জিয়ার কবর: ফের উত্তপ্ত রাজনীতি, কিছুই চূড়ান্ত না



শাহজাহান মোল্লা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
সংসদ ভবন এলাকায় জিয়াউর রহমানের করব

সংসদ ভবন এলাকায় জিয়াউর রহমানের করব

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় সংসদের মূল নকশায় কোথাও মাজার বা কবরস্থানের উল্লেখ না থাকলেও রাজনৈতিক ইচ্ছায় গড়া হয় জিয়াউর রহমানের মাজার। একইভাবে আরো ৭ জনের কবরস্থান গড়া হয় সংসদ এলাকাতেই। কাজেই মূল নকশায় ফেরত যেতে হলে সিদ্ধান্তটি আসতে হবে রাজনৈতিক ভাবেই। সম্প্রতি ‘চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়ার কবরে জিয়া লাশ নেই’ বলে মন্তব্য করে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর সরকারি দলের মন্ত্রী, এমপিগণ কবর সরানো ও জিয়ার কবরে জিয়ার লাশ থাকা না থাকা নিয়ে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন। জিয়াউর রহমানের গড়া দল বিএনপি থেকেও পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানানো হচ্ছে। তবে বাইরে আলোচনা যতটাই গরম ভেতরের পরিস্থিতি ততটাই শীতল।

সংসদের বাইরে বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক বক্তব্য আসলেও সংসদ সচিবালয় বা সংসদ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন। অনেকেই বলেছেন কবর দেওয়ার সিদ্ধান্ত যেমন রাজনৈতিক ছিল, কবর সরানোর সিদ্ধান্তও আসতে হবে সর্বোচ্চ মহল থেকে। অর্থাৎ সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের ওপরই নির্ভর করছে চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের কথিত মাজার থাকবে কি থাকবে না।

বিষয়টি নিয়ে সংসদ সচিবালয় বা সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে সবার উত্তরে একই সূর! বিষয়টি নিয়ে তারা কেউ কিছুই জানেন না বলে মন্তব্য করেছেন।

সংসদ ভবন এলাকার মূল নকশা

সংসদ এলাকায় জিয়াউর রহমানের কবরসহ অন্যান্য স্থাপনা সরানোর কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কিনা জানতে চাইলে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘না, আমার জানামতে এরকম কোন সিদ্ধান্ত নাই’।

নকশার আলোকে সবকিছু সাজানো হবে এরকম কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কিনা? ‘আমি তো বললামই এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না’।

এর আগে বিষয়টি নিয়ে একবার আলোচনা উঠলে তখন সংসদ চত্বরে কবর থাকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া বার্তা২৪.কম-কে বলেছিলেন, ‘সংসদ চত্বরের ভেতরে কারো মাজার বা কবর থাকতে পারে না। এসব কবর দ্রুত সরিয়ে ফেলা দরকার। যার যার জন্মস্থানে কবরগুলো সরিয়ে দিলেই কোন ঝামেলা থাকে না।’

বর্তমানে ডেপুটি স্পিকার চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে থাকায় নতুন করে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘সংসদে এ ব্যাপারে এখনো আলোচনা হয়নি। এটা মূলত আসবে পূর্ত বিভাগ হয়ে।’

সাম্প্রতিক আলোচনার পর জিয়াউর রহমানের কবরসহ নকশা বর্হিভুত অন্যান্য স্থাপনা সরিয়ে নেবার কোন আলোচনা বা পরিকল্পনা আছে কিনা? জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার নলেজে নাই। অন্যেরটা বলতে পারব না। এটা নিতে হলে সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেবে। আমি সংসদ নিয়ে ব্যস্ত, এই সাবজেক্টে না। এটা সংসদ নেতা, স্পিকার ও মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত; আমি জানি না।’

বিভিন্ন দিবসে জিয়ার কবরে শ্রদ্ধা জানাতে নেতা কর্মীদের ভিড় জমে

জাতীয় সংসদের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (ই/এম) মো. আবুল কালাম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘এ ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত আমার জানা নেই। নকশা নিয়ে কোন আলোচনাই হয়নি। তাছাড়া আমরা এই সংশ্লিষ্ট লোকও না। আমরা নতুন কোন প্রজেক্ট হলে সেটা বাস্তবায়ন করি আর সেটার প্লান ঠিক করে স্থাপত্য বিভাগ, আমরা শুধু প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করি। গণপূর্তের কাজ হচ্ছে মাস্টার প্লান বাস্তবায়ন করা।’

নকশা আনার ক্ষেত্রে সবার চাইতে বেশি ভূমিকা পালন করেছেন স্থাপত্য অধিদপ্তরের সাবেক স্থপতি প্রধান কাজী গোলাম নাসির। তিনি বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘আমি তো এখন দায়িত্বে নেই, কাজেই আমি সবশেষ তথ্য জানি না। আমাদের নির্দেশনা ছিল নকশা আনার, আমরা এনেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় স্পিকারকে সঙ্গে নিয়ে নকশা দেখেছেন। এখন কি করবেন, না করবেন সে বিষয়ে আমাদের কখনো কোন নির্দেশনা দেননি।’

জাতীয় সংসদের মূল নকশা আনার সঙ্গে সার্বক্ষণিক যুক্ত ছিলেন জাতীয় সংসদের সাবেক অতিরিক্ত সচিব আ. ই. ম. গোলাম কিবরিয়া।

তিনি বার্তা২৪.কম-কে বলেন, নকশা আইনা রাখল, এরপর আর তেমন কিছু হয় নাই। আনার পর আমরা কেউ সরব থাকি নাই। স্পিকার মহোদয় বিজ্ঞ ব্যক্তি উনি ওটাকে সুন্দরভাবে ইয়ে করে রেখে দিয়েছেন। একেবারেই উপরের লেভেলে লোক আছেন মাননীয় সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া উনি (স্পিকার) অন্য কারো কথায় সিদ্ধান্ত নেন না। আমরাও নেই না। রাষ্ট্রের জিনিসটা আসছে আমরা ওটাইতে খুশি। এটার লক্ষ্য কি? কি করবে না, কি করবেন, কি করা যাবে, কি করা যাবে না এগুলো আমাদের লক্ষ্য ছিল না। আমাদের লক্ষ্য ছিল নকশা আনা।’

সংসদ ভবন এলাকা

জিয়াউর রহমানের কবরসহ অন্যান্য স্থাপনা সরানো নিয়ে কি কখনো আলোচনা ছিল? এ বিষয়ে গোলাম কিবরিয়া বলেন, এ ব্যাপারে সংসদ নেতা ওইভাবে সরাসরি কিছু বলেন নাই। আর সরকার কি চাইছে সবকিছু আমাদের জানা নেই।’

সংসদ নেতা কি কখনো কবর সরানোর কোনো ইঙ্গিত দিয়েছিলেন প্রসঙ্গে সাবেক অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘না, না, কখনো এ ব্যাপারে লিখিত কোন রকমের আঁচও দেন নাই।”

স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থাপতি মীর মঞ্জুর রহমান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, “আমি এখানে খুব বেশি দিন আসি নাই। আমি বিষয়টি সম্পর্কে কিছুই জানি না।”

বিশ্বখ্যাত ফরাসি স্থপতি লুই আই কানের মূল নকশায় সংসদ ভবন এলাকায় কারো সমাধি গড়ার কোন সুযোগ না থাকলেও জিয়াউর রহমান ও হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনামলে এসব মাজার-কবর গড়ে ওঠে। এর মধ্যে সংসদ ভবনের উত্তরে ৭৪ একর জায়গা জুড়ে নির্মিত চন্দ্রিমা উদ্যানের মাঝখানে বিশাল এলাকা নিয়ে গড়ে তোলা হয় জিয়ার মাজার কমপ্লেক্স। আর জিয়া ও এরশাদের শাসনামল মিলিয়ে সংসদ ভবনের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে মানিক মিয়া এভিনিউ এর পশ্চিম প্রান্ত লাগোয়া স্থানে পাঁচ বিঘারও বেশি জায়গাজুড়ে ‘জাতীয় কবরস্থান’ নাম দিয়ে আরো অন্তত সাতজনকে সমাধিস্থ করা হয়। এদের মধ্যে ১৯৭৯ সালে সাহিত্যিক ও সাংবাদিক আবুল মনসুর আহমদ ও রাজনীতিক মসিউর রহমান যাদু মিয়া, ১৯৮০ সালে তমীজ উদ্দিন খান, ১৯৮২ সালে খান এ সবুর, এবং ১৯৯১ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী আতাউর রহমান খানকে কবর দেওয়া হয়। প্রত্যেকের কবরে তোলা হয় পাকা সমাধিসৌধ।

এছাড়া নাম-পরিচয়ের সাইনবোর্ডহীন আরো দু’টি কবর দেখা যায় এই ‘জাতীয় কবরস্থানে’। এর একটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শাহ আজিজের। শাহ আজিজসহ এদের অধিকাংশের নামেই স্বাধীনতাযুদ্ধে বিতর্কিত ভূমিকা পালনের অভিযোগ রয়েছে।

জাতীয় সংসদ ভবন

কখন কিভাবে মূল নকশার আলোচনা শুরু:

এসব মাজার-কবর নিয়ে শুরু থেকেই সমালোচনা উঠে। মূল নকশার ব্যত্যয় ঘটিয়ে এভাবে মাজার-কবর গড়ায় সংসদের সৌন্দর্য্য নষ্ট হয়। সংসদের নিরাপত্তা ও সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি লুই আই কান এর মূল নকশা সংগ্রহের নির্দেশ দেন সংসদ সচিবালয়কে।

সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৭৪ সালে লুই আই কান যখন মূল নকশাটি করেন, তখন ২৭টি মন্ত্রণালয়ের জন্য এ পরিকল্পনা করেন। তখন সেখানে মসজিদ ছিল, মাঝে বাগান ছিল, চন্দ্রিমা উদ্যানের ওখানে একটি বড় সড়ক ছিল, এর সামনে লেক ছিল, এরপর সংসদ ভবন ছিল। তাই অনুলিপি ধরে নয়, ১৯৭৪ সালের মূল নকশা ধরে সচিবালয়সহ সব কিছু করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

১৯৭৪ সালে শেরেবাংলা নগরে ৪২ একর জায়গায় জাতীয় সচিবালয় নির্মাণের জন্য সরকার ও মার্কিন কোম্পানি ডেভিড উইসডম অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসের সঙ্গে চুক্তি হয়। পরে এর কোনো অগ্রগতি হয়নি। ওই এলাকায় এরই মধ্যে ১০ একর জমিতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। জমি কমে যাওয়া এবং বর্তমানের চাহিদা বিবেচনায় লুই আই কানের নকশা স্থাপত্য অধিদপ্তর কিছুটা সংশোধন করেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, লুই আই কানের মূল নকশার প্রথম ধাপ ছিল ২০৮ একর জায়গার ওপর জাতীয় সংসদ ভবন নির্মাণ। যার সামনে ও পেছনেও বিস্তীর্ণ সবুজ খোলা মাঠ থাকবে। চারদিকে আট লেনের সড়ক, মাঝখানেও লেক। দ্বিতীয় ধাপে লেকের পর বিস্তীর্ণ সবুজ। এছাড়া বাকি জায়গায় গড়ে তোলা হবে সচিবালয়, লাইব্রেরি, জাদুঘর, হাসপাতালসহ প্রশাসনিক ও সাংস্কৃতিক বলয়।

লুই আই কানের নকশা ক্ষত-বিক্ষত করার প্রক্রিয়া এখানেই থেমে থাকেনি। ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসে বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার। ওই সরকারের গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী হন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। লুই আই কানের নকশা উপেক্ষা করে আসাদগেটের উল্টো দিকে অবস্থিত সংসদ ভবনের জায়গায় একটি পেট্রলপাম্প স্থাপনের জন্য তিনি তার ছোট ভাই মির্জা খোকনকে জায়গা বরাদ্দ দেন।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের মাঝামাঝি সময়ে আরও এক দফা ক্ষত-বিক্ষত করা হয় লুই আই কানের মূল নকশা। ওই সময় সংসদ ভবনের মূল ভবনের পাশেই খোলা সবুজ চত্বরে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের বাসভবন নির্মাণ করা হয়।

জাতীয় সংসদের ইতিকথা:

১৯৬১ সালে পাকিস্তানের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আইয়ুব খানের আমলে বর্তমান সংসদ ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হয়। সে সময় স্থপতি মাজহারুল ইসলামকে এই ভবনের স্থপতি নিয়োগ করা হয়। তার প্রস্তাবেই লুই আই কান এই প্রকল্পের প্রধান স্থপতি হিসেবে নিয়োগ পান। দীর্ঘ সাধনার পর ১৯৮২ সালের ২৮ জানুয়ারি এ ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়।

   

রাতের মধ্যে রাজধানীসহ ১৩ অঞ্চলে বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রাতের মধ্যে রাজধানীসহ ১৩ অঞ্চলে বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা

রাতের মধ্যে রাজধানীসহ ১৩ অঞ্চলে বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের ১৩ অঞ্চলে রাতের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেল ৪টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুকের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ঢাকা, ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেট এবং ময়মনসিংহ অঞ্চলগুলোর উপর দিয়ে পশ্চিম থেকে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে, বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এছাড়া মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

পাশাপাশি এই সময় সারাদেশের দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

;

বিডিএস দেশের ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিডিএস দেশের ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী

বিডিএস দেশের ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

সারা দেশে আরও ১ হাজার ৩৩৩টি শহর ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। 

তিনি বলেন, বিডিএস (বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে) বাংলাদেশের ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে। 

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক বিশেষ ‘প্রকল্প পর্যালোচনা সভা’য় অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, বিডিএস বাস্তবায়িত হলে ম্যাপসহ মালিকানাভিত্তিক খতিয়ান চালু করা সম্ভব হবে এবং খতিয়ানে দাগ শেয়ার করতে হবে না। ম্যাপ সংযুক্ত মালিকানাভিত্তিক খতিয়ান প্রণয়ন করা সম্ভব হলে ভূমি নিয়ে মামলা-মোকাদ্দমা ও সীমানা বিরোধ অনেকাংশে কমে যাবে।

এ সময় বিডিএসকে একটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হিসেবে উল্লেখ করে তিনি সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালককে অগ্রাধিকার দিয়ে যথাযথ গুরুত্ব সহকারে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন।

সভায় অবহিত করা হয় যে চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, রাজশাহী সিটি করপোরেশন, মানিকগঞ্জ পৌরসভা এবং ধামরাই ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় ইডিএলএমএস প্রকল্পের (ইস্টাবলিশমেন্ট অব ডিজিটাল ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম প্রকল্প) মাধ্যমে বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

খুব শিগগিরই আরেকটি প্রকল্পের রিভিউ শেষ হলে পটুয়াখালী, বরগুনা, পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও গোপালগঞ্জ জেলার ৩২টি উপজেলায়ও বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে দুটি প্রকল্পের মাধ্যমে সারা বাংলাদেশে 'বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে' পরিচালনা করা হবে বলেও সভায় জানানো হয়।

ভূমিসচিব খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে পর্যালোচনা সভায় ভূমি মন্ত্রণায়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) জিয়াউদ্দীন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

;

সাভারে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

সাভারে শহিদুল ইসলাম নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাতে খুন করেছে দূর্বৃত্তরা। নিহতের নিথর দেহ উদ্ধার করে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাত ৮ টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করে সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন্স) নয়ন কারকুন। এর আগে দুপুরের দিকে সাভার পৌরসভার সোবহানবাগ আমতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মো. শহিদুল ইসলাম (২৪) চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট থানার চরধরমপুর গ্রামের সাইদুলের ছেলে। তিনি সাভারের সোবহানবাগ আমতলা এলাকায় ভাড়া থাকতেন। পেশায় ছিলেন দন্ত চিকিৎসকের সহকারী।

হত্যাকান্ডের কারণ বা এর সাথে কারা জড়িত তা এখনও বলতে পারেনি পুলিশ। তবে ধারণা করা হচ্ছে পূর্ব শত্রুতার জেরে এ হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে।

পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন্স) নয়ন কারকুন বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে। প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে পূর্ব শত্রুতার জেরে এ হত্যাকান্ড হয়েছে। কিশোর গ্যাংয়ের কোন সম্পৃক্ততা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনই কিছু বলা যাচ্ছেনা। তদন্ত করে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

;

মৎস্য খাতের উন্নয়নে ১৭২ কোটি টাকা অনুদান দিচ্ছে জাপান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
মৎস্য খাতের উন্নয়নে ১৭২ কোটি টাকা অনুদান দিচ্ছে জাপান

মৎস্য খাতের উন্নয়নে ১৭২ কোটি টাকা অনুদান দিচ্ছে জাপান

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের কক্সবাজার জেলার মৎস্য খাতের উন্নয়নে ২ হাজার ২৯৪ মিলিয়ন ইয়েন (১৭২ কোটি টাকা) অনুদানের কথা জানিয়েছে জাপান।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী ও বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইয়োমা কিমিনোরির এ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।

বাংলাদেশস্থ জাপানের দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কক্সবাজার জেলার মৎস্য খাতের উন্নয়নের জন্য এ অনুদান দিয়েছে জাপান। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) প্রকল্পের আওতায় এ অর্থ ব্যয় হবে।

অনুদান প্রসঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) জানিয়েছে, জাপান সরকারের অনুদানে মৎস্য আহরণ, উপকূলে অবতরণ এবং হস্তান্তরে দক্ষতা বাড়ানো হবে। এছাড়া কক্সবাজারে বিএফডিসির মৎস্য আহরণ কেন্দ্রের অবকাঠামো উন্নয়ন এবং মাছ ধরার যন্ত্রপাতি উন্নত করার মাধ্যমে মৎস্য আহরণ ও উপকূলে অবতরণের মান উন্নয়ন, জেলেদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং বিতরণ ব্যবস্থায় উন্নতিতে ব্যয় হবে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত কিমিনোরি বলেন, এ অনুদানের অর্থ বাংলাদেশের ব্লু ইকোনমিকে সমৃদ্ধির পাশাপাশি কক্সবাজার অঞ্চলের মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটাবে। পাশাপাশি এ অনুদানের অর্থ দেশে রোহিঙ্গা নিয়ে যে অর্থনৈতিক সংকট চলছে সেটিরও প্রশমন ঘটাবে।

;