দৌলতপুরে দুই ইউনিয়নের ২০ গ্রাম বন্যার পানিতে প্লাবিত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবিঃ বার্তা২৪.কম

ছবিঃ বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদীর পানি আকস্মিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। উপজেলার দুই ইউনিয়নের অন্তত ২০টি গ্রামে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। এতে গ্রামগুলোর প্রায় ৮ হাজার পরিবারের ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

প্রায় ১শ’ হেক্টর জমির ফসল পানির নিচে তলিয়ে গেছে। নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে পানি বৃদ্ধির হার অব্যাহত থাকায় প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে চরম মানবেতর জীবন-যাপন করছেন পদ্মা চরের মানুষগুলো। এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে দু-তিন দিনের মধ্যেই পদ্মার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করবে বলে অনেকেই আশংকা প্রকাশ করেছেন।

এদিকে মরিচা ইউনিয়নের প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে পদ্মার ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে জিও বস্তা দিয়ে ভাঙন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।

স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি প্রতিদিন প্রায় দশমিক ১২-১৫ সেন্টিমিটার করে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বুধবার বিপৎসীমার দশমিক ৩৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।

এদিকে, দৌলতপুর উপজেলার ভাগজোত পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় দশমিক ১৪ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পদ্মার পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর প্রধান শাখা গড়াই নদীতেও অব্যাহতভাবে পানি বাড়ছে। আরও কয়েক দিন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে বলে পাউবো সূত্র জানিয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিসের মতে, রামকৃষ্ণপুর, চিলমারী ও মরিচা ইউনিয়নের ফসলি জমিতে পানি ঢুকে প্রায় ১শ’ হেক্টর জমির আউস ধান, কলা, পাট অন্যান্য ফসল ক্ষতির মুখে পড়েছে।

সরেজমিনে বন্যা কবলিত এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, চারদিকে শুধু পানি আর পানি।

ছবিঃ বার্তা২৪.কম

আকস্মিক বন্যায় মাঠের ফসলের সাথে সাথে মাথা গোঁজার ঠাঁই টুকুতেও পানি ঢুকে পড়েছে। অনেকের বাড়ির উঠান ও ঘরের মধ্যে পানি ঢুকে পড়ায় বাড়িতে বাস করা দুরূহ হয়ে পড়েছে। জীবন বাঁচানোর তাগিদে ঘরের ভিতরে বাঁশের মাচা ও নৌকার উপর মানুষকে বসে থাকলে দেখা গেছে। কেউ কেউ বাড়িঘর ছেড়ে পরিবার পরিজন নিয়ে স্থানীয় স্কুল-মাদ্রাসা বা উচুঁ জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন।

এদিকে, উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ইতিমধ্যে শত শত একর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে বালি ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলেও ভাঙন নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, সর্বশেষ ২০১৯ সালে পদ্মার পানি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল। তবে গত বছর বন্যার পানি না বাড়ায় কিছুটা স্বস্তিতে ছিলেন পদ্মাপাড়ের মানুষেরা। এবার আবার পদ্মা রুদ্র রূপে আবির্ভূত হয়েছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি পেতে থাকলে অচিরেই লোকালয়ে ঢুকে পড়বে।

স্থানীয় বাসিন্দা ইয়াকুব আলী জানান, দু’দিন আগেও যেসব এলাকা শুকনা ছিল। এখন সেখানে পদ্মার পানিতে থৈ থৈ করছে। অনেকের বাড়িতে রান্না করার জায়গাটুকুও ফাঁকা নেই। ফলে তাদের খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে।

রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিরাজ মন্ডল ও চিলমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ আহমেদ জানান, চরাঞ্চলের অন্তত ২৫টি গ্রামে অধিকাংশ বসতবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। দুই ইউনিয়নের ৮ হাজার পরিবারের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন তারা।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান বলেন, পানিবন্দি মানুষের তথ্য সংগ্রহ করে দ্রুত তাদের সহায়তা করতে স্থানীয় চেয়ারম্যানদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

দৌলতপুর আসনের সাংসদ অ্যাড. আ. ক. ম. সারওয়ার জাহান বাদশাহ বলেন, পদ্মায় হঠাৎ পানি বেড়ে যাওয়ায় উপজেলার চার ইউনিয়নের মানুষ ক্ষতির মুখে পড়েছে। বিশেষ করে চিলমারী ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের বহু মানুষ পানিবন্দি হয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন। সবসময় তাদের খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে। পানিবন্দি এসব মানুষকে বাচাঁতে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি, ঔষধসহ জীবন রক্ষাকারী সামগ্রী প্রয়োজন। চরাঞ্চলের মানুষের নিরাপত্তার জন্য স্থায়ী শেল্টার সেন্টার নির্মাণের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান।

বাংলাদেশ-ইন্দোনেশিয়া বাণিজ্য চুক্তি খুব শিগগিরই: বাণিজ্যমন্ত্রী



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বাংলাদেশ-ইন্দোনেশিয়া বাণিজ্য চুক্তি খুব শিগগিরই: বাণিজ্যমন্ত্রী

বাংলাদেশ-ইন্দোনেশিয়া বাণিজ্য চুক্তি খুব শিগগিরই: বাণিজ্যমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়া মধ্যকার অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি খুব শিগগিরই সম্পাদিত হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

রোববার (২ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হেরু হারতান্তো সুবোলোর সৌজন্য সাক্ষাতকালে তিনি এ আশা ব্যক্ত করেন। ইন্দোনেশিয়ার রাষ্টদূতও চুক্তি সম্পাদনের লক্ষ্যে অগ্রগতি সাধনের বিষয়ে একমত পোষণ করেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, ইন্দোনেশিয়ার সাথে দ্বিপক্ষীয় অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এই চুক্তিকে বাস্তবে রূপ দিতে দুই দেশ ‘ট্রেড নেগোশিয়েন্স কমিটি’ গঠন করেছে এবং এখন পর্যন্ত তিনটি সভা করেছে এবং আগামী মাসে ইন্দোনেশিয়ায় চতুর্থ সভা অনুষ্ঠিত হবে। এই রাউন্ডে আলোচনা চূড়ান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরপরই দুই দেশের বাণিজ্যমন্ত্রী এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করার বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনার উপর জোর দেন।

দুই দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের দ্বারা সম্ভাবনাময় খাতে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ আরও সম্প্রসারণ এবং ত্বরান্বিত করার উপর গুরুত্বারোপ করে টিপু মুনশি দুইদেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের মধ্যে আরও ঘন ঘন যোগাযোগের পরামর্শ দেন যাতে করে তারা সম্ভাবনাময় খাত চিহ্নিত করা এবং বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি করা যেতে পারে।

বিশেষ করে আরএমজি, ফার্মাসিউটিক্যালস, চামড়াজাত পণ্যসহ ছাড়াও অন্যান্য বাংলাদেশি পণ্যের প্রবেশের অনুমতি দিয়ে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার আহবান জানান তিনি। এপ্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৭৮.৫৭ মিলিয়ন ইউএস ডলারের পণ্য ইন্দোনেশিয়ায় রফতানি করে। অন্যদিকে দেশটি থেকে আমদানি করেছে প্রায় তিন হাজার ৮২ ইউএস ডলার সমমূল্যের পণ্য। এই বিশাল বাণিজ্য ঘাটতিকে ভারসাম্য পর্যায়ে আনতে আরো বেশি বাংলাদেশি পণ্য ইন্দোনেশিয়ার বাজারে প্রবেশের সুযোগ করার ব্যবস্থা গ্রহণে দেশটির প্রতি আহবান জানান।

ইন্দোনেশিয়ায় বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা সহজীকরণ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, উভয়ের দেশের সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ, বন্ধুপ্রতীম এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ। দুই দেশই পর্যটন খাতে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। ভিসা প্রক্রিয়া সহজীকরণের মাধ্যমে উভয় দেশের ভ্রমণপিপাসু মানুষ ভ্রমণ করার সুযোগ পাবে এবং অর্থনীতিতে অবদান রাখবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী দুই দেশের ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর মধ্য সম্পর্ক উন্নয়ন এবং বাণিজ্য প্রসারে এপেক্স চেম্বারের মধ্যে এমওইউ স্বাক্ষর আহবান জানালে ইন্দোনিশিয়ার রাষ্ট্রদূত সম্মত হন এবং সহযোগিতার ব্যাপারে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

এসময় রাষ্ট্রদূত হেরু হারতান্তো সুবোলোর বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে। স্বল্পোন্নত দেশে থেকে উন্নয়নশীল দেশে রুপান্তরিত হয়েছ। এবাংলাদেশে বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে তিনি জানান বাংলাদেশে পামওয়েল রিফাইনারি স্টেশন স্থাপনের বিষয়ে ইন্দোনেশিয়ার ব্যবসায়ীগণ ইচ্ছুক।

এছাড়া, সাক্ষাৎকালে তারা ইন্দোনেশিয়া- বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, অর্থনীতি-কূটনীতি, বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম, বাংলাদেশের ধর্মীয় সম্প্রীতি, কোভিড পরবর্তী এবং ইউক্রেন-রাশিয়া সংকটের মধ্যে বাংলাদেশের স্থিতিশীল অর্থনৈতিক অবস্থা, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

;

আগামীতে হজের খরচ আরও বাড়বে: ধর্ম মন্ত্রণালয়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী বছরগুলোতে হজের খরচ আরও বাড়বে। এ জন্য চলতি বছরই হজ নিবন্ধনের অনুরোধ জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

রোববার (২ এপ্রিল) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে- বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ও সৌদি আরবের হেরেম শরীফের নিকটবর্তী বিভিন্ন হোটেল ভেঙে ফেলায় এ বছর হোটেল ভাড়া নেওয়ার সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে এবং অধিক পরিমাণ অর্থে হোটেল ভাড়া করা হচ্ছে।

আরও বলা হয়, সার্বিক বিবেচনায় বিভিন্ন কারণে এ বছরের হজ প্যাকেজকে হ্রাসকৃত প্যাকেজ হিসেবে ধরা যায় এবং সেই বিবেচনায় একই ধারাবাহিকতায় বলা যায় যে, আগামী বছরগুলোয় হজ প্যাকেজের মূল্য আরও বৃদ্ধি পাবে। কারণ, ভেঙে ফেলা বাড়ি/হোটেলসমূহ আবার গড়ে তুলতে আরও ২ থেকে ৩ বছর লাগবে।

এ জন্য চলতি বছরের ঘোষিত হজ প্যাকেজই সর্বনিম্ন হিসেবে বিবেচনা করা যায়। একই বিষয় বিবেচনায় হজযাত্রীদের এ বছরই হজ প্যাকেজে নিবন্ধিত হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

;

বিএনপি 'জয় বাংলা' স্লোগান দেয় না: কৃষিমন্ত্রী



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা বার্তায় 'জয় বাংলা' উল্লেখ করেছেন, মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনে লড়াইয়ের জন্য বাংলাদেশের মানুষের সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন। আর দেশে বিএনপি জামায়াতসহ স্বাধীনতাবিরোধীরা 'জয় বাংলা' স্লোগান মুখে আনে না ও দেশের স্বাধীনতাকে ভূলুণ্ঠিত করতে নানান ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি, দেশটাকে স্বাধীন করেছি। জয় বাংলা স্লোগান হলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বহিঃপ্রকাশ ও বাঙালি জাতির সাহস সক্ষমতার প্রতীক। অসাম্প্রদায়িক চেতনা, গণতান্ত্রিক চেতনা ও সম্পদের সুষম বণ্টনের চেতনার বহিঃপ্রকাশ হলো জয় বাংলা স্লোগান। এই স্লোগান বিএনপি দিবে না।

রবিবার (২ এপ্রিল) টাঙ্গাইলের মধুপুরে উপজেলা অডিটোরিয়ামে এবি ব্যাংক আয়োজিত স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে কৃষিঋণ বিতরণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বিগত ১৪ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। দেশ থেকে মঙ্গাকে দূর করেছে। মানুষ এখন পেট ভরে ভাত খেতে পায়। একইসঙ্গে, মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, ফলমূলসহ পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবারের মাথাপিছু প্রাপ্যতা ও গ্রহণের হার অতীতের যেকোন সময়ের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এবারের স্বাধীনতা দিবসে মাছ, মাংস আর চালের স্বাধীনতা নিয়ে অপপ্রচারমূলক সংবাদ প্রচার করে স্বাধীনতার চেতনায় ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতাবিরোধী চেতনাকে উসকে দেয়া হয়েছে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভুল সংবাদ পরিবেশন ও মিথ্যাচার করে দেশে অরাজকতা ও অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করেছে।

কৃষিঋণ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, সরকার কৃষিখাতে মাত্র চার শতাংশ সুদে ঋণ দিচ্ছে। কিন্তু ব্যাংকগুলো নানান কঠিন শর্ত দিয়ে রেখেছে। অনেক সময়ই এসব শর্ত কৃষকেরা বিশেষ করে ক্ষুদ্র, প্রান্তিক ও ভূমিহীন কৃষকেরা পূরণ করতে পারে না। এর ফলে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেজন্য, প্রকৃত কৃষককে সহজ শর্তে
ঋণ দিতে হবে।

কৃষিঋণের যথাযথ ব্যবহারের আহ্বান জানিয়ে কৃষকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ঋণ নিয়ে কৃষিকাজে উৎপাদনশীল খাতে কাজে লাগাতে হবে।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী কৃষকদের মাঝে কৃষিঋণ বিতরণ করেন ও স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে সহজ শর্তে কৃষকদের ঋণ দেয়ায় এবি ব্যাংককে ধন্যবাদ জানান । এবি ব্যাংক সহজ শর্তে মাত্র শতকরা চার ভাগ সুদে
মধুপুর ও ধনবাড়ী উপজেলার ১৫০০ কৃষকের মাঝে কৃষিঋণ বিতরণ করে। প্রতি কৃষককে এক লাখ টাকা ঋণ প্রদান করা হয়।

এবি ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আফজালের সভাপতিত্বে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার, মধুপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছরোয়ার আলম খান আবু, ধনবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনার রশীদ হীরা, মধুপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীমা ইয়াসমিন, পৌরমেয়র সিদ্দিক হোসেন খান, ধনবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মীর ফারুক আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম তপন প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

;

৮ বিভাগে হচ্ছে নিউরো প্রতিবন্ধীদের জন্য স্থায়ী নিবাস: সমাজকল্যাণমন্ত্রী



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
৮ বিভাগে হচ্ছে নিউরো প্রতিবন্ধীদের জন্য স্থায়ী নিবাস: সমাজকল্যাণমন্ত্রী

৮ বিভাগে হচ্ছে নিউরো প্রতিবন্ধীদের জন্য স্থায়ী নিবাস: সমাজকল্যাণমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, নিউরো-ডেভেলেপমেন্টাল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য স্থায়ী আবাসন ও পুনর্বাসন কেন্দ্র নির্মাণে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের ৮টি বিভাগীয় শহরে ৮টি আবাসন ও পুনর্বাসন কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।

রোববার (২ এপ্রিল) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ১৬তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

সমাজকলাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মোঃ আশরাফ আলী খান খসরু ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি।

মন্ত্রী বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা যে দেশের সম্পদ তা বর্তমান সরকারের নানা কর্মকাণ্ডের কারণে মানুষ বুঝতে সক্ষম হয়েছে। আগে প্রতিবন্ধিতা মানে অভিশাপ মনে করা হতো। বর্তমানে দেশে শনাক্তকৃত প্রতিবন্ধীর সংখা প্রায় ত্রিশ লাখ। শনাক্তকৃত প্রতিবন্ধী ব্যক্তির শতভাগ ভাতা ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তি পাচ্ছেন। অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ও অন্যান্য নিউরো-ডেভেলেপমেন্টাল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য থেরাপি সেবা, বিশেষ শিক্ষা, মাতা-পিতা ও কেয়ারগিভারদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, আবাসন ও পুর্নবাসনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ৮টি বিভাগে ৮টি আবাসন ও পুনর্বাসন কেন্দ্র স্থাপনের নির্দেশনা দেন। এনডিডি ব্যক্তিরা যেন উন্নত ও নিশ্চিত জীবনযাপন করতে পারে সে লক্ষ্যে কেন্দ্র সমূহ হবে আধুনিক প্রযুক্তিগত সকল সুযোগ সুবিধা সম্বলিত একটি ওয়ানস্টপ সেন্টার।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, সমাজের কোন অংশকে বাদ দিয়ে উন্নয়ন সম্ভব নয়। অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ও সহযোগিতা দিয়ে দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে অটিজম নিয়ে কাজ করার জন্য প্রতিমন্ত্রী তার বক্তব্যে আহবান জানান।

অপর বিশেষ অতিথি রাশেদ খান মেনন এমপি বলেন, এনডিডি নিয়ে ২০১৩ সালে আইন প্রণয়ণের পর থেকে এ ধরণের প্রতিবন্ধিতা বিষয়ে সচেতনতা বেড়েছে। সরকারের নানামুখি উদ্যোগের কারণে তারা সমাজের মূল স্রোতে এসেছে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়নে পরিচালিত কর্মসূচি আরও বেগবান করতে হবে।

পরে মন্ত্রী অটিজম বিষয়ে বিশেষ অবদান রাখায় ১০ ব্যক্তি ও ৩ প্রতিষ্ঠানের হাতে সম্মাননা তুলে দেন। শেষে অটিজম বিশিষ্ট সম্পন্ন শিশুদের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।

;