যত বেশি সময় শিশুরা স্কুলের বাইরে থাকবে ফেরার সম্ভাবনা তত কমে যাবে

  • নিউজ ডেস্ক, বার্তা ২৪
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

যত বেশি সময় শিশুরা স্কুলের বাইরে থাকবে, সহিংসতা, শিশুশ্রম ও বাল্যবিয়ের ঝুঁকির কারণে তাদের স্কুলে ফেরার সম্ভাবনা তত কমে যাবে বলে ইউনিসেফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। তারা বলছে, দীর্ঘ সময় সরাসরি পাঠদান বন্ধ থাকলে পড়াশোনার পাশাপাশি শিশুদের স্বাস্থ্য, সুরক্ষা ও মনস্তাত্ত্বিক সুস্থতার ওপর গুরুতর প্রভাব পড়ে।

ইউনিসেফ করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকা স্কুলগুলো দ্রুত খুলে দিতে এবং শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সহায়তার জন্য বিস্তৃত পরিসরে পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছে। গত মঙ্গলবার জাতিসংঘের শিশু তহবিলের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই আহবান জানানো হয়।

বিজ্ঞাপন

প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে দীর্ঘ সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত চার কোটির বেশি শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নিরাপদে স্কুল আবার খুলে দেওয়া এবং সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পড়াশোনার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বিনিয়োগ করাকে অগ্রাধিকার দেওয়া আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের আজকের এই সিদ্ধান্ত এই শিশুদের পুরো জীবনকে প্রভাবিত করবে।

ইউনিসেফ বলছে, বিশ্বব্যাপী দেশগুলো দূরশিক্ষণ পদ্ধতিতে শিক্ষা প্রদানের জন্য কিছু পদক্ষেপ নিলেও প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের কমপক্ষে ২৯ শতাংশের কাছে এই শিক্ষা পৌঁছানো যাচ্ছে না। মহামারি শুরুর পর বিশ্বের ১৬ কোটি ৮০ লাখ শিক্ষার্থীর জন্য স্কুলগুলো প্রায় পুরো বছর বন্ধ ছিল। ফলে অনেক শিশুকে ঝরে পড়ার উচ্চ ঝুঁকি, শিশুশ্রম ও বাল্যবিয়ের মতো পরিণাম ভোগ করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

বিশ্বব্যাংকের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, সমাধানমূলক পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা না হলে এই পুরো প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ আয়ের ক্ষেত্রে যে পরিমাণ ক্ষতি হবে, তা প্রায় ১০ ট্রিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ।

বিশ্বব্যাংক ও ইউনেসকোর সঙ্গে মিলে ইউনিসেফ স্কুলগুলো আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য তিনটি অগ্রাধিকারের প্রতি মনোযোগ দিতে বলছে সরকারগুলোকে। সেগুলো হচ্ছে—সব শিশু ও তরুণদের স্কুলে ফিরিয়ে আনতে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যভিত্তিক কর্মসূচি প্রণয়ন, শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করতে কার্যকর প্রতিকারমূলক শিক্ষার ব্যবস্থা করা এবং শিক্ষার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ও শিক্ষাদানপ্রক্রিয়ায় ডিজিটাল প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত করা। এ জন্য শিক্ষকদের সহায়তা দেওয়ার পরামর্শও প্রদান করা হয় প্রতিবেদনে।