডেপুটি ম্যানেজার (এস্টেট) মুহাম্মদ শিহাব উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘বে-টার্মিনাল প্রকল্পের জন্য প্রতীকী মূল্যে ৫০০ একর জমি জেলা প্রশাসন থেকে দীর্ঘমেয়াদে বন্দোবস্ত পাওয়া গেছে। এরই মধ্যে সরকার নির্ধারিত মূল্য জমা দেওয়া জন্য জেলা প্রশাসন চিঠি দিয়েছে।’

চট্টগ্রাম বন্দরের বে-টার্মিনাল প্রকল্প বাস্তবায়নে ২০১৬ সাল থেকে ভূমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম শুরু হয়। এরই মধ্যে প্রকল্পের প্রায় জায়গা ভরাট করে ব্যবহার উপযোগী করা হয়েছে। ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর প্রকল্পটির উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ বছরই প্রকল্পটির বাস্তবায়ন শুরু হওয়ার কথা রয়েছে এবং ২০২৬ সালে আংশিকভাবে কার্যক্রম শুরু করারও লক্ষ্য রয়েছে কর্তৃপক্ষের।

;

ওমরায় পাঠানোর কথা বলে টাকা আত্মসাৎ, গ্রেফতার ২



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ওমরায় পাঠানোর প্রলোভনে প্রতারণা ও প্রায় দুই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো গাজীপুর জেলার টঙ্গী পশ্চিম থানার দক্ষিণ আউচপাড়া মৃত আব্দুল মালেকের পুত্র তানভীর আব্দুল হান্নান (৪২) এবং আউচপাড়া সুর তরঙ্গ রোডের আবদার হোসেনের পুত্র শরীফ হোসাইন ঔরফে মাসুম বিল্লাহ (৪৬)।

বৃহস্পতিবার (২ মে) তারাকান্দা থানা পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করে।

তারাকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ ওয়াজেদ আলী ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন আসামীদ্বয় ওমরা হজ্বে পাঠানোর প্রলোভনে মযমনসিংহের তারাকান্দা ফুলপুর, ময়মনসিংহ সদর, টাংগাইল, শেরপুর, নেত্রকোণা উপজেলা সহ সারাদেশের শত শত লোকের কাছ থেকে প্রায় দেড়/দুই কোটি টাকা নিয়ে গত এক বছর আগে লাপাত্তা হয়ে যায়।

মাসুম বিল্লাহ বিশ্বাস অর্জনের জন্য কিছু লোককে গত বছর ওমরা করান এবং তারাকান্দা থানার মাঝিয়ালি গ্রামে কয়েকটি পুকুর ভাড়া নিয়ে ফিশারির ব্যবসা শুরু করে। শত শত লোকের টাকা নিয়ে এক বছর আত্মগোপনে থাকে। হঠাৎ তিন চার দিন আগে আসামিরা তাদের ফিশারিতে এসে মাছ বিক্রি শুরু করলে সংবাদ পেয়ে তারাকান্দা থানা পুলিশ তাদের কে আটক করে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পাওনাদার আরিফ হোসেন নামে বাদী হয়ে তারাকান্দা থানা মামলা দায়ের করেন।

তারাকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ ওয়াজেদ আলী আরও বলেন পুলিশ যথাযথ ভাবে নিয়মিত মামলা দায়ের করে গ্রেফতারকৃত দুইজনকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

;

দেশে উন্মুক্ত কারাগার তৈরির কাজ শুরু হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
দেশে উন্মুক্ত কারাগার তৈরির কাজ শুরু হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

দেশে উন্মুক্ত কারাগার তৈরির কাজ শুরু হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

উন্নত দেশের মতো বাংলাদেশে উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন।

তিনি বলেন, কক্সবাজারের উখিয়ায় উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের কার্যক্রম শীঘ্রই শুরু করা হবে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ তথ্য জানান তিনি।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরনের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, মালয়েশিয়ার কমিউনিটি রিহ্যাবিলিটেশন প্রোগ্রামের (সিআরপি) আদলে উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের জন্য কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলায় ১৬০ একর জমি বন্দোবস্ত পাওয়া গেছে। উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের কার্যক্রম শীঘ্রই শুরু করা হবে। 

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীকে আধুনিকায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশে বর্তমান সরকারের বিগত তিন মেয়াদে ৮৩ হাজার ৫৭৭টি পদ বাড়ানো হয়েছে। স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এসব পদে জনবল নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

তিনি জানান, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে ও অভিযান পরিচালনার জন্য এবং বাংলাদেশ পুলিশকে ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে রূপান্তরের জন্য দুটি অত্যাধুনিক হ্যালিকপ্টার সংযোজনের কার্যক্রম চলমান আছে।

একই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, পুলিশকে স্মার্ট বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের যুগোপযোগী আগ্নেয়াস্ত্র দেওয়া হচ্ছে। পূর্বে ব্যবহৃত পয়েন্ট ৩০৩ রাইফেলের পরিবর্তে বর্তমানে ৭ পয়েন্ট ৬২ মিলিমিটার রাইফেল ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়া পুলিশ সদস্যদেরকে ৭ পয়েন্ট ৬২/৯ এমএম পিস্তল, ৯ এমএম এসএমজি, পয়েন্ট ৪৫ ইঞ্চি এসএমজি, ১২ বোর শটগান, ৩৮ মিলিমিটার টিয়ারগ্যাস, গ্যাসগান বা লঞ্চারসহ প্রয়োজনীয় গোলাবারুদ সরবরাহ করা হচ্ছে।

সরকারি দলের মাহবুবউর রহমানের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, সীমান্তে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকার নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি এরইমধ্যে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) অত্যাধুনিক অস্ত্র, যানবাহন, আকাশযান ও জলযান দিয়ে সুসজ্জিত করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, দেশে প্রথমবারের মতো মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর কর্তৃক ২০২৩ সালের ১১ ডিসেম্বর সাতগ্রাম ব্ল্যাক কোকেন উদ্ধার করা হয়েছে।

সরকার দলের আরেক সংসদ সদস্য মোস্তাক আহমেদ রুহীর প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০২৩ সালে ৯৭ হাজার ২৪১টি মামলা দায়েরপূর্বক ১ লাখ ২০ হাজার ২৮৭ জন আসামিকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। এ সময়ে ৩১ হাজায়ে ৩১ হাজার ৬২২ বোতল ফেনসিডিল, ৭২ দশমিক ৮২৮ কেজি হেরোইন, ১৮৬ দশমিক ৬৩২ কেজি আইস এবং ২ লাখ ৭৫ হাজার ৫৭১ পিস টাপেন্টাডল ট্যাবেলট জব্দ করা হয়েছে।

;