পাঠাগার দখল করে দোকান নির্মাণ

  • নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

মানিকগঞ্জে দৌলতপুরে পাঠাগারের জন্য দান করা জমি দখল করে দোকান নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। পাঠাগার সরিয়ে না নেওয়া হলে পরিচালনাকারীকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে দখলকারীরা।

জানা যায়, বেশ কয়েক বছর আগে উপজেলার ধামশ্বর ইউনিয়নে আফরোজা আক্তার স্মৃতি পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করেন স্থানীয় যুবক রবিউল আলম। ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের বিলপৌলী গ্রামে প্রতিষ্ঠিত পাঠাগারে ধীরে ধীরে স্থানীয়রা সম্পৃক্ত হতে থাকে।

বিজ্ঞাপন

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুরুতে অনেকদিন ভাড়া করা ঘরে চলছিল কার্যক্রম। ২০১৫ সালে ২২ শতাংশ জমি দান করেন এক বিধবা নারী। তিনি একই গ্রামের বাসিন্দা ছালমা আক্তার। পাঠাগারের জন্য দান করা জমি এখন দখল করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

ঘটনা নিষ্পত্তি করতে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসককের নির্দেশে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য উভয়পক্ষকে গত ২৩ মে ডাকা হয়। তবে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা উপস্থিত হননি। এরই মধ্যে ওই জমিতে একতলার দোকানঘর নির্মাণ প্রায় শেষ করেছেন দখলকারীরা।

বিজ্ঞাপন

আফরোজা আক্তার স্মৃতি পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা রবিউল আলম জানান, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা পরিচয় দেওয়া আব্দুল হালিম, জানে আলম ও ওয়াকফ দলিলে শনাক্তকারী স্থানীয় বাসিন্দা জানে আলম জমি দখলে জড়িত। তারা রাতের অন্ধকারে পাঠাগারের জায়গা দখল করে নিয়েছে। সেখানে একতলা দোকানঘর নির্মাণ করছেন তারা। পাঠাগারটি সরিয়ে না নিলে দেখে নেওয়ারও হুমকি দেন তারা।

তিনি আরও জানান, জমি দখলের অভিযোগে দৌলতপুর থানায় জিডি করা হয় হয়েছে।

সকল অভিযোগ অস্বীকার দিয়েছেন আব্দুল হালিম। তিনি জানান, জায়গার বিষয়টি পারিবারিক। নতুন করে দোকানঘর নির্মাণের বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল করিম বলেন, 'আইনগতভাবে রবিউলকে সহযোগিতা করা হবে।'

দৌলতপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ রবিন মিয়া বলেন, 'বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'