হাঁটু পানি ভেঙে ত্রাণের খোঁজে তারা!
নদী বেষ্টিত গাইবান্ধা জেলার ৪ উপজেলায় দেখা দিয়েছে বন্যা। এর প্রভাবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে সহস্রাধিক মানুষ। এসব মানুষদের মধ্যে নিম্ন আয়ের পরিবারে দেখা দিয়েছে খাদ্যাভাব। তাই অনেকে ক্ষুধার জ্বালায় হাঁটু পানি ভেঙে ত্রাণের খোঁজে ছুটছেন।
বৃহস্পতিবার (২ আগস্ট) বিকেলে ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের গলনার চরে দেখা যায় পানিতে নেমে ত্রাণের সন্ধানে ছুটে চলা মানুষের জীবনচিত্র।
এসময় কথা হয় কাজিম উদ্দিন ব্যাপারী নামের এক বন্যার্তের সঙ্গে। তিনি জানান, একদিন শ্রম বিক্রি না করলে পেট চলে না। এরই মধ্যে বানের পানি ঢুকেছে ঘরবাড়িতে। ফলে বন্ধ হয়েছে কাজকর্ম। পড়েছেন খাদ্য সংকটে। গজারিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ত্রাণ দেবেন, এমন খবর জেনে, সেটি সংগ্রহের আশায় পানি ভেঙে আসছেন তিনি। শুধু কাজিম উদ্দিনই নয়, একই এলাকার আরও বেশ কিছু ভুক্তভোগী নারী-পুরুষ হাঁটু পানি ভেঙে খাবারের সন্ধান করছেন।
গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে গলনার চরে বন্যার্তদের মাঝে দেওয়া হয় ১০ কেজি করে চাল। এসময় ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিএম সেলিম পারভেজ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু রায়হান দোলন, উপজেলা প্রকৌশলী ইমতিয়াজ আহম্মেদ ও ইউপি চেয়ারম্যান সামছুল আলম উপস্থিত ছিলেন। তারা বন্যা দুর্গত ৫০টি পরিবারের প্রত্যেককে ১০ কেজি করে চাল দেন। তবে এটি চাহিদার চেয়ে অপ্রতুল।
ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিএম সেলিম পারভেজ বলেন, এ উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত। দুর্গত মানুষদের জন্য যে পরিমাণ ত্রাণ বরাদ্দ রয়েছে সেগুলো বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।