পর্যটন খুলছে আজ, মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে চলমান বিধি-নিষেধ শিথিল করার পর আজ বৃহস্পতিবার থেকে স্বাভাবিক হচ্ছে সারা দেশ। আজ থেকে পুরোদমে সারা দেশে চলবে বাস ও ট্রেন। তবে পর্যটন ও বিনোদনকেন্দ্রগুলো সীমিত আকারে খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখনো বন্ধ থাকছে। সেই সঙ্গে বন্ধ থাকবে সব ধরনের রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কঠোর বিধি-নিষেধ শিথিল হলেও কঠোরভাবেই মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি।
১২ আগস্ট মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব রেজাউল ইসলামের সই করা প্রজ্ঞাপনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ বাদে প্রায় সব কিছুই খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রায় স্বাভাবিক করার সিদ্ধান্ত এলেও কিছু ক্ষেত্রে শর্ত বেঁধে দেওয়া হয়।
জীবিকা ও অর্থনীতির কথা চিন্তা করে আজ থেকে পর্যটন গন্তব্যগুলো খোলার সুযোগ দিয়েছে সরকার। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্র আসনসংখ্যার ৫০ শতাংশ ব্যবহার করে চালু করতে পারবে। যেকোনো প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে অবহেলা পরিলক্ষিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব বহন করবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইতোমধ্যে পর্যটনকেন্দ্রগুলোয় ধোয়ামোছাসহ সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। করোনার কারণে সাড়ে পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর আবার জমে উঠবে দেশের পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্রগুলো- সেই আশা করা হচ্ছে। সরকার চায় স্বাস্থ্যবিধি ও নিয়ম মেনেই চলুক পর্যটনকেন্দ্র। তবে স্বাস্থ্যবিধি মানা নিয়ে শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ গণমাধ্যমকে বলেছেন, সরকারের পক্ষ থেকে যেসব শর্ত আরোপ করা হয়েছে তা কঠোরভাবে মানতে হবে। কেউ স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করলে বা ৫০ শতাংশের বেশি হোটেল কক্ষ ভাড়া দিলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেছেন, পর্যটকরা অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘুরতে যাবেন। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে প্রতিদিনই স্পটগুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী গণমাধ্যমকে বলেছেন, জীবিকা ও অর্থনীতির কথা চিন্তা করে পর্যটনকেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। এতে করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত পর্যটন শিল্প ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ পাবে। হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টগুলো সরকারের নির্দেশনা মানছে কিনা, স্থানীয় প্রশাসন সেটি শক্তভাবে পর্যবেক্ষণ করবে।
এছাড়া আজ থেকে আন্ত জেলা ও সিটি করপোরেশন এলাকায় সব বাস সড়কে চলাচল করতে পারবে। আর আগে থেকে সব লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও তুলনামূলকভাবে লঞ্চে যাত্রীর চাপ কম ছিল। আন্ত নগর ও কমিউটার ট্রেন যোগাযোগ চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ৫০ জোড়া আন্ত নগর ও ৪৪ জোড়া কমিউটার ট্রেন চালানো হবে। এসব ট্রেনের অর্ধেক টিকিট কাউন্টারে আর বাকি অর্ধেক অনলাইনে পাওয়া যাবে। তবে মহামারি মোকাবেলায় ট্রেনে কড়াকড়িভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।