বেনাপোলসহ দেশের ৪টি স্থলবন্দরে যাত্রী সেবা বাড়াতে অনলাইন পোর্ট ট্যাক্স দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এতে ভারত ভ্রমণকারীদের ভোগান্তি কমে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
রোববার (১২ মে) দুপুর ১২টায় ঢাকা থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ সেবার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী।
এ সেবার আওতায় অন্য তিন বন্দর হলো- বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী ও নওগাঁ স্থলবন্দর।
জানা গেছে, বিকাশ, নগদ, রকেট, উপায় ও ক্রেডিট এবং ব্যাংকিং কার্ডের মাধ্যমে পোর্ট ট্যাক্স ফি পরিশোধ করা যাবে। বর্তমান যাত্রী প্রতি বন্দর ট্যাক্স ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৪ টাকা ৫২ পয়সা।
অনলাইন সেবা চালুর ফলে পাসপোর্টধারীদের সময় সাশ্রয় ও ভোগান্তি কমবে বলে মনে করছেন স্থলবন্দর চেয়ারম্যান ও বন্দর পরিচালকেরা।
প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ছয় হাজার যাত্রী যাতায়াত করে। এতে প্রতিবছর বেনাপোল স্থলবন্দরে ভ্রমণ খাতে প্রায় ১০০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয় এবং পোর্ট ট্যাক্স খাতে আয় হয় প্রায় ১০ কোটি টাকা।
যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় স্থলপথে ভারত-বাংলাদেশে যাতায়াতকারী যাত্রীদের ৯০ শতাংশই বেনাপোল স্থলবন্দর ব্যবহার করে। ভারত যাতায়াতে পাসপোর্টধারীদের বর্তমানে এক হাজার টাকা ভ্রমণ ট্যাক্স এবং ৫৫ টাকা পোর্ট ট্যাক্স পরিশোধ করতে হয়। এর মধ্যে ভ্রমণ ট্যাক্স সোনালী ব্যাংকে বা অনলাইনে পরিশোধের সুযোগ রয়েছে। তবে এই সুযোগ পোর্ট ট্যাক্সের ক্ষেত্রে এত দিন না থাকায় যাত্রীদের স্থলবন্দরে পৌঁছে আবারও দীর্ঘ লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হতো। এতে ভোগান্তির পাশাপাশি দালালের হয়রানির শিকার হতো যাত্রীরা।
এ বিষয়ে ভারতগামী অনিতা বিশ্বাস নামের এক যাত্রী বলেন, অনলাইনে পোর্ট ট্যাক্স পরিশোধ করার পদ্ধতি করায় আমাদের বেশ উপকার হয়েছে। তাছাড়া অনলাইনে তাড়াতাড়ি ও স্বচ্ছভাবে হচ্ছে।
মফিজুর রহমান নামের আরেক যাত্রী বলেন, অনলাইনে পোর্ট ট্যাক্স পরিশোধের নিয়ম করায় আমরা ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেয়েছি। আগে রোদ, বৃষ্টি মাথায় নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো।
বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) মো. রেজাউল করিম জানান, ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন লিংক ব্যবহার করে বেনাপোল স্থলবন্দরের প্রযোজ্য যাত্রী সুবিধা চার্জ অনলাইনে পরিশোধপূর্বক প্রামাণিক হিসেবে মানি রিসিট আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের গেটে দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মীদের প্রদর্শনের জন্য পাসপোর্টযাত্রীদের অনুরোধ করা হলো। অনলাইনে ইস্যুকৃত মানি রিসিটের মেয়াদ যাত্রার নির্ধারিত তারিখ থেকে সাত দিন বলবৎ থাকবে। এতে যাত্রীদের যাত্রা সহজ হবে ও ভোগান্তি কমে আসবে। অনলাইন বন্দর প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল চার্জ পরিশোধের ওয়েবসাইট passenger.blpa.gov.bd