মাস্ক না থাকায় ফাটানো হলো রিক্সা চালকের মাথা!

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুড়িগ্রাম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবিঃ বার্তা২৪.কম

ছবিঃ বার্তা২৪.কম

 

মুখে মাস্ক না পরে হাসপাতালের ঢোকার চেষ্টা করাকে কেন্দ্র করে এক রিক্সা চালকের মাথা ফাটিয়ে দিলেন কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্বরত পরিচ্ছন্নতাকর্মী।

বিজ্ঞাপন

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফুলবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মূল গেট বন্ধ করে দিয়েছেন ভুক্তভোগীর স্বজন ও বিক্ষুব্ধ জনতা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উত্তেজিত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এতে বিরম্বনার শিকার হন করোনার ভ্যাকসিন নিতে আসা নারী-পুরুষরা।

আহত রিক্সা চালকের বাড়ি ফুলবাড়ী উপজেলার কবির মামুদ গ্রামে। সে ওই গ্রামের মৃত আকবর আলী ছেলে।

বিজ্ঞাপন

ভুক্তভোগীর স্বজন জায়দুল রহমান জানান, বুধবার সকাল ১১টার দিকে করোনার ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য রিক্সা ভাড়া করে হালিমা নামের এক যাত্রী। রিক্সা চালক সাহানুর রহমান ওই যাত্রীকে নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গেটে পৌঁছালে দায়িত্বরত পরিচ্ছন্নতাকর্মী অঞ্জন চন্দ্র দাস মুখে মাস্ক দিয়ে প্রবেশ করার জন্য বলে। কিন্তু রিক্সা চালকের মুখে মাস্ক না থাকায় দ্রুত যাত্রীকে নামিয়ে দিয়ে ফেরার জন্য আবেদন করেন। এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সাহানুরকে গাছের ডাল দিয়ে সজোড়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন অঞ্জন চন্দ্র। এতে মাথা ফেটে যায় রিক্সা চালকের। রক্তাক্ত অবস্থায় সাহানুর মাটিতে লুঠিয়ে পড়ে। এ দৃশ্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা লোকজন দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে ফুলবাড়ী হাসপাতালে ভর্তি করায়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে গুরুতর আহতের স্বজনরা জড়ো হয়ে হাসপাতাল গেটে অবস্থান নেন। পরিচ্ছন্নতাকর্মী অঞ্জন চন্দ্র দাসের শাস্তি চেয়ে মূল গেট বন্ধ করে দিয়ে ভীড় জমায় আহতের স্বজনসহ চিকিৎসা নিতে আসার নারী ও পুরুষরা। এ সময় পরিচ্ছন্নতাকর্মী অঞ্জন চন্দ্র দাস ভয়ে আত্মগোপন করেন।

আহতের মা আম্বিয়া বেওয়া জানান, আমরা গরীব মানুষ। দিন আনি দিন খাই। ছেলেটার মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। ১০/১২টা সেলাই হয়েছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।

এ ব্যাপারে ফুলবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার তাসলিমা নাসরিন জানান, মুখে মাস্ক পরা না পরাকে কেন্দ্র করে হাসপাতাল গেটে মারামারি হয়েছে। রিক্সা চালক সাহানুর রহমানকে ভর্তি করা হয়েছে। তার মাথা ফেটে গেছে। সেলাই দেয়া হয়েছে ৮টি। তিনি বমিও করেছেন। এজন্য উন্নত চিকিৎসার জন্য রোগীকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।